‘আসাদুল্লাহ’ কার উপাধি?
A
ওমর (রা)
B
আবু বকর (রা)
C
আলী (রা)
D
উসমান (রা)
উত্তরের বিবরণ
ইসলামে বিভিন্ন সাহাবির বিশেষ উপাধি ইতিহাসে গভীর গুরুত্ব বহন করে, কারণ এসব উপাধি তাদের ব্যক্তিত্ব, সাহস, জ্ঞান ও কৃতিত্বকে তুলে ধরে। সেই দৃষ্টিতে ‘আসাদুল্লাহ’ উপাধি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ‘আসাদ’ শব্দের অর্থ সিংহ এবং ‘আসাদুল্লাহ’ মানে আল্লাহর সিংহ। এই সম্মানজনক উপাধি প্রদান করা হয়েছেন আলী (রা)-কে, যিনি তাঁর বীরত্ব, ন্যায়পরায়ণতা ও অটল ঈমানের জন্য পরিচিত ছিলেন।
-
‘আসাদুল্লাহ’ উপাধিটি প্রদান করেছিলেন মহানবী মুহাম্মদ (সা.), কারণ আলী (রা)-র যুদ্ধক্ষেত্রের অসামান্য সাহস ও ত্যাগ ইতিহাসে সুপরিচিত।
-
খাইবারের যুদ্ধে আলী (রা) অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করেন, যা এই উপাধি লাভের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য।
-
আলী (রা) ইসলাম গ্রহণকারী প্রথমদিকের ব্যক্তিদের একজন এবং তিনি নবী (সা.)-এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও ছিলেন।
-
ইসলামি ইতিহাসে আলী (রা.) চার খলিফার একজন, তাঁর বিচারবুদ্ধি, জ্ঞান, নেতৃত্ব ও সাহস মুসলিম সমাজে আজও অত্যন্ত সম্মানিত।
-
‘আসাদুল্লাহ’ উপাধিটি সাহস ও ঈমানের প্রতীক, যা আলী (রা)-র অনন্য মর্যাদা নির্দেশ করে।
0
Updated: 8 hours ago
ভাই ভাই সম্পর্ক বিনষ্টকারী কোন কাজ সুরা আল-হুজরাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
টাকা ধার দেয়া
B
সালাম না দেয়া
C
উপহাস ও বিদ্রূপ করা
D
দাওয়াত না দেয়া
এই আয়াতে মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্কের আদর্শ আচরণ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ অন্যকে তুচ্ছ বা অপমান না করে।
-
আয়াতে বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ” — অর্থাৎ এটি সরাসরি বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে করা আহ্বান।
-
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, কারণ এতে অহংকার ও হীনমন্যতা সৃষ্টি হয়।
-
বিদ্রূপের শিকার ব্যক্তিরাই আল্লাহর কাছে উত্তম হতে পারে, তাই কাউকে ছোট করে দেখা অন্যায়ের শামিল।
-
এই আয়াত মানুষকে সম্মান, ভ্রাতৃত্ব ও নৈতিক শালীনতার শিক্ষা দেয়।
-
এটি সমাজে ঘৃণা ও বিভেদ রোধের এক গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা ইসলামী সামাজিক ন্যায়ের মূলভিত্তি।
0
Updated: 1 month ago
হযরত আয়েশা (রাঃ) কয়টি হাদিস বর্ণনা করেন?
Created: 1 month ago
A
৩২১০
B
২২১০
C
২২১৭
D
৩০২১
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হাদীস বর্ণনায় অন্যতম বিশিষ্ট সাহাবিয়া ছিলেন। তিনি নবী করিম (সঃ)-এর নিকটতম সঙ্গী ও জীবনসঙ্গী হিসেবে বহু হাদীস প্রত্যক্ষভাবে শুনে তা সংরক্ষণ ও প্রচার করেছেন।
-
তাঁর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ২২১০টি।
-
তিনি মুকছিরিন পর্যায়ের রাবিদের অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ যাঁরা প্রচুর সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
-
হাদীস বর্ণনার সংখ্যার দিক থেকে তাঁর অবস্থান চতুর্থ (৪র্থ)।
-
তাঁর বর্ণিত হাদীসসমূহে নারী-সংক্রান্ত বিষয়, গৃহস্থালি আচরণ, ইবাদত ও শরীয়ত সম্পর্কিত বিশদ নির্দেশনা পাওয়া যায়।
-
আয়েশা (রা.) ছিলেন জ্ঞানের ক্ষেত্রে গভীর প্রাজ্ঞ, এবং সাহাবিরা কঠিন ধর্মীয় বিষয়ে তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করতেন।
-
হাদীস সংরক্ষণ ও প্রচারে তাঁর অবদান ইসলামী জ্ঞানের ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।
0
Updated: 1 month ago
উহুদ যুদ্ধে রাসুল (সাঃ) কে তীরের আঘাত থেকে কোন সাহাবী রক্ষা করেছিলেন?
Created: 1 month ago
A
হযরত উমর (রাঃ)
B
হযরত আলী (রাঃ)
C
হযরত আবু দুজানা (রাঃ)
D
হযরত আবু যার গিফারী (রাঃ)
উহুদ যুদ্ধে হযরত আবু দুজানা (রা.) অসাধারণ সাহস ও ভালোবাসার পরিচয় দেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে শত্রুর তীরবৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্য নিজের শরীরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন এবং সমস্ত আঘাত নিজের উপর নেন। এই আত্মত্যাগ ইসলামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থান পেয়েছে।
-
আবু দুজানা (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর শরীরকে তীর থেকে রক্ষা করেন।
-
তিনি তীরবৃষ্টির মধ্যে নিজেকে ঢাল বানিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি গভীর আনুগত্যের প্রমাণ দেন।
-
যুদ্ধ শেষে তাঁর পিঠে অসংখ্য তীরের ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়, যা তাঁর সাহসিকতার সাক্ষ্য দেয়।
-
তাঁর এই বীরত্ব মুসলিম যোদ্ধাদের জন্য ত্যাগ, আনুগত্য ও আত্মনিবেদনের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে।
-
উহুদ যুদ্ধের এই ঘটনাটি ইসলামী ইতিহাসে নবীর প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বাসের প্রকৃষ্ট প্রকাশ হিসেবে চিহ্নিত।
0
Updated: 1 month ago