নিচের কোন সূচকটি প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান পরিমাপ করে-
A
পঠন ও গণিতের দক্ষতা
B
ছেলে-মেয়ে শিশুর অনুপাত
C
বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার
D
অসমর্থ্য শিক্ষার্থীদের অভিযোজন উপকরণ
উত্তরের বিবরণ
এই তথ্যটি শিক্ষা খাতে লিঙ্গসমতা মাপার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচকের বিষয়ে। Annual Primary School Census (APSC) প্রতিবেদন শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে শিশুর অংশগ্রহণের তুলনামূলক অবস্থা তুলে ধরে, যেখানে Gender Parity Index (GPI) একটি মূল সূচক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি শিক্ষা ব্যবস্থায় লিঙ্গভিত্তিক অগ্রগতি, বৈষম্য এবং নীতিগত প্রভাব মূল্যায়নে সহায়তা করে।
-
GPI (Gender Parity Index) শিক্ষা খাতে ছেলে ও মেয়ে শিশুর ভর্তির অনুপাত নির্দেশ করে
-
মান ১ হলে লিঙ্গসমতা অর্জিত হয়েছে বোঝায়
-
মান ১ এর কম হলে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অংশগ্রহণ বেশি, আর ১ এর বেশি হলে মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি
-
এই সূচক প্রাথমিক শিক্ষায় নীতি প্রণয়ন, বাজেট বন্টন এবং অগ্রাধিকার নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়
-
APSC প্রতিবেদন শিক্ষা পরিকল্পনা ও উন্নয়নের জন্য নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান সরবরাহ করে
0
Updated: 13 hours ago
পৃথিবীর কোন দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান সবচেয়ে উন্নত?
Created: 8 hours ago
A
কানাডা
B
ফিনল্যান্ড
C
ইংল্যান্ড
D
যুক্তরাষ্ট্র
ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বে অন্যতম আদর্শ মডেল হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি মূলত গবেষণাভিত্তিক, সমতা ও স্বাধীন চিন্তাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এখানে পরীক্ষার চাপ বা প্রতিযোগিতা নয়, বরং শেখার আনন্দ ও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত বিকাশকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
• শিক্ষা ব্যবস্থায় সকল শিক্ষার্থী সমান সুযোগ পায়, তাই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মানের মধ্যে পার্থক্য প্রায় নেই
• শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত কঠোর মানদণ্ডে হয় এবং শিক্ষক হতে হলে মাস্টার্স ডিগ্রি বাধ্যতামূলক
• পাঠ্যক্রমে সৃজনশীল চিন্তা, সমস্যা সমাধান এবং প্রকল্পভিত্তিক শেখায় গুরুত্ব দেওয়া হয়
• শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ধারাবাহিকভাবে করা হয়, স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষা খুব কম রাখা হয়
0
Updated: 8 hours ago
মৌলিক শিক্ষা কী?
Created: 1 week ago
A
ব্যবহারিক সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অর্জন
B
জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা
C
পড়া ও লেখার দক্ষতা অর্জন
D
প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন
মৌলিক শিক্ষা হচ্ছে একটি সুষ্ঠু জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার সামাজিক, আর্থিক, এবং ব্যক্তিগত জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করে থাকে। মৌলিক শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র পড়াশোনার সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি পরিপূর্ণ জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, চিন্তা-ভাবনা, এবং সৃজনশীলতা অর্জন করতেও সহায়ক।
-
মৌলিক শিক্ষা সাধারণত একজন ব্যক্তিকে তার জীবনের বিভিন্ন দিক থেকে প্রস্তুত করে, যাতে সে সমাজে সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে।
-
এটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক দক্ষতা অর্জনের বিষয় নয়, বরং সামাজিক, নৈতিক এবং মানসিক উন্নয়নেও সাহায্য করে।
-
মৌলিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তির জীবনের জন্য সেই ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করা যা তাকে তার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন হতে পারে, যেমন—নিজের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন, সমাজের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি, এবং নতুন চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি।
-
এই শিক্ষা জীবনকে আরও অর্থপূর্ণ এবং সফল করতে সাহায্য করে, কারণ এটি ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে।
এই ধরনের শিক্ষা সাধারণত প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা হিসেবে শুরু হয়, তবে এটি যে কোনো বয়সে অর্জন করা সম্ভব। জীবন দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবন, কর্মজীবন এবং সামাজিক জীবনকে উন্নত করতে পারে।
অন্যদিকে, বিকল্প উত্তরগুলো সঠিক নয় কারণ:
-
ক) ব্যবহারিক সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অর্জন: এটি মৌলিক শিক্ষার অংশ হতে পারে, তবে এটি পুরোপুরি মৌলিক শিক্ষা ধারণাকে ব্যাখ্যা করে না।
-
খ) জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা: এটি আরও নির্দিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ, তবে মৌলিক শিক্ষা শুধুমাত্র জীবনযাপনের জন্য নয়, শিক্ষার প্রাথমিক স্তরের জন্যও প্রয়োজনীয়।
-
গ) পড়া ও লেখার দক্ষতা অর্জন: এটি মৌলিক শিক্ষা এক দিক, তবে মৌলিক শিক্ষার পরিপূর্ণ অর্থে জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় আরো দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
0
Updated: 1 week ago
শিক্ষা মানুষকে কোথায় পৌঁছে দেয়?
Created: 1 week ago
A
ধন-সম্পদে
B
নৈতিকতার পথে
C
মনুষ্যত্বলোকে
D
সামাজিক মর্যাদায়
শিক্ষা মানুষের জীবনের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মাধ্যমে শুধু জ্ঞান অর্জন হয় না, মানুষ তার চারপাশের পরিবেশ, সমাজ এবং বিশ্বের প্রতি একটি দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে। এটি তাকে মানুষ হিসেবে তার সঠিক পরিচয় ও মনুষ্যত্বের গুরুত্ব শেখায়। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হল, মানুষকে নৈতিকতা, ভালোবাসা, দয়া, এবং মানবিকতা শেখানো, যা তাকে মনুষ্যত্বলোকে পৌঁছে দেয়। শিক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার আদর্শ, মূল্যবোধ ও সমাজের প্রতি নিজের কর্তব্য বোঝে।
এখানে কিছু মূল পয়েন্ট:
-
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব: শিক্ষা কেবলমাত্র পেশাগত দক্ষতা অর্জন বা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান লাভের জন্য নয়, বরং এটি মানবিক গুণাবলী গঠনের জন্যও অত্যন্ত জরুরি। একজন শিক্ষিত মানুষ শুধু নিজের উন্নতি নয়, বরং সমাজের কল্যাণেও অংশ নেয়।
-
নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ: শিক্ষা মানুষকে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সত্য-অসম্মান বুঝতে সাহায্য করে। এটি তাকে একজন সৎ, দায়িত্বশীল এবং সহানুভূতিশীল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলে।
-
মনুষ্যত্বের বিকাশ: শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হল মানুষের অন্তর্নিহিত মনুষ্যত্বের বিকাশ। একজন শিক্ষিত ব্যক্তি তার সমাজ ও পরিবেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং বিশ্বকে একটি শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে দেখতে চায়।
-
বিশ্বজনীন ভালোবাসা: মনুষ্যত্বে পৌঁছানোর মাধ্যমে, একজন ব্যক্তি অন্যদের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতির অনুভূতি অনুভব করে, যা একটি শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে যায়।
অতএব, শিক্ষা মানুষকে শুধুমাত্র শিখতে বা কাজের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে না, বরং তাকে তার প্রকৃত পরিচয় এবং মনুষ্যত্বের দিকে নিয়ে যায়, যেখানে সে অন্যদের সাহায্য করতে ও ভালোবাসতে শেখে।
0
Updated: 1 week ago