'লালসালু' উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদকের নাম কে?
A
আনিসুজ্জামান
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্
C
রফিকুজ্জামান
D
সেলিনা হোসেন
উত্তরের বিবরণ
লালসালু বাংলা সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যার ইংরেজি রূপান্তর মূল লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ নিজেই করেছেন। অনুবাদটি শুধু ভাষান্তর নয়, বরং মূল প্রতীক, চরিত্র ও গ্রামীণ সমাজের মনস্তত্ত্বকে আন্তর্জাতিক পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়। এতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে লেখক নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে চরিত্রগুলোর মানসিক গঠনকে নতুন ভাষায় সঠিকভাবে রূপ দিতে চেয়েছেন।
তালিকা আকারে প্রয়োজনীয় তথ্য:
-
লেখক: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (জন্ম: ১৯২২ — মৃত্যু: ১৯৭১)
-
মূল উপন্যাস প্রকাশ: ১৯৪৮ সালে
-
ইংরেজি অনুবাদ: লেখক নিজে করেন
-
ইংরেজি শিরোনাম: Tree Without Roots
-
অনুবাদের উদ্দেশ্য: গ্রামীণ ধর্মীয় প্রতারণা, কুসংস্কার ও সামাজিক বাস্তবতা বিশ্ব পাঠকের কাছে তুলে ধরা
-
অনুবাদে বৈশিষ্ট্য: মূল কাহিনির টোন, পরিবেশ ও চরিত্রের গভীরতা অক্ষুণ্ণ রাখা
-
উপন্যাসের মূল চরিত্র: মজিদ
-
মূল ভাব: ধর্মীয় ভন্ডামি ও মানুষের সহজ-সরল বিশ্বাসের সুযোগ গ্রহণ
-
বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণের সম্পর্ক: ইংরেজি অনুবাদে বর্ণনাশৈলী কিছুটা সংক্ষিপ্ত হলেও মূল বক্তব্য অপরিবর্তিত থাকে
0
Updated: 13 hours ago
'নদী সিকস্তি' কারা?
Created: 3 weeks ago
A
নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত জনগণ
B
নদীর চর জাগলে যারা দখল করতে চায়
C
নদীতে যারা সারা বছর মাছ ধরে
D
নদীর পাড়ে যারা বসবাস করে
বাংলা ভাষায় ‘নদী সিকস্তি’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয় এমন জনগণের বর্ণনার জন্য যারা নদী ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়েছে, অর্থাৎ নদীর ক্ষয় বা ভাঙনের কারণে তাদের বসতভূমি, ফসলি জমি এবং জীবনযাপন হারাতে হয়েছে। এটি কোনো বিশেষ পেশা বা বসবাসের ভিত্তিতে নয়, বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে বোঝায়। তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত জনগণ।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
নদী সিকস্তি শব্দের অর্থ:
-
“নদী” → নদী সম্পর্কিত বা নদীর আশেপাশের।
-
“সিকস্তি” → ভুক্তভোগী, ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বস্বান্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত।
-
মিলিতভাবে, নদী সিকস্তি অর্থ দাঁড়ায় নদীর ক্ষয় বা ভাঙনের কারণে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ।
বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ:
-
বাংলাদেশে নদীভাঙন একটি সাধারণ সমস্যা। নদীর বালুচর, বাঁধ, ভাঙা পাড়ের কারণে অনেক মানুষ তাদের জমি ও বসতি হারায়।
-
এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে স্থানীয় ভাষায় নদী সিকস্তি বলা হয়।
-
তারা শুধু বসতিই হারান না, বরং জীবিকার উৎসও অনেকাংশে লোপ পায়।
অন্য বিকল্পগুলোর ভুল ব্যাখ্যা:
-
(খ) নদীর চর জাগলে যারা দখল করতে চায়: এটি নদীর নতুন জমি বা চর দখলকারীদের বোঝায়, কিন্তু তারা ক্ষতিগ্রস্ত নয়।
-
(গ) নদীতে যারা সারা বছর মাছ ধরে: এটি মৎস্যজীবীদের বর্ণনা, যাদের ‘সিকস্তি’ বা ভাঙনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই।
-
(ঘ) নদীর পাড়ে যারা বসবাস করে: এটি শুধু অবস্থান নির্দেশ করে, তবে তারা সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত নাও হতে পারে।
সারসংক্ষেপ:
-
নদী সিকস্তি হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
-
এটি জীবিকার ক্ষতি, বসতি ধ্বংস ও সম্পদের ক্ষয় নির্দেশ করে।
উপসংহার:
বাংলা ভাষায় নদী সিকস্তি বলতে বোঝায় নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত জনগণ, তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত জনগণ।
0
Updated: 3 weeks ago
শিক্ষা বিষয়ক ইউনেস্কাের বার্ষিক প্রতিবেদন কোনটি?
Created: 1 week ago
A
Education Watch
B
Global Education Monitoring Report
C
Global Assessment Report
D
Global Education Report
শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর অগ্রগতি ও বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণের জন্য ইউনেস্কো প্রতি বছর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার নাম Global Education Monitoring Report (GEM Report)। এটি বিশ্বব্যাপী শিক্ষার মান, সমতা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG 4)-এর অগ্রগতি মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিকভাবে শিক্ষা খাতের সফলতা ও সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে কার্যকর নীতিমালা গ্রহণে সহায়তা করে।
-
Global Education Monitoring Report (GEM Report) হল ইউনেস্কোর একমাত্র সরকারি বার্ষিক শিক্ষা প্রতিবেদন, যা বিশ্বব্যাপী শিক্ষা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG 4: Quality Education)-এর বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রতিটি দেশের নীতিগত অগ্রগতি পর্যালোচনা করে।
-
এই প্রতিবেদনটি Education for All (EFA) Global Monitoring Report নামেও পরিচিত ছিল ২০০২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। পরবর্তীতে ২০১৬ সাল থেকে এর নামকরণ করা হয় Global Education Monitoring Report।
-
এর প্রধান লক্ষ্য হল শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য হ্রাস করা, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।
-
প্রতিবেদনটি শিক্ষানীতি, শিক্ষা ব্যয়, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো ও শিক্ষার্থীদের ফলাফলসহ নানা দিক বিশ্লেষণ করে।
-
প্রতিটি বছর প্রতিবেদনের একটি নির্দিষ্ট থিম বা বিষয়বস্তু নির্ধারিত থাকে, যেমন—শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ইত্যাদি।
-
GEM রিপোর্ট তৈরি করে ইউনেস্কোর Institute for Statistics (UIS) এবং GEM Secretariat, যারা বৈশ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণা পরিচালনা করে।
-
এই প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার, শিক্ষানীতি নির্ধারক ও গবেষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
এর মাধ্যমে ইউনেস্কো শিক্ষার মান উন্নয়ন, অর্থায়ন বৃদ্ধি, প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষা সুবিধা প্রসারে জোর দেয়।
-
GEM রিপোর্টের মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রগতি ও সীমাবদ্ধতা মূল্যায়ন করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক মানে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে।
Education Watch, Global Assessment Report এবং Global Education Report—এই তিনটি ইউনেস্কোর শিক্ষা বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন নয়। Education Watch সাধারণত বেসরকারি সংস্থা বা স্থানীয় পর্যবেক্ষণমূলক উদ্যোগ, যা নির্দিষ্ট অঞ্চলের শিক্ষা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে। Global Assessment Report মূলত ইউনেস্কোর আরেকটি শাখা UNESCO-WWAP কর্তৃক প্রকাশিত হয়, যা জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। আর Global Education Report নামে ইউনেস্কোর কোনো স্বীকৃত বার্ষিক প্রতিবেদন নেই।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো খ) Global Education Monitoring Report, যা শিক্ষাক্ষেত্রে ইউনেস্কোর প্রধান বৈশ্বিক মূল্যায়নমূলক প্রতিবেদন।
0
Updated: 1 week ago
যোজক কাকে বলে?
Created: 3 weeks ago
A
পদ
B
বর্গ
C
বাক্য
D
সবগুলোই
যোজক এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ, যা ভাষার গঠনকে সংযোজিত ও অর্থবহ করে তোলে। এটি বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন পদ, বাক্যাংশ বা বাক্যকে যুক্ত করে অর্থের ঐক্য সৃষ্টি করে। বাংলা ভাষায় যোজকের ব্যবহার বাক্যের সুষমা ও যুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। যোজক সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ:
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য বাক্য বা বাক্যের অংশবিশেষের সংযোজন, বিয়োজন বা সম্পর্ক স্থাপন করে, তাদের যোজক বলা হয়।
-
মূল কাজ: যোজকের প্রধান কাজ হলো দুটি বা ততোধিক শব্দ, পদবন্ধ, উপবাক্য বা বাক্যকে যুক্ত করা, যাতে বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।
-
ব্যবহারিক দিক: এটি বাক্যকে জটিল না করে, বরং অর্থগতভাবে আরও সম্পূর্ণ ও সুন্দর করে তোলে।
-
যোজকের প্রকারভেদ:
-
সমুচ্চয় যোজক: দুটি সমপদ বা সমার্থক অংশ যুক্ত করে। যেমন— এবং, আর, ও, কিংবা, অথবা।
-
অধোজ্ঞাপক যোজক: একটি অংশ অপর অংশের অধীনতা প্রকাশ করে। যেমন— যদিও, যদি, কারণ, যেন, যাতে।
-
-
উদাহরণ:
-
রবি এবং রিমা আজ স্কুলে গেছে।
-
তুমি এলে আর আমি গেলাম।
-
যদি বৃষ্টি হয় তবে মাঠে খেলা হবে না।
-
-
ব্যাকরণে গুরুত্ব:
যোজক ছাড়া বাক্যের ভাব অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এটি ভাষার গঠন ও ভাব প্রকাশের ভারসাম্য রক্ষা করে। -
বাক্যে অবস্থান: সাধারণত দুই পদের বা বাক্যের মাঝখানে ব্যবহৃত হয়, তবে কখনও কখনও বাক্যের শুরুতেও আসতে পারে।
-
অর্থগত ভূমিকা: যোজক শুধু সংযোগ নয়, বাক্যের আবেগ, কারণ, ফলাফল, তুলনা ও শর্ত প্রকাশেও ভূমিকা রাখে।
-
ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি: যোজকের সঠিক প্রয়োগ ভাষাকে সাবলীল, সংগঠিত ও শ্রুতিমধুর করে তোলে।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, যোজক হলো এমন এক পদ যা শব্দ, পদবন্ধ ও বাক্যকে যুক্ত করে সম্পূর্ণ অর্থবোধক বাক্য রচনা করতে সহায়তা করে। এটি ভাষার কাঠামোগত ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ভাব প্রকাশকে প্রাঞ্জল করে তোলে।
0
Updated: 3 weeks ago