মালয়েশিয়ার মুদ্রার নাম কী?
A
দিনার
B
রিয়াল
C
রিঙ্গিত
D
রুপি
উত্তরের বিবরণ
একটি দেশের অর্থনৈতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রধান অংশ হল তার সরকারি মুদ্রা। মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে এই মুদ্রা শুধু দৈনন্দিন লেনদেনেই ব্যবহৃত হয় না, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দেশটির পরিচিতিও বহন করে। রিঙ্গিত বর্তমানে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তালিকাভুক্ত তথ্য
-
মালয়েশিয়ার সরকারি মুদ্রার নাম রিঙ্গিত (Malaysian Ringgit – MYR)।
-
১৯৬৭ সালে রিঙ্গিত চালু হয়, যা পূর্বে ব্যবহৃত মালয়ান ডলারকে প্রতিস্থাপন করে।
-
রিঙ্গিত মূলত মালয় ভাষার শব্দ, যার অর্থ “খাঁজকাটা” বা “রিংযুক্ত”, যা প্রাচীন রৌপ্য মুদ্রার আকার থেকে এসেছে।
-
ব্যাংক নেগারা মালয়েশিয়া দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যারা রিঙ্গিত মুদ্রণ ও নিয়ন্ত্রণ করে।
-
আন্তর্জাতিক মানে রিঙ্গিতের সংক্ষিপ্ত রূপ MYR, এবং প্রতীক RM।
-
রিঙ্গিত নোট সাধারণত ১, ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ মূল্যের হয়ে থাকে।
-
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার হওয়ায় বাংলাদেশের অনেক প্রবাসী রিঙ্গিতকে রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশে পাঠান।
-
বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীল দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মুদ্রার মধ্যে রিঙ্গিত অন্যতম বলে অর্থনীতি বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেন।
0
Updated: 10 hours ago
ডেনমার্ক এর মুদ্রা-
Created: 2 days ago
A
কুনা
B
করুনা
C
ক্রোনার
D
কিপ
ডেনমার্কের আর্থিক ব্যবস্থা আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং দেশের অর্থনীতি পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত মূল মুদ্রা হলো ক্রোনার। এটি দেশের প্রতিদিনের লেনদেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• ক্রোনার শব্দটির অর্থ “মুদ্রার শিরোপা” বা “সিংহাসনের মুদ্রা” হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়, যা প্রাচীন ইউরোপীয় প্রচলন থেকে এসেছে।
• ডেনমার্কের ক্রোনারকে সংক্ষেপে DKK আকারে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে প্রকাশ করা হয়।
• এটি সরকারিভাবে ব্যাংক নোট ও কয়েনের আকারে প্রচলিত, যা ছোট থেকে বড় সব ধরনের লেনদেনে ব্যবহৃত হয়।
• দেশের আর্থিক নীতি অনুযায়ী ক্রোনার স্থিতিশীল মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত, যা স্থানীয় বাজারে মূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক।
• আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এবং পর্যটন ক্ষেত্রে ক্রোনার ব্যবহার নিশ্চিত করে যে অর্থনৈতিক লেনদেন সহজ ও নির্ভরযোগ্য হয়।
এভাবে ডেনমার্কের মুদ্রা হলো ক্রোনার, যা দেশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য অপরিহার্য।
0
Updated: 2 days ago
বাংলা মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার হয় কোন সালে?
Created: 2 weeks ago
A
১৬৮২
B
১৯০০
C
১৯৫২
D
১৯৭১
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলা ভাষা প্রথম ছাপার অক্ষরে রূপ পায়, যা পরবর্তীকালে সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিস্তারে অসামান্য ভূমিকা রাখে। ইতিহাস অনুসারে, বাংলা মুদ্রণযন্ত্র প্রথম আবিষ্কার হয় ১৬৮২ সালে। তাই সঠিক উত্তর হলো ১৬৮২।
বাংলা মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার মূলত ইউরোপীয় মিশনারিদের উদ্যোগে ঘটে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইউরোপীয় খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারকরা ভারতবর্ষে এসে ধর্মীয় শিক্ষা ও বাইবেলের প্রচারের জন্য স্থানীয় ভাষায় বই ছাপানোর প্রয়োজন অনুভব করেন। সেই উদ্দেশ্যেই তারা বাংলা ভাষার জন্য বিশেষভাবে মুদ্রণযন্ত্র তৈরি করেন।
ইতিহাসে দেখা যায়, প্রথম বাংলা মুদ্রণযন্ত্র স্থাপিত হয়েছিল হুগলির যিশু মিশনে (Jesuit Mission, Hooghly)। ১৬৮২ সালে পর্তুগিজ মিশনারিরা সেখানে বাংলা ভাষায় ছাপার উদ্যোগ নেন। যদিও সেই সময়কার অনেক ছাপা বই আজ আর টিকে নেই, তবে ঐতিহাসিক দলিল ও ইউরোপীয় গবেষকদের বিবরণে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এই সময়েই বাংলায় প্রথম ছাপা কাজ শুরু হয়—ধর্মীয় পুস্তক, প্রার্থনাসংক্রান্ত লেখা ও শিক্ষা সহায়ক বই।
পরবর্তীকালে বাংলা মুদ্রণযন্ত্রের উন্নতি ঘটে ১৭৭৮ সালে, যখন কলকাতার চিন্তামণি ঘোষ ও ইউরোপীয় মুদ্রক চার্লস উইলকিন্স যৌথভাবে বাংলা হরফে মুদ্রণযন্ত্র তৈরি করেন। উইলকিন্সই প্রথম বাংলা হরফ ডিজাইন করেন, যার ফলে বাংলা বর্ণমালা ছাপার উপযোগী রূপ পায়। তিনি ১৭৭৮ সালে ছাপান বাংলা ভাষার প্রথম ছাপা বই ‘এ গ্রামার অব দ্য বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ’ (A Grammar of the Bengal Language)। এই গ্রন্থটি বাংলা মুদ্রণ ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
১৮০০ সালে কলকাতার সেরামপুর মিশন প্রেস (Serampore Mission Press) প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলা ছাপাখানার কার্যক্রম আরও ব্যাপক হয়। উইলিয়াম কেরি, জোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড এই মিশনের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় অসংখ্য ধর্মীয়, শিক্ষামূলক ও সাহিত্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন। এই সময়েই বাংলা ছাপাখানা এক নতুন যুগে প্রবেশ করে এবং বাংলা সাহিত্যের প্রসারে বিশাল ভূমিকা রাখে।
বাংলা মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার শুধু সাহিত্য নয়, বাংলা সমাজে শিক্ষার প্রসার, পত্রিকা প্রকাশ, ও আধুনিক ভাবধারার বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আবিষ্কারের মাধ্যমেই বাংলা ভাষা মৌখিক ঐতিহ্য থেকে মুদ্রিত সাহিত্যের যুগে প্রবেশ করে।
সবশেষে বলা যায়, ১৬৮২ সালে বাংলা মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার বাংলা ভাষার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক সূচনা, যা পরবর্তীকালে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষার ভিত্তি নির্মাণে মূল ভূমিকা পালন করেছে। এই আবিষ্কারই পরবর্তীতে বাংলা ভাষাকে আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগ ও জ্ঞানচর্চার সঙ্গে যুক্ত করেছে।
0
Updated: 2 weeks ago