টেম্পোরারি ফাইল বেশি হলে কম্পিউটারে কী ধরনের সমস্যা দেখা দেয়?
A
স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমে যায়
B
কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়
C
ইন্টারনেট স্পিড বন্ধ হয়ে যায়
D
মাউস কাজ করা বন্ধ করে
উত্তরের বিবরণ
কম্পিউটারে টেম্পোরারি ফাইল মূলত বিভিন্ন সফটওয়্যার, ব্রাউজার বা সিস্টেমের কাজ চলাকালীন তৈরি হয়। এগুলো সাময়িকভাবে দরকার হলেও সময়ের সাথে জমতে জমতে স্টোরেজ দখল করে ফেলে। যখন এই অস্থায়ী ফাইলগুলোর পরিমাণ বেশি হয়ে যায়, তখন কম্পিউটারের ফাইল প্রসেসিং ক্ষমতা কমে যায় এবং সিস্টেমের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর হয়ে পড়ে।
তালিকা আকারে প্রয়োজনীয় তথ্য:
-
স্টোরেজ স্পেস কমে যায়, ফলে নতুন ডেটা প্রসেস করতে সিস্টেম বেশি সময় নেয়।
-
র্যামের ওপর চাপ বাড়ে, কারণ সিস্টেমকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল শনাক্ত ও এড়িয়ে কাজ করতে হয়।
-
বুট টাইম বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ কম্পিউটার চালু হতে বেশি সময় লাগে।
-
সফটওয়্যার লোডিং ধীর হয়ে যায়, বিশেষ করে যেসব সফটওয়্যার টেম্প ফাইল বেশি তৈরি করে।
-
সিস্টেম ক্র্যাশ বা হ্যাং হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, বেশি টেম্প ফাইল ফাইল-ম্যানেজমেন্ট জটিল করে তোলে।
-
হার্ডডিস্কের পারফরম্যান্স কমে যায়, কারণ ড্রাইভকে অপ্রয়োজনীয় ফাইলের মধ্য দিয়ে ঘাটতে হয়।
সুতরাং, নিয়মিত টেম্প ফাইল ক্লিন না করলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। এই কারণে ব্যবহারকারীদের নিয়মিত ডিস্ক ক্লিনআপ টুল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
0
Updated: 9 hours ago
Digital Data is a combination of-
Created: 2 weeks ago
A
Current
B
Voltage
C
1 and 2
D
None
Digital Data মূলত কোনো কিছুর পরিমিত, সুনির্দিষ্ট ও বিচ্ছিন্ন আকারে প্রকাশিত তথ্যকে বোঝায়। এটি নিরবচ্ছিন্ন নয়, বরং সংখ্যায়িত বা কোড আকারে সংরক্ষিত থাকে।
• ডিজিটাল ডেটা বাইনারি সংখ্যার (০ ও ১) মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, যা কম্পিউটার বুঝতে পারে।
• এটি কোনো ভৌত সংকেত বা এনালগ উপাদানের সংমিশ্রণ নয়, বরং পরিস্কারভাবে সংখ্যা বা প্রতীকের মাধ্যমে গঠিত।
• “None” উত্তরটি সঠিক কারণ ডিজিটাল ডেটা অন্য কোনো উপাদানের মিলিত রূপ নয়, এটি নিজেই একটি স্বতন্ত্র তথ্যরূপ।
• একে সহজভাবে বলা যায়—ডিজিটাল ডেটা মানে এমন তথ্য যা ডিজিটাল সিস্টেমে সুনির্দিষ্ট কোড আকারে সংরক্ষিত থাকে।
তাই সঠিক উত্তর None, কারণ ডিজিটাল ডেটা কোনো কিছুর সংমিশ্রণ নয়।
0
Updated: 5 days ago
Email এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 20 hours ago
A
Electronic Message
B
Electronic Mail
C
Easy Mail
D
Emergency Mail
আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় email একটি দ্রুত, সহজ ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। এর পূর্ণরূপ জানলে প্রযুক্তি ব্যবহারের ধারণা আরও স্পষ্ট হয় এবং তথ্য আদান–প্রদান কীভাবে ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হয় তা বোঝা যায়। নিচে বিষয়টি সহজভাবে তালিকাভুক্ত করে উপস্থাপন করা হলো।
-
Email-এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Mail, যার অর্থ ইলেকট্রনিক উপায়ে বার্তা পাঠানো।
-
এটি কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য বিনিময়ের একটি ডিজিটাল পদ্ধতি।
-
Ray Tomlinson ১৯৭১ সালে প্রথম ইমেইল প্রেরণ করেন। তিনি ইমেইল ঠিকানায় @ সিম্বল ব্যবহারের ধারণাও দেন।
-
ইমেইলের মাধ্যমে টেক্সট মেসেজের পাশাপাশি ছবি, ডকুমেন্ট, অডিও বা ভিডিও ফাইল পাঠানো যায়, যা এটিকে বহুমুখী যোগাযোগ মাধ্যম করে তোলে।
-
email ব্যক্তিগত যোগাযোগ, অফিসিয়াল কাজ, শিক্ষা, সরকারী সেবা ও ব্যবসায় তথ্য আদান–প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
বিশ্বের সব ইমেইল পরিষেবায় (যেমন Gmail, Yahoo Mail, Outlook) একই মৌলিক কাঠামো ব্যবহৃত হয়—Sender, Receiver, Subject এবং Message Body।
-
ইমেইল দ্রুত ডেলিভারি, কম খরচ এবং বিশ্বজুড়ে সহজ প্রবেশযোগ্যতার কারণে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম।
0
Updated: 20 hours ago
শিক্ষার সর্বাপেক্ষা নতুন ধারণা কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ধারাবাহিক মূল্যায়ন
B
ই-লানিং
C
কারিগরি শিক্ষা
D
সৃজনশীল মূল্যায়ন
শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির সংযোজন এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যার অন্যতম উদ্ভাবন হলো ই-লার্নিং। এটি এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের সাহায্যে যেকোনো সময় ও স্থান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আধুনিক যুগের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় ই-লার্নিং শিক্ষার সর্বাপেক্ষা নতুন ও কার্যকর ধারণা হিসেবে বিবেচিত।
-
ই-লার্নিং শব্দটি এসেছে “Electronic Learning” থেকে, যার অর্থ ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ। এখানে পাঠদানের জন্য কম্পিউটার, ট্যাব, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়।
-
এটি শিক্ষার্থীদের বইয়ের সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করে এবং তাদের বিশ্বজুড়ে থাকা জ্ঞান ও তথ্যের সঙ্গে যুক্ত করে।
-
ই-লার্নিং পদ্ধতিতে ভিডিও লেকচার, অনলাইন কোর্স, অডিও ক্লাস, ডিজিটাল কনটেন্ট, এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ কুইজের মাধ্যমে শেখার সুযোগ থাকে।
-
এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীকে নিজের গতি অনুযায়ী শেখার সুযোগ দেয়, যা প্রচলিত শ্রেণিকক্ষ শিক্ষার তুলনায় অনেক বেশি নমনীয়।
-
বর্তমান যুগে যেমন Coursera, edX, Udemy, Khan Academy ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মগুলো ই-লার্নিংয়ের সফল উদাহরণ, তেমনি বাংলাদেশেরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন কোর্স পরিচালনা করছে।
-
ই-লার্নিং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করে, কারণ এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই সময়, স্থান ও সুযোগের বাধা কমিয়ে আনে।
-
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির সময় ই-লার্নিং শিক্ষার একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল, যা এর কার্যকারিতা আরও প্রমাণ করে।
-
এছাড়া ই-লার্নিং শিক্ষাকে গণতান্ত্রিক করে তুলেছে—অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তি, বয়স বা অবস্থান নির্বিশেষে, শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
-
এই শিক্ষাপদ্ধতি আজীবন শিক্ষা (Lifelong Learning)-এর ধারণাকেও বাস্তবায়ন করে, কারণ মানুষ চাকরি বা অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি নিজের দক্ষতা উন্নত করতে পারে অনলাইন মাধ্যমে।
-
ই-লার্নিং কেবল সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং কারিগরি, পেশাগত ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ধারাবাহিক মূল্যায়ন, কারিগরি শিক্ষা ও সৃজনশীল মূল্যায়ন শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও এগুলো নতুন ধারণা নয়। ধারাবাহিক মূল্যায়ন শিক্ষার্থীর নিয়মিত পারফরম্যান্স মূল্যায়নের একটি পুরনো পদ্ধতি; কারিগরি শিক্ষা মূলত দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণধর্মী শিক্ষা, যা বহুদিন ধরে প্রচলিত; আর সৃজনশীল মূল্যায়ন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রবর্তিত হলেও এটি ই-লার্নিংয়ের মতো বৈপ্লবিক নয়।
সুতরাং, প্রযুক্তিনির্ভর, বিশ্বব্যাপী, নমনীয় ও আজীবন শিক্ষার সুযোগ প্রদানকারী ই-লার্নিংই শিক্ষার সর্বাপেক্ষা নতুন ধারণা।
0
Updated: 1 week ago