ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপের নাম কি?
A
যুক্তবর্ণ
B
অনুবর্ণ
C
মহাপ্রাণ
D
সন্ধি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ব্যাকরণে ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু রূপ বিশেষ অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে ভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয়। এই পরিবর্তিত বা বিকল্প রূপগুলোকেই বলা হয় অনুবর্ণ। মূলত শব্দগঠনে সঠিক উচ্চারণ বজায় রাখতে এবং ভাষার ধ্বনিগত প্রয়োজন মেটাতে অনুবর্ণ ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যঞ্জনধ্বনিকে কেবল প্রতিস্থাপনই করে না, বরং উচ্চারণকে স্বাভাবিক ও প্রাঞ্জল করতেও সাহায্য করে। ব্যাকরণিক কাঠামোতে অনুবর্ণকে একটি মৌলিক ধ্বনিগত রূপান্তর হিসেবে গণ্য করা হয়।
তালিকাভুক্ত তথ্যঃ
– অনুবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপ, যা উচ্চারণগত প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহৃত হয়।
– শব্দে ধ্বনিগত সংঘাত বা উচ্চারণের অসুবিধা হলে অনুবর্ণ ব্যবহার করে উচ্চারণ সহজ করা হয়।
– অনুবর্ণ সাধারণত ন, ম, ল, স ইত্যাদি বর্ণের উচ্চারণে দেখা যায়।
– ব্যকরণে এটি ধ্বনিবিজ্ঞান বা ফোনেটিক পরিবর্তন–এর অধীন একটি অংশ।
– অনুবর্ণের ব্যবহার ভাষাকে আরও সাবলীল, সহজ ও শ্রুতিমধুর করে তোলে।
– যুক্তবর্ণের মতো এটি নতুন ধ্বনি তৈরি করে না; বরং বিদ্যমান ধ্বনির একটি রূপভেদ প্রকাশ করে।
0
Updated: 10 hours ago
'তামার বিষ' বাগধারার অর্থ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
গভীর আঘাত
B
ধাতব পদার্থের আঘাত
C
অর্থের কুপ্রভাব
D
পুরোনো ক্ষত
‘অনিল’ শব্দটি সংস্কৃত উৎসজাত একটি শব্দ, যার অর্থ বাতাস বা বায়ু। এটি প্রাকৃতিক জগতের একটি অপরিহার্য উপাদানকে নির্দেশ করে, যা জীবজগতের অস্তিত্ব ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও ‘অনিল’ শব্দটি কাব্যিক রূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, বিশেষত কবিতা ও শ্লোকে বাতাসের কোমলতা, স্বচ্ছতা কিংবা অদৃশ্য গতিকে বোঝাতে।
‘অনিল’ শব্দের শাব্দিক উৎপত্তি সংস্কৃত ‘অনিল’ (Anila) থেকে, যেখানে ‘অ’ মানে ‘না’ এবং ‘নিল’ অর্থ ‘নিশ্চল’। অর্থাৎ ‘যে কখনো স্থির নয়’—এই ধারণা থেকেই ‘অনিল’ শব্দটি এসেছে, যা চলমান ও সর্বব্যাপী বায়ুর রূপক অর্থে ব্যবহৃত। ভাষাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এটি একটি বিশেষ্য পদ, যা প্রকৃতির একটি নির্দিষ্ট উপাদানকে নির্দেশ করে।
বাংলা ভাষায় ‘বাতাস’ শব্দের সমার্থক হিসেবে ‘অনিল’ ছাড়াও সমীরণ, পবন, বায়ু ও মারুত শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ‘অনিল’ অপেক্ষাকৃত প্রাচীন ও কাব্যময় ধ্বনি বহন করে, যার ব্যবহার বিশেষ করে প্রাচীন কবিতা ও সংস্কৃতানুগ সাহিত্যে বেশি দেখা যায়। মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনাতেও ‘অনিল’ শব্দটি প্রকৃতির মাধুর্য ও সজীবতার প্রতীক হিসেবে এসেছে।
সাহিত্যিক ব্যবহারে ‘অনিল’ শুধু একটি প্রাকৃতিক বস্তুর নাম নয়; বরং এটি অনেক সময় প্রতীকী অর্থেও ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ‘অনিল বয়ে যায়’ বলতে বোঝানো হয় স্বাধীনভাবে প্রবাহিত জীবন বা সময়ের চলমানতা। কখনো এটি প্রেম, আশার বার্তা বা পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। আবার ধর্মীয় ও পৌরাণিক সাহিত্যে অনিলকে ‘বায়ু-দেবতা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি পৃথিবীর জীবনীশক্তি ধারণ করেন।
বিজ্ঞানভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অনিল বা বায়ুর গুরুত্ব অপরিসীম। বায়ু ছাড়া জীবের শ্বাস-প্রশ্বাস, উদ্ভিদের আলোকসংস্লেষণ কিংবা প্রকৃতির তাপমাত্রার ভারসাম্য সম্ভব নয়। তাই ‘অনিল’ শব্দটি কেবল সাহিত্যিক নয়, জীববৈজ্ঞানিক ভাবেও গভীর তাৎপর্য বহন করে।
অতএব, ‘অনিল’ শব্দের অর্থ বাতাস—এটি শুধু একটি ভাষাগত তথ্য নয়, বরং একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক প্রতীক, যা প্রাকৃতিক গতিশীলতা, জীবনের স্পন্দন এবং স্বাধীনতার প্রতিরূপ হিসেবে বাংলা সাহিত্যে সুদীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
0
Updated: 2 weeks ago
তুমি আজ স্কুলে যাবে কি?" - এখানে 'কি' কোন প্রকারের পদ?
Created: 2 months ago
A
প্রশ্নবাচক
B
অব্যয়
C
সর্বনাম
D
বিশেষণ
বাখ্যা:
-
বাক্য: "তুমি আজ স্কুলে যাবে কি?"
-
এখানে “কি” হলো অব্যয় পদ, কারণ এটি প্রশ্ন করার ভঙ্গি যোগ করছে এবং লিঙ্গ, বচন, কারক বা কাল পরিবর্তন হয় না।
-
যদি শব্দটি কোনো বস্তু, ব্যক্তি বা সংখ্যাকে নির্দেশ করত, তবে এটি প্রশ্নবাচক সর্বনাম হতো। যেমন: “তোমার জেলার নাম কী?” – এখানে “কী” প্রশ্নবাচক সর্বনাম পদ।
-
সারসংক্ষেপে, এই বাক্যে “কি” কেবল প্রশ্নসূচক অব্যয়, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করে না।
-
সর্বনাম পদ:
-
বাক্যে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলা হয়।
-
উদাহরণ: সুন্দর ফুল, বাজে কথা।
-
0
Updated: 2 months ago
’পদ্মপাতায় জল’ বাগ্ধারার অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
ক্ষণস্থায়ী
B
অহংকার
C
অসম্ভব বস্তু
D
অলীক কল্পনা
বাংলা ভাষায় কিছু বাগধারা বিশেষ অর্থ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ—
-
পদ্মপাতায় জল – অর্থ: ক্ষণস্থায়ী
-
ব্যাংঙের সর্দি – অর্থ: অসম্ভব বস্তু
-
দিবা স্বপ্ন – অর্থ: অলীক কল্পনা
-
পায়া ভারী – অর্থ: অহংকার
উৎস:
0
Updated: 1 month ago