জোয়ার-ভাটার প্রধান কারণ-
A
পৃথিবীর আকর্ষণ
B
চাঁদের আকর্ষণ
C
বায়ুপ্রবাহ
D
সূর্যের আকর্ষণ
উত্তরের বিবরণ
জোয়ার-ভাটার মূল কারণ চাঁদের মহাকর্ষীয় আকর্ষণ—এটাই সঠিক উত্তর। সংক্ষেপে বলতে গেলে, পৃথিবীর পানির উপর চাঁদের টান থাকায় সাগরের পানি কোনো অঞ্চলে ফুলে উঠে জোয়ার সৃষ্টি হয় আর বিপরীত পাশে পানি নেমে গেলে ভাটা হয়।
• জোয়ার ভাটার জন্য চাঁদ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে, কারণ পৃথিবীর তুলনায় তা কাছাকাছি।
• সূর্যও ভূমিকা রাখে, তবে দূরত্ব বেশি হওয়ায় তার মহাকর্ষীয় প্রভাব তুলনামূলক কম।
• যখন সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় থাকে, তখন সবচেয়ে শক্তিশালী জোয়ার হয় (Spring Tide)।
• আর যখন তারা সমকোণে অবস্থান করে, তখন দুর্বল জোয়ার হয় (Neap Tide)।
0
Updated: 8 hours ago
চাঁদের বিপরীত দিকে যে জোয়ার হয় তাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
ভরা জোয়ার
B
প্রত্যক্ষ জোয়ার
C
গৌণ জোয়ার
D
মুখ্য জোয়ার
জোয়ার-ভাটা:
মহাকর্ষ শক্তি ও কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর একই স্থানে ফুলে ওঠে এবং আবার নেমে যায়। পানির এই ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলা হয়। সাধারণত সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার ও দুইবার ভাটা ঘটে।
জোয়ার-ভাটাকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা হয়—
১. মুখ্য জোয়ার:
চন্দ্র যখন পৃথিবীর চারদিকে আবর্তন করে, তখন পৃথিবীর যে অংশটি চাঁদের নিকটবর্তী হয়, সেখানে চাঁদের আকর্ষণ শক্তি সর্বাধিক থাকে। ফলে চারদিক থেকে জলরাশি এসে চন্দ্রের দিকে ফুলে ওঠে, এতে জোয়ার সৃষ্টি হয়। এইভাবে সৃষ্ট জোয়ারকে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার বলা হয়।
২. গৌণ জোয়ার:
চাঁদের বিপরীত দিকে মহাকর্ষ বলের প্রভাব কমে গিয়ে কেন্দ্রাতিগ শক্তির সৃষ্টি হয়। এর ফলে ঐ স্থানে চারদিক থেকে পানি এসে জোয়ার তৈরি করে। এই জোয়ারকে গৌণ জোয়ার বা পরোক্ষ জোয়ার বলা হয়।
৩. ভরা কটাল বা তেজ কটাল:
অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য যখন একই সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে প্রবল জোয়ার সৃষ্টি হয়। এই তীব্র জোয়ারকে ভরা কটাল, তেজ কটাল বা ভরা জোয়ার বলা হয়।
৪. মরা কটাল:
যখন চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর সাথে এক সমকোণে অবস্থান করে, তখন একদিকে চাঁদের আকর্ষণে জোয়ার হয়, অপরদিকে সূর্যের আকর্ষণে ভাটা সৃষ্টি হয়। এই ধরনের জোয়ারকে মরা কটাল বা মরা জোয়ার বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago