কবে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের মূল দলিল স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়?
A
১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি
B
১৯৯০ সালের ২৬ আগস্ট
C
১৯৯০ সালের ২৬ নভেম্বর
D
১৯৯০ সালের ২৬ মে
উত্তরের বিবরণ
UNCRC বা United Nations Convention on the Rights of the Child মূলত শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। এই দলিলটি বিশ্বব্যাপী শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত হয় এবং পরে স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি। এ তারিখ থেকে বিভিন্ন দেশ এই কনভেনশন অনুমোদন ও স্বাক্ষর করতে শুরু করে।
• UNCRC-এর মূল লক্ষ্য শিশুদের বেঁচে থাকা, সুরক্ষা, বিকাশ এবং অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা।
• দলিলে মোট ৫৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে, যেখানে শিশু অধিকার কাঠামো স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।
• এটি বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্র দ্বারা অনুমোদিত মানবাধিকার সনদগুলোর মধ্যে অন্যতম।
• বাংলাদেশও ১৯৯০ সালে এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটি।
0
Updated: 6 hours ago
Premature baby বলতে কোন সময়ে জন্মগ্রহণকারী শিশু বলা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
৯-১০ মাস
B
২৮ সপ্তাহ-৩৭ সপ্তাহ
C
৩৭ সপ্তাহের পরবর্তী সময়
D
৪০ সপ্তাহের বেশি
Premature baby বা অকালজাত শিশু বলতে সেই নবজাতককে বোঝানো হয় যে গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহ থেকে ৩৭ সপ্তাহের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে। স্বাভাবিকভাবে একটি শিশুর জন্ম হয় প্রায় ৪০ সপ্তাহে, অর্থাৎ সম্পূর্ণ গর্ভকাল শেষ হওয়ার পর। কিন্তু গর্ভের সময়কাল ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নিলে সেই শিশুকে Premature baby বলা হয়।
বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো লক্ষ্য করা যায়
-
স্বাভাবিক গর্ভকাল সাধারণত ৪০ সপ্তাহ বা প্রায় ৯ মাস ১০ দিন, যা সম্পূর্ণ মেয়াদ (Full term) হিসেবে বিবেচিত।
-
যদি কোনো শিশুর জন্ম ৩৭ সপ্তাহের আগেই হয়, তখন তাকে Preterm বা Premature বলা হয়।
-
আবার যদি জন্ম ২৮ সপ্তাহের আগেই হয়, তখন তাকে Extremely preterm, আর ৩২-৩৭ সপ্তাহের মধ্যে জন্ম হলে Moderate to late preterm বলা হয়।
-
Premature শিশুদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পূর্ণরূপে বিকশিত না থাকায় তারা অনেক সময় শ্বাসকষ্ট, দেহের তাপমাত্রা ধরে রাখতে অক্ষমতা, রক্তে শর্করার ঘাটতি, সংক্রমণ, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় ভোগে।
-
এদের জন্মের সময় সাধারণত ওজন ২.৫ কেজির নিচে থাকে এবং তাদের Low Birth Weight (LBW) শ্রেণিতে ফেলা হয়।
-
অকাল জন্মের অন্যতম কারণ হতে পারে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ, একাধিক ভ্রূণ থাকা, মানসিক চাপ, ধূমপান, অপুষ্টি, বা জরায়ুর কোনো জটিলতা।
-
Premature শিশুদের যত্নে বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন, যেমন ইনকিউবেটরে রাখা, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ, এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক পদ্ধতি।
-
ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (KMC) পদ্ধতিও এই শিশুদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর, কারণ এতে শিশুর তাপমাত্রা বজায় থাকে এবং মায়ের বুকের দুধ সহজে পাওয়া যায়।
-
চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে অনেক Premature baby-ই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ওজন এবং বিকাশে পৌঁছাতে পারে।
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১৫ মিলিয়ন শিশু অকাল জন্মগ্রহণ করে, যার মধ্যে অনেকেই সঠিক যত্ন পেলে সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।
সুতরাং, ২৮ সপ্তাহ থেকে ৩৭ সপ্তাহের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী শিশুকে Premature baby বলা হয়, কারণ এ সময়ের আগে জন্ম নেওয়া মানে শিশুর শারীরিক বিকাশ সম্পূর্ণ হয়নি এবং তাকে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
শিশুর সহায়তার হটলাইন নম্বর-
Created: 17 hours ago
A
১০৯০
B
৩৩৩১
C
১০৯০
D
১০৯৮
বাংলাদেশে শিশুদের নিরাপত্তা, অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং জরুরি সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট হটলাইন নম্বর চালু রয়েছে, যা হলো ১০৯৮। এই নম্বরের মাধ্যমে শিশু নির্যাতন, পাচার, বাল্যবিবাহ, নিখোঁজ, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বা মানসিক সহায়তার প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়।
• হটলাইনটি পরিচালনা করে সরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা।
• এটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে এবং ফোন করলে শিশুর তথ্য ও পরিস্থিতি গোপন রাখা হয়।
• এই সেবার উদ্দেশ্য শিশুদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং জরুরি মুহূর্তে দ্রুত সাড়া প্রদান।
• এখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনগত সহায়তা, পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং সেবাও পাওয়া যায় প্রয়োজনে।
0
Updated: 17 hours ago
বাংলাদেশে ১০০০ জন শিশুর জন্ম দিতে কতজন মা প্রতিবছর মৃত্যুবরণ করে?
Created: 3 weeks ago
A
২.৭৬
B
৩.৯০
C
১.৭৬
D
৩.৫০
বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই হার দ্বারা বোঝা যায়, গর্ভধারণ, প্রসব বা প্রসব-পরবর্তী জটিলতার কারণে কতজন মা মৃত্যুবরণ করেন। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রতি ১০০০টি জীবিত শিশুর জন্মে প্রায় ১.৭৬ জন মা মৃত্যুবরণ করেন। এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নতির একটি প্রতিফলন, কারণ গত কয়েক দশকে এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
-
মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, এক্ল্যাম্পসিয়া (গর্ভকালীন খিঁচুনি), সংক্রমণ, ও প্রসবজনিত জটিলতা। এসব জটিলতা যথাযথ চিকিৎসা ও সময়মতো সেবা না পেলে প্রাণঘাতী হতে পারে।
-
আগে প্রতি ১০০০টি জন্মে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি; তবে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ, প্রশিক্ষিত ধাত্রী (Midwife) নিয়োগ, ও গর্ভকালীন সেবা বৃদ্ধির ফলে এ হার ক্রমে কমছে।
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মাতৃমৃত্যু হার নির্ণয়ের জন্য সাধারণত ১ লাখ জীবিত জন্মে মৃত্যুর সংখ্যা হিসাব করে, তবে এখানে প্রতি ১০০০ শিশুর জন্মে মৃত্যুর অনুপাত বোঝানো হয়েছে।
-
বাংলাদেশে সরকারের “সবার জন্য নিরাপদ মাতৃত্ব কর্মসূচি” এই হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এতে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, জরুরি প্রসূতিসেবা, এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
গ্রামীণ অঞ্চলে মাতৃমৃত্যুর হার শহরের তুলনায় কিছুটা বেশি, কারণ অনেক মা এখনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না গিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে প্রসব করেন, যেখানে ঝুঁকি অনেক।
-
গর্ভকালীন চারটি বাধ্যতামূলক সেবা গ্রহণ, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর তত্ত্বাবধানে প্রসব, এবং প্রসব-পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পর্যবেক্ষণ মাতৃমৃত্যু হ্রাসে সবচেয়ে কার্যকর।
-
ফলিক এসিড, আয়রন ও ক্যালসিয়াম গ্রহণ, টিটেনাস টিকা, সুষম খাদ্য এবং বিশ্রাম মায়ের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা প্রসবের সময় ঝুঁকি কমায়।
-
তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যু হার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় দ্রুত হ্রাস পেয়েছে, যা স্বাস্থ্যসেবার ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়।
-
যদিও এই হার কমেছে, তবুও সম্পূর্ণ শূন্যে নামিয়ে আনতে হলে গ্রামীণ স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জরুরি পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা প্রয়োজন।
-
সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় “মাতৃমৃত্যুহীন বাংলাদেশ” গঠনের লক্ষ্য ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্থায়ী প্রভাব ফেলবে।
সব মিলিয়ে, বাংলাদেশে প্রতি ১০০০টি শিশুর জন্মে প্রায় ১.৭৬ জন মা মৃত্যুবরণ করেন, যা একদিকে উদ্বেগজনক হলেও অন্যদিকে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ধারাবাহিক উন্নতির প্রতিফলন হিসেবে আশাব্যঞ্জক একটি সূচক।
0
Updated: 3 weeks ago