১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট কতটি আসন লাভ করে?
A
২৮০টি
B
২২৩টি
C
১৭১টি
D
২৯৮টি
উত্তরের বিবরণ
১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিশাল বিজয় অর্জন করে, যেখানে মুসলিম আসনের মধ্যে ২২৩টি আসনে জয়লাভ করে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বাঙালির গণআকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক শক্তির সুস্পষ্ট প্রকাশ ঘটে। যুক্তফ্রন্টের এই বিজয় রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয়।
• যুক্তফ্রন্ট ছিল অবিভক্ত পূর্ববাংলার কয়েকটি দল নিয়ে গঠিত একটি জোট
• আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম ও গণতন্ত্রী দল এতে যুক্ত ছিল
• নির্বাচনের প্রধান ইস্যু ছিল ভাষা অধিকার, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং স্বায়ত্তশাসন
• নির্বাচনে মুসলিম লীগ বিপুলভাবে পরাজিত হয়, যা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে জনঅসন্তোষ প্রকাশ করে
• এই ফলাফল পরবর্তী সময়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও স্বাধীনতার ধারণাকে আরো শক্তিশালী করে
0
Updated: 9 hours ago
১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে কত দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
১১ দফা
B
১৬ দফা
C
২১ দফা
D
১২ দফা
যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার ছিল ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের সময় ঘোষণা করা ২১ দফা নির্বাচনি ইশতেহার। এই ইশতেহারে প্রথম দাবী হিসেবে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা উল্লেখ করা হয়।
-
ঐতিহাসিক ২১ দফার প্রথম দাবি ছিল বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা।
-
একুশ দফা প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন আবুল মনসুর আহমদ।
0
Updated: 1 month ago
যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার ১ম দফাটি ছিল-
Created: 2 days ago
A
বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা
B
পাটকল জাতীয়করণ করা
C
চাকরিতে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা
D
পূর্ব পাকিস্তানের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও বাঙালির ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২১ দফা দাবি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়। এই দফাগুলো পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালির রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার স্পষ্ট দাবি ছিল।
• ২১ দফার প্রথম দাবি ছিল বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করা, যা ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনার প্রতিফলন।
• ১৮তম দফায় একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ও সরকারি ছুটির দিন করার দাবি তোলা হয়, যা ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রকাশের প্রতীক।
• এই দফাগুলো জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন পায় এবং নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের landslide জয় নিশ্চিত করে।
0
Updated: 2 days ago
২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন -
Created: 2 months ago
A
আবুল মনসুর আহমদ
B
মাওলানা আতাহার আলী
C
আবুল কালাম শামসুদ্দিন
D
আবুল কাশেম
যুক্তফ্রন্ট:
- ১৯৫৩ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল।
- যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক ছিলো 'নৌকা'।
- ২১ ফেব্রুয়ারিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার করা হয় ২১ দফা।
- ২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ।
- যুক্তফ্রন্ট তাদের ঐতিহাসিক ২১ দফা দাবিতে গণমানুষের অধিকারের কথা তুলে ধরে।
- এই দফাগুলো সংক্ষেপে বর্ণিত হলো:
১. বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
২. বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি উচ্ছেদ করা এবং ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে উদ্বৃত্ত জমি বিতরণ।
৩. পাটের ব্যবসায় জাতীয়করণ করা।
৪. সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
৫. পূর্ব পাকিস্তানে লবণ শিল্প প্রতিষ্ঠা করা।
৬. কারিগর মুহাজিরদের কাজের ব্যবস্থা করা।
৭. বন্যা ও দুর্ভিক্ষ রোধের জন্য খাল খনন ও সেচের ব্যবস্থা করা।
৮. শিল্প ও খাদ্যে দেশকে স্বাবলম্বী করা।
৯. অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তন করা।
১০. শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা।
১১. ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
১২. শাসন ব্যয় হ্রাস করা ও মন্ত্রীদের বেতন এক হাজার টাকার বেশি না করা।
১৩. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৪. জন নিরাপত্তা আইন ও অর্ডিন্যান্স প্রভৃতি বাতিল করা।
১৫. বিচার ও শাসন বিভাগ পৃথকীকরণ করা।
১৬. মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন 'বর্ধমান হাউস'কে বাংলা ভাষা গবেষণাগারে পরিণত করা।
১৭. বাংলা ভাষা করার দাবিতে নিহত শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ করা।
১৮. একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণা করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা।
১৯. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান।
২০. আইন পরিষদের মেয়াদ কোনোভাবেই বৃদ্ধি না করা।
২১. আইন পরিষদের আসন শূন্য হলে তিন মাসের মধ্যে উপনির্বাচন দিয়ে তা পূরণ করা।
তথ্যসূত্র - ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago