ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলায় কোন ভাবাদর্শ ছড়িয়ে দেয়?
A
বাঙালি জাতীয়তাবাদ
B
দ্বিজাতিতত্ত্ব
C
অসাম্প্রদায়িক মনোভাব
D
স্বজাত্যবোধ
উত্তরের বিবরণ
ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষার অধিকার নয়, বরং বাঙালির রাজনৈতিক চেতনা ও আত্মপরিচয়ের ভিত্তি হয়ে ওঠে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের বাঙালি জনগোষ্ঠীকে তাদের সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা ও অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ করে এবং জাতীয়তাবাদের বীজ রোপণ করে।
• মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে যোগ দেন।
• রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন এবং শহীদদের আত্মত্যাগ বাঙালির মধ্যে স্বাধীন পরিচয়ের অনুভূতি আরও শক্ত করে।
• ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জনগোষ্ঠী বুঝতে পারে, রাজনৈতিক অধিকার ও সাংস্কৃতিক মর্যাদা অর্জনে সংগঠিত সংগ্রাম প্রয়োজন।
• পরবর্তী সময়ে এই আন্দোলন ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান এবং শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা দেয়।
0
Updated: 6 hours ago
বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হলো-
Created: 2 days ago
A
ভাষা ও সংস্কৃতি
B
ধর্ম
C
আঞ্চলিকতা
D
রাজনীতি
ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালি জাতিসত্তা, অধিকারবোধ এবং স্বাধীনতার মনোভাব গঠনের অন্যতম ভিত্তি। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ভাষার প্রশ্নে বৈষম্য জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করে এবং এই আন্দোলন ক্রমে স্বাধীনতার আদর্শে পরিণত হয়।
• ১৯৪৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে পূর্ব পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীদের উদ্যোগে তমুদ্দুন মজলিস ভাষা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে।
• আন্দোলন বাঙালির সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক চেতনাকে শক্তিশালী করে এবং নিজস্ব পরিচয়ের দাবি স্পষ্ট করে।
• মাতৃভাষার অধিকারের প্রশ্নে জনগণের ঐক্য জাতীয় চেতনাকে আরও গভীর করে, যার ফলশ্রুতিতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এক ঐতিহাসিক বাঁক তৈরি করে।
• এই আন্দোলনের চেতনা পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ সুসংহত হয়।
0
Updated: 2 days ago
ভাষা শহিদদের স্মরণে ‘জননী ও গর্বিত বর্ণমালা ‘ভাস্কর্যটির ভাস্কর কে?
Created: 2 days ago
A
মৃণাল হক
B
শামীম শিকদার
C
হামিদুজ্জামান খান
D
নভেরা আহমেদ
‘জননী ও গর্বিত বর্ণমালা’ বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন স্মৃতিকে ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্য। এটি নকশা করেন ভাস্কর মৃণাল হক, যিনি ভাস্কর্য শিল্পে আধুনিক ধারা প্রতিষ্ঠায় পরিচিত। ভাস্কর্যটি বাংলা ভাষার মর্যাদা, সংগ্রাম এবং শহীদদের স্মরণে নির্মিত।
• ভাস্কর্যটি ঢাকার পরিবাগ এলাকায় অবস্থিত এবং এটি ভাষা আন্দোলনের চেতনা তুলে ধরে।
• মৃণাল হক বাংলাদেশের ভাস্কর্য শিল্পে বহু স্মরণীয় কাজ রেখে গেছেন।
• তার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য কাজের মধ্যে রয়েছে রাজসিক বিহার, দুর্জয়, গোল্ডেন জুবিলি টাওয়ার প্রভৃতি, যা বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
• তার কাজগুলোতে আধুনিক নকশাবোধ, স্থাপত্যশৈলী এবং জাতীয় পরিচয়ের অনন্য সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়।
0
Updated: 2 days ago
ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 2 days ago
A
নুরুল আমিন
B
লিয়াকত আলী খান
C
মোহাম্মদ আলী
D
খাজা নাজিমুদ্দীন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং সে সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভাষা সংগ্রামের বিস্তার ও তীব্রতায় বড় ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভূমিকাও আন্দোলনকে প্রভাবিত করে।
• ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দীন, যিনি উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে অবস্থান নেন।
• একই সময়ে পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নূরুল আমীন, যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকে সমর্থন করেন এবং বাংলা ভাষা দাবিকে গুরুত্ব দেননি।
• এই অবস্থান জনগণের ক্ষোভ বাড়ায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি তীব্র হয়।
• পরবর্তী ঘটনাবলি ২১ ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাঙালির ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করে।
0
Updated: 2 days ago