মাৎস্যন্যায় কোন শাসন আমলে দেখা দেয়?
A
খিলজি শাসন আমলে
B
সেন শাসন আমলে
C
মোগল শাসন আমলে
D
পাল তাম্র শাসন আমলে
উত্তরের বিবরণ
বাংলার ইতিহাসে ৬৫০ থেকে প্রায় ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের সময়টি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কেন্দ্রীয় শাসনের অভাবের কারণে বিশৃঙ্খল যুগ হিসেবে চিহ্নিত। শক্তিশালী শাসকের অনুপস্থিতিতে সমাজে অরাজকতা দেখা দেয় এবং এই অবস্থাকে তৎকালীন পণ্ডিতরা ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে অভিহিত করেন।
• মাৎস্যন্যায় শব্দের অর্থ, বড় মাছ ছোট মাছকে খায়; অর্থাৎ শক্তিশালী দুর্বলকে দমন করে।
• এই সময়ে স্থানীয় ভূস্বামী, ক্ষত্রিয় ও সামরিক গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল।
• বাণিজ্য, কৃষি ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রজারা নির্যাতন, দাঙ্গা ও লুণ্ঠনের শিকার হয়।
• এই অরাজক অবস্থা শেষে গোপাল রাজা নির্বাচিত হন এবং পাল সাম্রাজ্যের সূচনা হয়, যা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনে।
0
Updated: 6 hours ago
পাহাড়পুরের 'সোমপুর মহাবিহার' বাংলার কোন শাসন আমলের স্থাপত্য কীর্তির নিদর্শন?
Created: 3 months ago
A
মৌর্য
B
পাল
C
গুপ্ত
D
চন্দ্র
নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর মহাবিহার অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকের শুরুর দিকে পাল রাজবংশের শাসনামলে স্থাপিত হয়।
-
এটি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত প্রাচীন বাংলার একটি বৌদ্ধ বিহার।
-
পাহাড়পুরের উৎখননকৃত বিহার কমপ্লেক্সকেই সোমপুর মহাবিহার বলা হয়।
-
পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল (৭৮১-৮২১ খ্রিঃ) এই বিহার স্থাপন করেন বলে ধারণা করা হয়।
-
ধর্মপালের অসমাপ্ত কাজ তাঁর উত্তরসূরি দেবপালের শাসনামলে সম্পন্ন হয়।
-
বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া মাটির সিলে উৎকীর্ণ রয়েছে: ‘শ্রী-সোমপুরে-শ্রী-ধর্মপালদেব-মহাবিহারিয়ার্য-ভিক্ষু-সংঘস্য’।
-
পাহাড়পুরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা হয়। আয়তনে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের সঙ্গে এর তুলনা হয়।
-
এটি প্রায় ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল।
-
খ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।
-
১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এটি আবিষ্কার করেন।
-
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো সোমপুর মহাবিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
0
Updated: 3 months ago
'মাৎস্যন্যায়' কোন শাসন আমলে দেখা দেয়?
Created: 4 hours ago
A
সেন শাসন আমলে
B
মোগল শাসন আমলে
C
পাল তাম্র শাসন আমলে
D
খিলজি শাসন আমলে
বাংলার ইতিহাসে ‘মাৎস্যন্যায়’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় এমন একটি সময় বোঝাতে যখন কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং সমাজে শক্তিশালী দুর্বলের ওপর অত্যাচার করে। ৬৫০–৭৫০ খ্রিস্টাব্দের এই অরাজকতার সময় মূলত গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর শুরু হয় এবং পাল শাসনের উত্থানে শেষ হয়।
• ‘মাৎস্যন্যায়’ শব্দের অর্থ বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, অর্থাৎ শক্তিশালী দুর্বলকে নিপীড়ন করে।
• এই সময়ে স্থানীয় শাসক ও সামন্তরা ক্ষমতার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করতো এবং জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো।
• পাল বংশের প্রথম শাসক গোপাল জনগণের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনেন।
• পাল শাসনের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই দীর্ঘ অরাজকতা শেষ হয় এবং বাংলা একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যে রূপ নেয়।
0
Updated: 4 hours ago
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
চন্দ্রপাল
B
ধর্মপাল
C
সমুদ্রপাল
D
গোপাল
গোপাল প্রতিষ্ঠিত রাজবংশের নাম হলো পাল বংশ, যা বাংলার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়। গোপালের পিতার নাম বপ্যট, এবং পিতামহ ছিলেন দয়িতবিষ্ণু। গোপালের সিংহাসনে আরোহণের মধ্য দিয়ে পাল রাজত্বের সূচনা হয় এবং তার শাসনকালে রাজ্য বিস্তার লাভ করে।
-
রাজবংশের স্থায়িত্ব: পাল বংশের রাজারা প্রায় চারশ বছর শাসন করেছেন
-
গোপালের শাসন: গোপাল সিংহাসনে আরোহণের পর রাজ্য বিস্তারে মনোযোগ দেন এবং বাংলার উত্তর ও পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে রাজ্যভুক্ত করেন
-
শাসনকাল: ইতিহাস গবেষকরা ধারণা করেন, গোপাল ৭৫০ থেকে ৭৮১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন
0
Updated: 1 month ago