‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কী ধরনের রচনা?
A
ছোটগল্প
B
কাব্যনাটক
C
উপন্যাস
D
পত্রপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় সৈয়দ শামসুল হক রচিত একটি কাব্যনাট্য। এখানে মুক্তিযুদ্ধকে মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ শত্রু মুক্ত হওয়ার সময়কালে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি। তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যনাট্য নূরলদীনের সারাজীবন, এখানে এখন, গণনায়ক, বাংলার মাটি বাংলার জল ইত্যাদি।

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন শব্দটি রোগ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
মাথা ব্যথা
B
মাথা ঘামান
C
মাথা ধরা
D
মাথা দেয়া
মাথা ব্যথা এটি একটি উপসর্গ বা লক্ষণ, তবে সরাসরি রোগ নয়।
-
মাথা ঘামান মানসিক পরিশ্রম করা বা চিন্তায় মগ্ন হওয়া বোঝায়, রোগ নয়।
-
মাথা ধরা বাংলা ভাষায় এটি মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনজনিত অসুস্থতার সমার্থক, অর্থাৎ রোগ নির্দেশক শব্দ।
-
মাথা দেওয়া আত্মসমর্পণ বা সঁপে দেওয়া বোঝায়, রোগ নয়।
তাই “মাথা ধরা” শব্দটিই রোগ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি বিশ শতকের পত্রিকা?
Created: 1 month ago
A
শনিবারের চিঠি
B
বঙ্গদর্শন
C
তত্ত্ববােধিনী
D
সংবাদ প্রভাকর
শনিবারের চিঠি, বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধিনী এবং সংবাদ প্রভাকর পত্রিকাগুলি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। এই পত্রিকাগুলোর প্রকাশনার সময়কাল, উদ্দেশ্য ও প্রভাব ভিন্ন হলেও প্রত্যেকটি তার সময়ের সাহিত্য-চর্চা ও সামাজিক জ্ঞানের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছে।
-
শনিবারের চিঠি পত্রিকা: এটি একটি স্যাটায়ারধর্মী সাহিত্যিক পত্রিকা, যা প্রথমে সাপ্তাহিক পরে মাসিক প্রকাশিত হয়। প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হাস্য কৌতুকের মাধ্যমে সমসাময়িক সাহিত্য-চর্চাকে সমালোচনা করা। প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে, এবং ১৯৩০-৪০-এর দশকে কলকাতা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যের জগতে বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করে। পত্রিকার সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ থাকলেও এটি তৎকালীন সাহিত্যকে অনুপ্রাণিত করেছিল। পত্রিকার প্রাণপুরুষ ছিলেন সজনীকান্ত দাস, যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পত্রিকার প্রকাশনা ও সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন।
-
বঙ্গদর্শন পত্রিকা: এটি প্রথম প্রকাশ করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ১৮৭২ সালে। উনিশ শতকের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের, বিশেষত বাংলা গদ্যের গঠনে, এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকাটি মাত্র চার বছর, ১৮৭৬ পর্যন্ত, প্রকাশিত হয়।
-
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা: ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে এটি ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পত্রিকার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
সংবাদ প্রভাকর পত্রিকা: প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, যিনি ১৮৩১ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হতে থাকে।
সারসংক্ষেপে দেখা যায়, শনিবারের চিঠি পত্রিকা বিশ শতকে প্রকাশিত হয়, যেখানে বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধিনী এবং সংবাদ প্রভাকর উনিশ শতকের পত্রিকা।

0
Updated: 1 month ago
বড় > বড্ড - এটি কোন ধরনের পরিবর্তন?
Created: 1 month ago
A
বিষমীভবন
B
সমীভবন
C
ব্যঞ্জনদ্বিত্ব
D
ব্যঞ্জন-বিকৃতি
দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্ব হলো এমন একটি ঘটনা যেখানে কখনো কখনো শব্দের মধ্যে থাকা ব্যঞ্জনধ্বনিটি জোর দেওয়ার জন্য দুইবার উচ্চারিত হয়। এটি শব্দের স্বাভাবিক ধ্বনির তুলনায় অতিরিক্ত জোর প্রদর্শন করে।
-
যেমন, পাকা শব্দটি উচ্চারিত হয় পাক্কা হিসেবে;
-
সকাল শব্দটি উচ্চারিত হয় সক্কাল হিসেবে;
-
অনুরূপভাবে, বড় শব্দটি উচ্চারিত হয় বড্ড হিসেবে।
এই নিয়মটি বাংলা ভাষার উচ্চারণে বিশেষভাবে দেখা যায় এবং এটি বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

0
Updated: 1 month ago