বাংলা সংখ্যা বর্ণ কয়টি?
A
৯
B
১০
C
১১
D
১২
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সংখ্যাবর্ণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা বাংলা ভাষার মৌলিক জ্ঞান অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যাবর্ণ মূলত গণনা, পরিমাপ ও দৈনন্দিন লেখালেখিতে ব্যবহৃত হয়, তাই এগুলোর সংখ্যা ও রূপ জানা অপরিহার্য। সাধারণভাবে স্বীকৃত বাংলা সংখ্যাবর্ণের সংখ্যা ১০টি, যা বাংলা লিপির একটি সম্পূর্ণ সেট তৈরি করে এবং সমস্ত গণনাপদ্ধতির ভিত্তি স্থাপন করে।
-
বাংলা সংখ্যাবর্ণ মোট ১০টি, যথাক্রমে: ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯।
-
“০” থেকে “৯” পর্যন্ত প্রতিটি সংখ্যার নিজস্ব প্রতীক রয়েছে, যা বাংলার স্বতন্ত্র লিপিগত বৈশিষ্ট্য বহন করে।
-
এ সংখ্যাগুলো ভারতীয় ব্রাহ্মী লিপি থেকে উৎসারিত, যা বাংলা লিপিরও মূল উৎস হিসেবে বিবেচিত।
-
বাংলা সংখ্যাবর্ণ গণিত, হিসাবরক্ষণ, সময়-তারিখ লেখা, প্রাতিষ্ঠানিক নথি, শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
বাংলা বর্ণমালার মতো সংখ্যাবর্ণেও ধ্বনি নেই, অর্থাৎ এগুলো শুধুমাত্র পরিমাণ বা ক্রম নির্দেশে ব্যবহৃত হয়।
-
বাংলা, হিন্দি, অসমিয়া, ওড়িয়া ইত্যাদি ভাষায় সংখ্যার রূপ ভিন্ন হলেও ভিত্তি একই: মোট ১০টি প্রতীক।
0
Updated: 9 hours ago
বাংলা বর্ণমালায় নাসিক্য বর্ণ কয়টি?
Created: 4 days ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
নাসিক্য বর্ণের সংখ্যা বোঝাতে প্রথমে জানা প্রয়োজন কোন বর্ণগুলো নাসিক্য ধ্বনি উৎপন্ন করে। বাংলা ভাষায় যেসব বর্ণ উচ্চারণের সময় বায়ু নাক দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেগুলোকে নাসিক্য বর্ণ বলা হয়। নিচের তালিকায় এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।
– বাংলা নাসিক্য বর্ণ ৫টি—ঙ, ঞ, ণ, ন, ম—এদের উচ্চারণেই নাসিক্য ধ্বনি সৃষ্টি হয়।
– ঙ মূর্ধন্য ঘরানার নাসিক্য ধ্বনি প্রকাশ করে এবং সাধারণত গ, ঘ-এর আগে ব্যবহৃত হয়।
– ঞ চ এবং ছ-ধ্বনির আগে থাকে এবং নাসিক্যতার পাশাপাশি যৌগিক ধ্বনি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ।
– ণ মূলত মূর্ধন্য নাসিক্য; বিশেষত তৎসম শব্দে ব্যবহৃত হয়ে শব্দের শুদ্ধ রূপ বজায় রাখে।
– ন দন্ত্য নাসিক্য এবং বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত নাসিক্য বর্ণ।
– ম ওষ্ঠ্য নাসিক্য, যার উচ্চারণ দুই ওষ্ঠের মিলনে হয় এবং বাংলা শব্দভাণ্ডারে অত্যন্ত প্রচলিত।
– এই পাঁচটি বর্ণের প্রতিটিই বাংলা ধ্বনিতত্ত্বে সুনির্দিষ্ট স্থান ও পদ্ধতিতে উচ্চারিত হয়, যা নাসিক্যতা নিশ্চিত করে।
– ব্যাকরণে এদের “নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি” হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয় এবং সব গ্রন্থেই এ সংখ্যা ৫-ই নির্ধারিত।
0
Updated: 4 days ago
বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা যথাক্রমে –
Created: 2 months ago
A
৩২, ৮, ১০
B
৩২, ৭, ১১
C
৩০, ৮, ১২
D
৩২, ৭, ৯
বাংলা বর্ণমালায় বর্ণসংখ্যা ( স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি) - ৫০টি। তন্মধ্যে মাত্রাহীন বর্ণ ১০ টি ( স্বরবর্ণ ৪ টি - এ, ঐ, ও, ঔ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৬ টি - ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঁ)। অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮ টি ( স্বরবর্ণ ১টি - ঋ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৭ টি - খ, গ, ণ, থ, প, শ)। পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২ টি ( স্বরবর্ণ ৬ টি ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬ টি)।
0
Updated: 2 months ago
‘ওষ্ঠ্য’ বর্ণ কোনগুলো?
Created: 1 week ago
A
ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
B
প, ফ, ব, ভ, ম
C
ক, খ, গ, ঘ, ঙ
D
চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
ওষ্ঠ্য বর্ণ সেই বর্ণগুলো যেগুলো উচ্চারণের সময় দুই ঠোঁট বা ওষ্ঠের সাহায্যে উচ্চারিত হয়। এই বর্ণগুলোর উচ্চারণে জিহ্বার ভূমিকা কম, মূল ভূমিকা পালন করে ঠোঁট।
পয়েন্টসমূহ:
-
ওষ্ঠ্য শব্দের অর্থ ঠোঁট-সংক্রান্ত বা ঠোঁট দিয়ে উচ্চারিত।
-
বাংলা বর্ণমালায় প, ফ, ব, ভ, ম এই পাঁচটি বর্ণ উচ্চারণে দুই ঠোঁট স্পর্শ করে।
-
যেমন, ‘পান’, ‘ফুল’, ‘বল’, ‘ভাল’, ‘মাঠ’— এসব শব্দ উচ্চারণে ঠোঁটের কাজ স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
-
অন্যদিকে ট, ঠ, ড, ঢ, ণ হলো মূর্ধন্য, এবং ক, খ, গ, ঘ, ঙ হলো কণ্ঠ্য বর্ণ।
-
তাই উচ্চারণস্থানের ভিত্তিতে সঠিক উত্তর হলো প, ফ, ব, ভ, ম, অর্থাৎ ওষ্ঠ্য বর্ণ।
0
Updated: 1 week ago