মধ্যস্বর লোপ পেয়েছে নিচের কোন উদাহরণে?
A
আশা > আশ
B
আজি > আজ
C
অগুরু > অগ্র
D
উদ্ধার > উধার > ধার
উত্তরের বিবরণ
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ
যখন কোনো শব্দ দ্রুত উচ্চারণ করার কারণে তার শুরু, মাঝখান বা শেষে থাকা কোনো স্বরধ্বনি (অ, আ, ই ইত্যাদি) হারিয়ে যায়, তখন তাকে সম্পরকর্ষ বা স্বরলোপ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
বসতি → বস্তি,
-
জানালা → জান্লা।
• আদি স্বরলোপ:
শব্দের শুরুর স্বর যদি বাদ যায়, তখন তাকে আদি স্বরলোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অলাবু → লাবু → লাউ,
-
উদ্ধার → উধার → ধার।
• মধ্যস্বর লোপ:
শব্দের মাঝখানে থাকা স্বর বাদ গেলে তাকে মধ্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অগুরু → অগ্র,
-
সুবর্ণ → স্বর্ণ।
• অন্ত্যস্বর লোপ:
শব্দের শেষের স্বর বাদ পড়লে তাকে অন্ত্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
আশা → আশ,
-
আজি → আজ,
-
চারি → চার,
-
সন্ধ্যা → সঞঝা → সাঁঝ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago
'যোদ্ধা' এর সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
√ যুধ্ + তৃচ
B
√ যুধ্ + আ
C
√ জিত + ধা
D
√যুদ্ধ্ + তৃচ
বাংলা ভাষায় শব্দগঠন প্রক্রিয়ায় সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বিশেষ্য তৈরি হয়। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
-
'যোদ্ধা' শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয়: √যুধ্ + তৃচ
-
এটি তৃচ প্রত্যয়ের একটি বিশেষ নিয়ম অনুযায়ী গঠিত।
-
-
সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয় (তৃচ্-প্রত্যয়)
-
এখানে প্রথমা একবচনে 'তৃ' স্থলে 'তা' হয়।
-
উদাহরণ:
-
√দা + তৃচ্ → √দা + তৃ → √দা + তা = দাতা
-
মা + তৃচ্ → মাতা
-
√ক্রী + তৃচ্ → ক্রেতা
-
-
বিশেষ নিয়মে: √যুধ্ + তৃচ → √যুধ্ + তা = যোদ্ধা
-
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
'চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি।' - বাক্যে 'চোরে' কোন কারক?
Created: 3 weeks ago
A
কর্ম
B
করণ
C
কর্তৃ
D
অধিকরণ
বাংলা ব্যাকরণে যে বিশেষ্য বা সর্বনাম ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্তা বা কর্তৃকারক বলা হয়। কর্তৃকারক নির্ধারণে সাধারণত ক্রিয়ার সঙ্গে ‘কে’ বা ‘কারা’ প্রশ্ন করা হয়; যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটি কর্তৃকারক।
-
কর্তৃকারকের বিভিন্ন বিভক্তি ও উদাহরণ:
-
প্রথমা (শূন্য বা অ) বিভক্তি: হামিদ বই পড়ে।
-
দ্বিতীয়া (কে) বিভক্তি: বশিরকে যেতে হবে।
-
তৃতীয়া (দ্বারা) বিভক্তি: ফেরদৌসী কর্তৃক শাহনামা রচিত হয়েছে।
-
ষষ্ঠী (র) বিভক্তি: আমার যাওয়া হয়নি।
-
সপ্তমী বিভক্তি: চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি।
-
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
'বেটাইম' শব্দটি গঠিত হয়েছে-
Created: 2 months ago
A
ফারসি ও ইংরেজি শব্দে
B
ফরাসি ও ইংরেজি শব্দে
C
ফারসি ও ফরাসি শব্দে
D
ফারসি ও হিন্দি শব্দে
‘বেটাইম’ শব্দে বে ফারসি উপসর্গ এবং টাইম ইংরেজি শব্দ।
- অর্থাৎ ফারসি উপসর্গ এবং ইংরেজি শব্দের সমন্বয়ে বেটাইম শব্দটি গঠিত।
অর্থ:
- অসময়,
- অসুবিধাজনক সময়।
- কোনাে কোনাে সময় দেশি ও বিদেশি শব্দের মিলনে শব্দদ্বৈত সৃষ্টি হয়ে থাকে।
যেমন:
- ‘কাঁচামাল’ (বাংলা + আরবি),
- রাজা-বাদশা (তৎসম + ফারসি),
- হাট-বাজার (বাংলা + ফারসি),
- চৌহদ্দি ( বাংলা + ফারসি),
- হেড-পণ্ডিত (ইংরেজি+তৎসম) ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।

0
Updated: 2 months ago