‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক-
A
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
B
তারেক মাসুদ
C
আব্দুল গাফফার চৌধুরী
D
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক যে চলচ্চিত্রটির কথা বলা হয়, তার পরিচালক আব্দুল গাফফার চৌধুরী নয়। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন, বিশেষ করে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানের জন্য পরিচিত; তবে চলচ্চিত্র নির্মাণ তার প্রধান কাজ ছিল না।
• স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র যেমন “ওরা ১১ জন” পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম এবং “সূর্য দীঘল বাড়ী” পরিচালনা করেছেন মসিহুদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী।
• যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে “আবার তোরা মানুষ হ” ও “মুক্তির গান” গুরুত্বপূর্ণ।
• আব্দুল গাফফার চৌধুরী সাংবাদিক, লেখক এবং গবেষক হিসেবে স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
0
Updated: 9 hours ago
স্বাধীনতা উত্তর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
জীবন থেকে নেয়া
B
লেট দেয়ার বি লাইট
C
ওরা ১১ জন
D
অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র হলো “ওরা ১১ জন”। এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংগ্রাম এবং বিজয়ের এক বাস্তবচিত্র, যা দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেমকে শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরাই ছিল এই ছবির মূল লক্ষ্য।
• পরিচালনা ও নির্মাণ: “ওরা ১১ জন” চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি নিজে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর চলচ্চিত্রে দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
• মুক্তির সময়কাল: ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭২ সালে, অর্থাৎ স্বাধীনতার মাত্র এক বছর পর। তখন দেশের মানুষ যুদ্ধের ভয়াবহতা ও স্বাধীনতার আনন্দে ভাসছিল, আর এই চলচ্চিত্র সেই আবেগকে জীবন্ত করে তোলে।
• চরিত্র ও কাহিনি: ছবিতে দেখানো হয় ১১ জন মুক্তিযোদ্ধার দল, যারা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে। চরিত্রগুলো ছিল সাধারণ মানুষ—শিক্ষার্থী, শ্রমিক, কৃষক—যারা স্বাধীনতার আহ্বানে অস্ত্র তুলে নেয়। তাদের সম্মিলিত লড়াইয়ে উঠে আসে ঐক্য ও আত্মত্যাগের এক অনন্য চিত্র।
• অভিনয়শিল্পী: চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রাজীব, আসাদ, গোলাম মোস্তফা, আবদুল্লাহ আল মামুন, আনোয়ার হোসেনসহ অনেক গুণী শিল্পী। তাঁদের প্রাণবন্ত অভিনয় ছবিটিকে বাস্তবধর্মী করে তুলেছিল।
• চলচ্চিত্রের বার্তা: “ওরা ১১ জন” শুধু যুদ্ধের গল্প নয়, এটি স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাসী একটি জাতির গল্প। ছবিটি শেখায়, স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে রয়েছে হাজারো প্রাণের ত্যাগ ও অনুপ্রেরণার ইতিহাস।
• প্রভাব ও গুরুত্ব: এই চলচ্চিত্র বাংলাদেশের চলচ্চিত্রজগতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ধারার সূচনা করে। পরবর্তীতে “অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী”, “সূর্য দীঘল বাড়ি”, “গেরিলা” প্রভৃতি চলচ্চিত্র এই ধারাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
• ভুল বিকল্প বিশ্লেষণ:
জীবন থেকে নেয়া চলচ্চিত্রটি জহির রায়হান পরিচালিত, মুক্তি পায় ১৯৭০ সালে, অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের আগে। এটি স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করলেও মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী নয়।
লেট দেয়ার বি লাইট একটি ইংরেজি ভাষার প্রামাণ্যচিত্র, যা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৈরি হয়েছিল, তবে এটি পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ফিচার ফিল্ম নয়।
অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী মুক্তি পায় পরে, ১৯৭২ সালের পরবর্তী সময়ে, যদিও এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, কিন্তু প্রথম নয়।
সুতরাং, স্বাধীনতা-উত্তর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে “ওরা ১১ জন”-এর স্থান অনন্য এবং এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে এক যুগান্তকারী সৃষ্টি।
0
Updated: 2 weeks ago
মুক্তির গান চলচিত্র কে পরিচালনা করেছেন?
Created: 3 weeks ago
A
জহির রায়হান
B
আলমগীর কবীর
C
তারেক মাসুদ
D
গীতা মেহতা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্যচিত্র “মুক্তির গান” পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা তারেক মাসুদ ও তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ ।
0
Updated: 3 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘ওরা ১১ জন’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন কে?
Created: 2 months ago
A
আলমগীর কবির
B
আমজাদ হোসেন
C
চাষী নজরুল ইসলাম
D
খান আতাউর রহমান
ওরা ১১ জন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর নির্মিত প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। মূল তথ্যসমূহ হলো:
-
পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম।
-
সিনেমাটি মুক্তিপ্রাপ্ত হয় ১৯৭২ সালে।
-
সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, সৈয়দ হাসান ইমাম, এটিএম শামসুজ্জামান, খলিলউল্লাহ খান প্রমুখ।
-
সিনেমার ১১ জন চরিত্রের মধ্যে ১০ জন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
-
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুক্তিযোদ্ধারা হলো খসরু, মুরাদ, হেলাল ও নান্টু।
0
Updated: 2 months ago