মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কোন দুটি স্থায়ী রাষ্ট্র?
A
যুক্তরাজ্য ও চীন
B
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স
C
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র
D
রাশিয়া ও ফ্রান্স
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তখন বৈশ্বিক শীতল যুদ্ধের প্রভাব স্পষ্ট ছিল এবং বড় শক্তিগুলো ভিন্ন অবস্থান নেয়। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষে অবস্থান আন্তর্জাতিক সমর্থনের শক্তি ও কূটনৈতিক গুরুত্ব নির্ধারণ করে।
• চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ায় তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে এবং পাকিস্তানকেই সমর্থন প্রদান করে
• পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও কৌশলগত মিত্র হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র জনমত উপেক্ষা করেও পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে যায়
• অপরদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সমর্থন করে, বিশেষ করে ভারত–সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা সমর্থন নিশ্চিত হয়
• আন্তর্জাতিক এই সমর্থন পার্থক্য যুদ্ধের কূটনৈতিক মাত্রাকে আরও স্পষ্ট করে তোলে
0
Updated: 8 hours ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম কোন জেলা শত্রুমুক্ত হয়?
Created: 2 days ago
A
মাগুরা
B
মেহেরপুর
C
যশোর
D
ময়মনসিংহ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা হিসেবে ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এ জেলা মুক্ত হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ধারা দ্রুত বিস্তার লাভ করে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে।
• প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা: যশোর
• যশোর জেলা শত্রুমুক্ত হওয়ার তারিখ ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
• একই দিনে প্রথমে ভুটান এবং পরে ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়
• যশোর মুক্ত হওয়ার ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি পায়
• এ দিনটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ধারাবাহিকতা শুরু হওয়ার ঐতিহাসিক দিন হিসেবেও গণ্য
• যশোর মুক্তির পর ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলে বিজয়ের গতি আরও ত্বরান্বিত হয়
0
Updated: 2 days ago
মুক্তিবাহিনীর প্রথম ব্রিগেডটি কী নামে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
এস ফোর্স
B
কে ফোর্স
C
এন ফোর্স
D
জেড ফোর্স
জেড ফোর্স, এস ফোর্স ও কে ফোর্স মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রধান নিয়মিত ব্রিগেড।
-
জেড ফোর্স:
-
মুক্তিবাহিনীর প্রথম ব্রিগেড, জুলাই মাসে গঠিত।
-
কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, যার নামের ইংরেজি আদ্যক্ষর 'Z' অনুসারে ব্রিগেডের নামকরণ করা হয়েছে।
-
গঠিত হয় ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে।
-
-
এস ফোর্স:
-
দ্বিতীয় নিয়মিত ব্রিগেড, অক্টোবর মাসে গঠিত।
-
গঠিত হয় দ্বিতীয় ও একাদশ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিয়ে।
-
অধিনায়ক ছিলেন সফিউল্লাহ।
-
-
কে ফোর্স:
-
গঠিত হয় ৭ই অক্টোবর।
-
গঠিত হয় ৪র্থ, ৯ম ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গলের সদস্যদের নিয়ে।
-
অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মোশাররফ, যার নামের ইংরেজি আদ্যক্ষর 'K' অনুসারে ব্রিগেডের নামকরণ করা হয়েছে।
-
0
Updated: 1 month ago
‘সাবাস বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 4 days ago
A
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
C
টিএসসি মোড়ে
D
জয়দেবপুরে
‘সাবাস বাংলাদেশ’ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়ের প্রতীকী ভাস্কর্য। এটি অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব, ত্যাগ ও স্বাধীনতার আনন্দকে শিল্পরূপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর নির্মাতা ছিলেন খ্যাতনামা ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু।
• এই ভাস্কর্যটি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও গৌরবকে প্রতিফলিত করে, যা তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
• রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই শিল্পকর্মটি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত।
• অন্যদিকে, গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে অবস্থিত ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ছিল মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম নির্মিত ভাস্কর্য, যা স্বাধীনতার সূচনা স্মরণে গড়ে তোলা হয়।
• উভয় ভাস্কর্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, গর্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক।
0
Updated: 4 days ago