জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের কততম স্থানে অবস্থান করছে?
A
৬ষ্ঠ
B
৭ম
C
৮ম
D
৯ম
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বের জনসংখ্যা অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয় আন্তর্জাতিক জনসংখ্যা হিসাব ও রিপোর্টের ভিত্তিতে। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ। এ তথ্যটি বোঝায় যে, একটি তুলনামূলক ছোট ভৌগোলিক এলাকায় বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি এবং জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা দেশের উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
নিম্নে বিষয়টির গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তালিকা আকারে দেওয়া হলো:
-
বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম জনবহুল দেশ, যার জনসংখ্যা ১৭ কোটি ছাড়িয়েছে।
-
জনঘনত্ব অত্যন্ত বেশি, প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যা ১,২০০-এর বেশি, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ।
-
যে দেশগুলো বাংলাদেশের আগে অবস্থান করছে: চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও ব্রাজিল।
-
এই অবস্থান নির্ধারণে ব্যবহৃত হয় জাতিসংঘ জনসংখ্যা বিভাগ, World Population Prospects ও Worldometer-এর ডেটা।
-
উচ্চ জনসংখ্যার কারণে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও আবাসনখাতে বিশেষ পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়।
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি হার ধীরে কমলেও, মোট জনসংখ্যা এখনও বিশ্বের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান ধরে রেখেছে।
0
Updated: 10 hours ago
কোন তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান হয়?
Created: 3 days ago
A
২১ জুন
B
২২ ডিসেম্বর
C
২৩ সেপ্টেম্বর
D
৫ জানুয়ারি
একদিনে পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান হওয়ার ঘটনাকে বিষুবদিন বলা হয়। এটি বছরে দু’বার ঘটে, যার একটি হলো ২৩ সেপ্টেম্বর। এ সময় সূর্যের রশ্মি সরাসরি বিষুবরেখায় পড়ে এবং পৃথিবীর উভয় গোলার্ধ সমান আলো পায়। নিচে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য তালিকা আকারে দেওয়া হলো।
-
২৩ সেপ্টেম্বর শরৎ বিষুব নামে পরিচিত, এদিন দিন-রাত প্রায় ১২ ঘণ্টা করে থাকে।
-
সূর্য ঠিক বিষুবরেখার উপর লম্বভাবে আলো দেয়, তাই পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ দুই গোলার্ধেই আলো বণ্টন সমান হয়।
-
এদিন সূর্য পূর্ব দিকের ঠিক মাঝখান থেকে উদয় হয় এবং পশ্চিম দিকের ঠিক মাঝখানে অস্ত যায়।
-
পৃথিবীর ২৩.৫° অক্ষীয় ঝোঁক থাকার পরও বছরের এই সময়ে সূর্যের অবস্থান এমন থাকে যে আলো বিতরণ সমান হয়ে যায়।
-
২৩ সেপ্টেম্বরের পর সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে সরে যেতে শুরু করে, ফলে সেখানে দিন বড় হয়।
-
আরেকটি বিষুব দিন হলো ২১ মার্চ, যাকে বসন্ত বিষুব বলা হয়, তবে প্রশ্ন অনুযায়ী ২৩ সেপ্টেম্বরের ঘটনাটিই প্রযোজ্য।
0
Updated: 3 days ago
ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান কোনটি?
Created: 2 days ago
A
৫ম
B
৪র্থ
C
৩য়
D
২য়
বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ, যেখানে জনসংখ্যা ও খাদ্যচাহিদার তুলনায় ধানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির কৃষিপ্রধান অর্থনীতি ধানকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে, এবং আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত জাতের ব্যবহার উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। নিচে বিষয়টি স্পষ্ট করতে কয়েকটি তথ্য সাজানো হলো।
-
বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীতে ধান উৎপাদনে ৩য় স্থানে, যার আগে রয়েছে চীন ও ভারত।
-
ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য, যেখানে মোট কৃষিজমির বড় অংশেই ধান চাষ হয়।
-
বোরো, আমন ও আউশ—এই তিন মৌসুমে ধান চাষের বিস্তার বাংলাদেশকে শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় রাখে।
-
উন্নত জাতের ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ দেশটির ধান উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করেছে।
-
বাংলাদেশ প্রতিবছর কোটি টন ধান উৎপাদন করে, যা স্থানীয় চাহিদার বড় অংশ পূরণ করে।
-
কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নত জাত উদ্ভাবন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
-
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কৃষি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ তিন উৎপাদনকারীর মধ্যে রয়েছে।
0
Updated: 2 days ago
শিখন-শেখানো কার্যক্রমের কোন নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধানকল্পে কোন ধরনের গবেষণা বেশি উপযোগী?
Created: 1 week ago
A
Action Research
B
Functional Research
C
Applied Research
D
Survey Research
শিক্ষা কার্যক্রমে সমস্যার সমাধানে উপযোগী গবেষণা নির্ধারণের ক্ষেত্রে "Applied Research" বা প্রয়োগিত গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। এ ধরনের গবেষণা মূলত বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে শিক্ষা ও শিখন-শেখানোর প্রেক্ষাপটে। শিক্ষকদের এবং গবেষকদের কাছে Applied Research একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল, যা তাদের শিক্ষামূলক সমস্যাগুলির যথাযথ সমাধান দেয়। এখানে কিছু মূল দিক যা Applied Research-কে বিশেষভাবে উপযোগী করে তোলে:
-
প্রথমত, Applied Research শিক্ষা সম্পর্কিত প্রকৃত সমস্যার উপর ভিত্তি করে। এটি শুধুমাত্র তাত্ত্বিক ধারণা নয়, বরং শ্রেণীকক্ষে এবং শিক্ষার অন্যান্য ক্ষেত্রে আসল সমস্যাগুলির সমাধান দিতে চেষ্টা করে।
-
দ্বিতীয়ত, এই ধরনের গবেষণার লক্ষ্য বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধান। যেমন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা, কিংবা শিক্ষার ফলাফল বৃদ্ধির জন্য নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ।
-
তৃতীয়ত, Applied Research দ্বারা পাওয়া ফলাফল সরাসরি শিক্ষার পরিবেশে ব্যবহৃত হতে পারে। এর মাধ্যমে যেসব কৌশল বা পদ্ধতি পরীক্ষা করা হয়, সেগুলো সাধারণত বাস্তব শ্রেণীকক্ষে প্রয়োগ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি শিক্ষক কোনো পদ্ধতির কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণা করেন, তবে ওই গবেষণার ফলাফল তার শ্রেণীকক্ষে প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষা পদ্ধতিতে উন্নতি আনতে পারে।
-
চতুর্থত, এটি একটি প্র্যাকটিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করে। Applied Research-এ গবেষকরা সমস্যাগুলোর সমাধান প্রস্তাব করার পাশাপাশি, বাস্তবিকভাবে সেই সমাধানগুলো কীভাবে কার্যকরী হতে পারে, তাও খতিয়ে দেখেন।
অন্যদিকে, বাকি বিকল্পগুলো, যেমন Action Research বা Survey Research, যদিও গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষা ক্ষেত্রের ছোটখাটো সমস্যা বা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে Applied Research এর উদ্দেশ্য হলো বৃহত্তর এবং মূল সমস্যা সমাধান করা, যা শিক্ষামূলক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে।
এই কারণে, Applied Research শিখন-শেখানো কার্যক্রমে নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করার জন্য সর্বাধিক উপযোগী গবেষণা পদ্ধতি।
0
Updated: 1 week ago