A
১৯০৯
B
১৭৯৮
C
১৯০৭
D
১৭০৯
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
চর্যাপদের সাথে আরও দুটি বই – ডাকার্ণব ও দোহাকোষ যেগুলো নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের সাথে আবিষ্কৃত হয়। তাঁরই সম্পাদনায় ৪৭ (সাড়ে ৪৬)টি পদবিশিষ্ট পুথিখানি ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
তিনি পুথির সূচনায় একটি সংস্কৃত শ্লোক থেকে নামের যে ইঙ্গিত পান তাতে এটি চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয় নামেও পরিচিত হয়। তবে সংক্ষেপে এটি ‘বৌদ্ধগান ও দোহা’ বা ‘চর্যাপদ’ নামেই অভিহিত হয়ে থাকে।

0
Updated: 4 weeks ago
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন কোনটি?
Created: 3 months ago
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য
C
বঙ্গবাণী
D
অন্যমঙ্গল কাব্য
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন।
- এটি মূলত গানের সংকলন।
- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। সহজিয়াগণ হচ্ছেন বৌদ্ধ সহজযান পন্থি।
- চর্যাপদের পদ সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ আছে। সুকুমার সেনের হিসাবে ৫১টি পদ এবং মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন ৫০টি পদ। চর্যাপদ ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় এই মতান্তরের সৃষ্টি।
- চর্যাপদের কবির সংখ্যা ২৩ মতান্তরে ২৪ জন।
- চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা আজ বলা সম্ভবপর নয়। তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীন বিবেচ্য।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago
৪) 'সান্ধ্য ভাষা' কোন গ্রন্থের সাথে সম্পর্কিত?
Created: 2 weeks ago
A
চর্যাপদ
B
সেক শুভোদয়া
C
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
D
মঙ্গলকাব্য
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা:
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শন—চর্যাপদ। অন্য নামে পরিচিত: চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি। -
ধরন:
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন। -
বিষয়বস্তু:
-
বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী সাধনভজনের তত্ত্ব প্রকাশ।
-
চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের চর্চা ও শিক্ষার বিষয়বস্তু উঠে এসেছে।
-
-
আবিষ্কার:
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে ১৯০৭ সালে আবিষ্কৃত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন।
-
-
ভাষা:
-
চর্যাপদের ভাষা: ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’।
-
ভাষা কখনও স্পষ্ট, কখনও অস্পষ্ট, তাই একে ‘আলো-আঁধারি’ ভাষা বলা হয়।
-
-
ছন্দ:
-
চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন ছন্দে রচিত, যা আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচ্য।
-
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 weeks ago
'চর্যাপদ' কত সালে আবিষ্কৃত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৮০০
B
১৮৫৭
C
১৯০৭
D
১৯০৯
চর্যাপদ
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কবিতা/গান কাব্যসংকলন হিসেবে পরিচিত।
-
আদি যুগে লেখা এই পদগুলি মূলত রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। পদগুলোর বিষয়বস্তুতে বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী সাধনা, ভজন এবং আধ্যাত্মিক তত্ত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
-
চর্যাপদকে বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত দলিল বলা হয়।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। পরে ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
পদসংখ্যা ও প্রাপ্তি
-
চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫০টি। তবে গবেষক সুকুমার সেন মনে করেন পদসংখ্যা ৫১টি।
-
আবিষ্কৃত হয়েছে সাড়ে ৪৬টি পদ।
-
অনাবিষ্কৃত বা বিলুপ্ত পদ রয়েছে সাড়ে ৩টি।
-
ভুসুকুপা রচিত ২৩নং পদ অসম্পূর্ণ (৬টি স্তবক পাওয়া গেছে, ৪টি হারিয়ে গেছে)।
-
এছাড়া ২৪নং (কাহ্নপা), ২৫নং (তন্ত্রীপা), এবং ৪৮নং (কুক্কুরীপা) পদগুলো পাওয়া যায়নি।
অনুবাদ ও গবেষণা
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র। পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
প্রথম ধর্মতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (১৯২৭)।
-
চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন বিজয়চন্দ্র মজুমদার (১৯২০)।
-
ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে সহজযান ও চর্যাপদের অন্তর্নিহিত দর্শন নিয়ে ব্যাখ্যা দেন।
-
রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য, সহজযান ও চর্যাগীতিকা নিয়ে হিন্দি ও ইংরেজিতে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন।
উৎস:
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago