উপকারীর অপকার করে যে, তাকে এক কথায় কী বলা হয়?
A
দানশীল
B
কৃতজ্ঞ
C
কৃতঘ্ন
D
সদাশয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় এমন অনেক শব্দ রয়েছে যেগুলো মানুষের স্বভাব বা আচরণকে এক কথায় প্রকাশ করে। উপকারীর অপকার করে যে ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, তাকে কৃতঘ্ন বলা হয়। এই শব্দটি মূলত কৃতজ্ঞতার বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে এবং এমন মানুষের চরিত্রের নৈতিক দুর্বলতাকে নির্দেশ করে। নিচে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হলো।
-
কৃতঘ্ন শব্দের অর্থ হলো যে উপকার স্বীকার করে না বা উপকারীর ক্ষতি করে।
-
এটি কৃতজ্ঞ শব্দের বিপরীত; কৃতজ্ঞ মানে উপকার স্বীকারকারী, আর কৃতঘ্ন মানে সেই স্বীকৃতি অস্বীকারকারী।
-
নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কৃতঘ্নতা একটি নিন্দনীয় চরিত্রদোষ; সমাজে এমন ব্যক্তিদের আচরণকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয়।
-
এই শব্দটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় যখন কেউ কারও সহায়তা পেলেও পরবর্তী সময়ে উপকারীর প্রতি বিরূপ আচরণ করে।
-
বিভিন্ন সাহিত্যকর্মেও 'কৃতঘ্ন' শব্দটি মানুষের অকৃতজ্ঞতা বোঝাতে ব্যবহার হয়েছে, বিশেষ করে সতর্কবার্তা ও নৈতিক মূল্যবোধ বোঝানোর ক্ষেত্রে।
-
শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এক কথায় প্রকাশ বিষয়ে এ ধরনের শব্দভান্ডার পরীক্ষায় প্রায়ই আসে।
0
Updated: 13 hours ago
'যে জমিতে ফসাল জন্মায় না' এক কথায়-
Created: 2 weeks ago
A
পতিত
B
অনুর্বর
C
ঊষর
D
বন্ধ্যা
‘ঊষর’ শব্দটি এমন এক ধরনের জমিকে বোঝায় যেখানে কোনো ধরনের ফসল জন্মায় না বা কৃষিকাজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। এটি মাটি ও প্রকৃতির উর্বরতার অভাব নির্দেশ করে। এই কারণে প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ‘ঊষর’।
• ‘ঊষর’ শব্দের অর্থ হলো এমন ভূমি যা ফসল উৎপাদনে অক্ষম, অর্থাৎ যেখানে বীজ বপন করলেও গাছ জন্মায় না বা ফলন হয় না। সাধারণত শুষ্ক, বালুময় বা লবণাক্ত মাটিকে ঊষর বলা হয়।
• ‘ঊষর ভূমি’র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—এর মাটিতে পানি ধারণের ক্ষমতা কম থাকে, প্রাকৃতিক সার বা জীবাণুর উপস্থিতি কম থাকে এবং এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান (যেমন নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ) থাকে না। ফলে গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।
• ‘ঊষর’ শব্দের উৎস সংস্কৃত ‘উষর’ থেকে এসেছে, যার অর্থ শুকনো, নির্জীব বা অনুর্বর। এই শব্দটি মূলত প্রকৃতি ও কৃষি সম্পর্কিত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন—‘ঊষর ভূমি’, ‘ঊষর মাটি’, ‘ঊষর প্রান্তর’ ইত্যাদি।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহার উদাহরণ: “এই গ্রামের দক্ষিণ দিকের জমিগুলো একদম ঊষর হয়ে গেছে, এখন আর সেখানে ধান হয় না।” এই বাক্যে ‘ঊষর’ শব্দটি এমন জায়গার ইঙ্গিত দেয় যা উৎপাদনশীল নয়।
• ভুল বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
‘পতিত’ মানে হলো চাষাবাদ বন্ধ থাকা জমি, যা কিছুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়নি কিন্তু চাইলে আবার চাষযোগ্য করা যায়। এটি স্থায়ীভাবে অনুর্বর নয়।
-
‘অনুর্বর’ শব্দটি ফসল উৎপাদনে দুর্বল মাটি বোঝাতে ব্যবহৃত হলেও, এতে সীমিত পরিমাণে উৎপাদন সম্ভব হতে পারে। অর্থাৎ, এটি সম্পূর্ণ ফসলহীন নয়।
-
‘বন্ধ্যা’ শব্দটি সাধারণত জীবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অর্থাৎ সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। তবে মাঝে মাঝে রূপক অর্থে ‘বন্ধ্যা মাটি’ বলা হলেও সাহিত্যিকভাবে এটি বেশি প্রচলিত।
• সুতরাং ‘ঊষর’ শব্দটি সবচেয়ে সঠিক কারণ এটি এমন জমির প্রকৃতি প্রকাশ করে যেখানে সম্পূর্ণভাবে চাষাবাদ অসম্ভব, এবং এটি স্থায়ীভাবে উৎপাদনশক্তিহীন ভূমিকে বোঝায়।
বাংলা শব্দভাণ্ডারে ‘ঊষর’ শব্দটি শুধু কৃষিভিত্তিক নয়, বরং রূপক অর্থেও ব্যবহৃত হয়—যেমন ‘ঊষর মন’ মানে অনুভূতিশূন্য বা নিষ্প্রাণ মন। তাই শব্দটি ভাষাগত দিক থেকেও গভীর অর্থবহ ও বহুমাত্রিক।
0
Updated: 2 weeks ago
এক কথায় প্রকাশ করুন — “যে নারীর হাসি সুন্দর”।
Created: 2 weeks ago
A
সুচরিতা
B
সুস্মিতা
C
সুন্দরী
D
সুমিতা
‘সুস্মিতা’ শব্দটি এমন এক নারীর গুণ প্রকাশ করে, যার হাসি মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয়। এটি সংস্কৃত উৎস থেকে আগত একটি সুন্দর নারীনাম, যার মাধ্যমে হাসির সৌন্দর্য ও কোমলতার ধারণা প্রকাশ পায়।
প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ:
-
‘সুস্মিতা’ শব্দের গঠন: ‘সু’ (অর্থাৎ ভালো বা সুন্দর) + ‘স্মিত’ (অর্থাৎ হাসি) = সুস্মিতা, যার অর্থ “যার হাসি সুন্দর”।
-
শব্দের উৎস: এটি সংস্কৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত। বাংলা ভাষায় নাম ও বিশেষণ উভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়।
-
ব্যাকরণিক দিক: এটি স্ত্রীলিঙ্গবাচক বিশেষ্য। সাধারণত নারী নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
অর্থের বিশ্লেষণ:
-
‘সু’ উপসর্গটি কোনো কিছুর উৎকৃষ্টতা বা সৌন্দর্য প্রকাশ করে।
-
‘স্মিত’ শব্দটি হালকা বা মৃদু হাসিকে বোঝায়।
-
দুটি মিলিয়ে ‘সুস্মিতা’ হয়, অর্থাৎ “যে নারী সুন্দরভাবে হাসে” বা “যার হাসি মুগ্ধকর।”
-
-
ব্যবহারের উদাহরণ:
-
সাহিত্য বা কাব্যে যেমন বলা হয়— “সুস্মিতার মধুর হাসি চারপাশকে আলোকিত করল।”
-
এই শব্দটি সৌন্দর্য, কোমলতা, ও সৌজন্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
-
সংশ্লিষ্ট শব্দ:
-
সুমুখী: যার মুখ সুন্দর।
-
সুবর্ণা: যার বর্ণ বা রঙ সুন্দর।
-
সুচরিতা: যার চরিত্র উত্তম।
এই শব্দগুলোও “সু” উপসর্গ যুক্ত, যা কোনো ভালো বা ইতিবাচক গুণ নির্দেশ করে।
-
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: ‘সুস্মিতা’ নামটি অনেক বাংলা কবিতা, গান ও উপন্যাসে ব্যবহৃত হয়েছে সৌন্দর্য ও মাধুর্যের প্রতীক হিসেবে। এটি কেবল নাম নয়, বরং নারীর হাসির সৌন্দর্যকে কাব্যিকভাবে প্রকাশের একটি মাধ্যম।
-
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক: ভারতীয় সংস্কৃতিতে ‘সুস্মিতা’ নামটি সৌভাগ্য, শান্তি ও আনন্দের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক দেবী বা কাব্যচরিত্রের নামেও এটি দেখা যায়।
-
মনস্তাত্ত্বিক তাৎপর্য: সুন্দর হাসি ইতিবাচক মানসিকতার প্রতিফলন। তাই ‘সুস্মিতা’ নামটি কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং এক গভীর মানসিক সৌন্দর্যকেও বোঝায়।
সর্বোপরি, “যে নারীর হাসি সুন্দর” এই বাক্যের এক কথায় প্রকাশ ‘সুস্মিতা’, কারণ এই শব্দের মাধ্যমে সৌন্দর্য, মাধুর্য ও মমতার মিলিত রূপ প্রতিফলিত হয়।
0
Updated: 2 weeks ago
খেয়া পার করে যে, তাকে বলা হয়-
Created: 2 weeks ago
A
মাঝী
B
ঘাটাল
C
পাটনী
D
কর্ণধার
খেয়া পার করে যে, তাকে "পাটনী" বলা হয়। এটি একটি বাংলা শব্দ যা সাধারণত নৌকা বা জলযান চালানোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। খেয়া বা নদী পার করার কাজ সাধারণত পাটনী বা নৌকার মাঝির মাধ্যমে হয়ে থাকে।
এখানে অন্যান্য অপশনগুলো দেখে নেওয়া যাক:
-
মাঝী: মাঝী হলেন নৌকা বা জলযান চালানোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি, তবে তিনি বিশেষত নৌকার মাঝি বা মালবাহী নৌকার চালক। "পাটনী" শব্দটি মাঝীর একটি বিশেষ রূপ যা খেয়া পারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
-
ঘাটাল: ঘাটাল শব্দটি সাধারণত এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যারা নৌকা বা জলযানের ঘাটে দায়িত্ব পালন করে। তারা নৌকা ওঠানো ও নামানোর কাজে সহায়তা করে থাকে।
-
কর্ণধার: কর্ণধার শব্দটি সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানের বা দলের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিকে বোঝায়, তবে এটি খেয়া পার করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় না। এটি একটি শাসক বা প্রধানের পদবী।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো পাটনী, যিনি খেয়া পার করার দায়িত্বে থাকেন।
0
Updated: 2 weeks ago