খলিফা মামুন কোথাকার শাসনকর্তা ছিলেন?
A
দামেস্ক
B
বাগদাদ
C
কুফা
D
মিসর
উত্তরের বিবরণ
খলিফা আল-মামুন আব্বাসীয় শাসনব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাসক ছিলেন। তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য ও প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য ইতিহাসে বিশেষভাবে পরিচিত। তার শাসনামলে বাগদাদ ছিল জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিখ্যাত “বায়তুল হিকমা” বা ‘হাউস অব উইজডম’। এই কারণেই তার রাজধানী বাগদাদ ইসলামী সভ্যতার সোনালি যুগের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
-
আল-মামুন আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদের পুত্র ছিলেন, যার ফলে তিনি শাসনব্যবস্থায় সরাসরি প্রভাবশালী পরিবার থেকে আগত।
-
তার শাসনকাল ৮১৩ থেকে ৮৩৩ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত, যা ছিল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জ্ঞানচর্চার বিকাশের সময়।
-
রাজধানী বাগদাদ ছিল প্রশাসন, বাণিজ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্র, যেখানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জ্ঞানী, অনুবাদক ও গবেষকরা আসতেন।
-
বায়তুল হিকমা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি গ্রিক, ফারসি, ভারতীয় জ্ঞান অনুবাদের সুযোগ তৈরি করেন, যা পরবর্তীতে ইউরোপীয় রেনেসাঁকে প্রভাবিত করে।
-
ধর্মীয় আলোচনা, দার্শনিক বিতর্ক এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তার বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা ছিল, যা তাকে ইতিহাসে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে।
0
Updated: 10 hours ago
গোপচন্দ্র ছিলেন-
Created: 1 month ago
A
স্বাধীন বংগ রাজ্যের রাজা
B
গৌড়ের রাজা
C
গুপ্ত বংগের রাজা
D
চন্দ্রবংশের রাজা
গোপচন্দ্র ছিলেন স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম গুরুত্বপূর্ণ শাসক হিসেবে ইতিহাসে পরিচিত। তাঁর শাসনকাল ষষ্ঠ শতকের প্রথমার্ধে নির্ধারিত। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনোন্মুখ অবস্থার সুযোগে তিনি স্বাধীন শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
-
গোপচন্দ্র গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলা এবং পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ অংশে স্বাধীন বঙ্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
-
ফরিদপুর জেলার কোটালিপাড়া থেকে আবিষ্কৃত ৫টি তাম্রশাসন, বর্ধমান জেলার মল্লসারুল থেকে ১টি এবং বালেশ্বর জেলার জয়রামপুর থেকে ১টি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে।
-
এই তাম্রশাসনগুলো থেকে স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের তিনজন শাসকের নাম জানা যায়— গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদেব।
-
তাঁদের সম্পর্কে ঐতিহাসিক তথ্য খুবই সীমিত।
0
Updated: 1 month ago
চীন সম্রাটের সঙ্গে দূত বিনিময়ের জন্য প্রসিদ্ধ হয়ে আছেন-
Created: 1 month ago
A
সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
সুলতান সিকান্দার শাহ্
C
সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
D
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
গিয়াসউদ্দীন বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিফলিত হয়েছিল।
মূল তথ্যগুলো হলো—
-
গিয়াসউদ্দীন চীন সম্রাট ইয়ংলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন।
-
তিনি ১৪০৫, ১৪০৮ ও ১৪০৯ খ্রিস্টাব্দে চীনে দূত প্রেরণ করেন।
-
চীন সম্রাট ইয়ংলো ঐ দূতদের আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানান।
-
প্রতিদানে তিনি বাংলার সুলতানের নিকট দূত ও উপঢৌকন পাঠান।
-
এই কূটনৈতিক বিনিময় বাংলার সুলতানের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে।
0
Updated: 1 month ago
গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা-
Created: 1 month ago
A
বঙ্গ
B
সমতট
C
পুণ্ড্রবর্ধন
D
কামরূপ
গুপ্ত সাম্রাজ্যের বিস্তার সম্পর্কিত তথ্য এলাহাবাদ প্রশস্তিলিপি থেকে জানা যায়। এতে দেখা যায় যে, বাংলার প্রায় সব জনপদ গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তবে সমতট ছিল ব্যতিক্রম।
-
এলাহাবাদ প্রশস্তিলিপি অনুযায়ী, গুপ্তরা সমতট ব্যতীত বাংলার সব জনপদ নিজেদের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
সমতট ছিল একটি করপ্রদানকারী আশ্রিত রাজ্য, যা গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হলেও স্বাধীনভাবে শাসিত ছিল।
-
এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রভাব বাংলার প্রায় সর্বত্র বিস্তৃত ছিল, তবে সমতট আংশিকভাবে স্বাধীনতা বজায় রেখেছিল।
0
Updated: 1 month ago