A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
সুনীতিকুমার
C
বিদ্যাপতি
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ইংরেজিতে একটি বই লিখেন ‘বাঙলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ’ নামে। ইংরেজিতে এই গ্রন্থটির নাম হলো: ‘The Origin and Development of the Bengali Language’। সংক্ষেপে এটিকে বলা হয় ODBL এবং এটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত।

0
Updated: 4 weeks ago
'শাশ্বত বঙ্গ' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কাজী মোতাহার হোসেন
B
আবুল হুসেন
C
কাজী আবদুল ওদুদ
D
কাজী আনোয়ারুল কাদির
শাশ্বত বঙ্গ
- কাজী আবদুল ওদুদ রচিত ‘শাশ্বত বঙ্গ’ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য একটি গ্রন্থ।
- একটি কবিতাসহ ৭৫টি প্রবন্ধ নিয়ে সংকলিত হয় এ গ্রন্থ।
- গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় বাংলা ১৩৫৮ সনে, কলকাতা থেকে।
- কাজী আবদুল ওদুদ রচিত নবর্পয্যায় (১ম ও ২য় খণ্ড), রবীন্দ্রকাব্য পাঠ, সমাজ ও সাহিত্য, হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ, আজকার কথা, নজরুল প্রতিভা, স্বাধীনতা-দিনের উপহার প্রভৃতি গ্রন্থের নির্বাচিত প্রবন্ধ এবং অপ্রকাশিত কিছু প্রবন্ধ নিয়ে গ্রন্থ আকারে ‘শাশ্বত বঙ্গ’ সংকলিত হয়।
--------------------------------
• কাজী আবদুল ওদুদ:
- কাজী আবদুল ওদুদ একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ।
- তিনি ১৮৯৪ সালের ২৬ এপ্রিল ফরিদপুর জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
- আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারায় কাজী আবদুল ওদুদের প্রধান পরিচয় চিন্তাশীল লেখক হিসেবে। তবে তাঁর লেখালেখি শুরু হয় কথাসাহিত্যের মাধ্যমে।
- তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ মীর পরিবার পাঁচটি গল্পের সংকলন।
- এরপর তিনি তিনটি গল্প রচনা করেন যা পরবর্তী সময়ে তরুণ (১৯৪৮) গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।
- নদীবক্ষে ও আজাদ (১৯৪৮) তাঁর দু’টি উপন্যাস।
- নাটকও রচনা করেন দু’টি ‘পথ ও বিপথ’ (১৯৩৯) এবং ‘মানব-বন্ধু’। মানব-বন্ধু পরবর্তীকালে তরুণ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি'-এর রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
সিকান্দার আবু জাফর
B
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
C
ফররুখ আহমদ
D
আহসান হাবীব
“আমি কিংবদন্তির কথা বলছি” কাব্যগ্রন্থ
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর শক্তিশালী কণ্ঠে উচ্চারিত কাব্যগ্রন্থ “আমি কিংবদন্তির কথা বলছি” প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮১ সালে। এতে ৩৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই গ্রন্থে কবি বাঙালি জাতিসত্তার শিকড় অনুসন্ধান করে সাহসী, সংগ্রামী মানুষের চেতনার এক ঐক্যবদ্ধ প্রতিচিত্র তুলে ধরেছেন। ঐতিহাসিক চেতনা ও আত্মপরিচয়ের গভীর অনুসন্ধান এই কাব্যের মূল সুর।
এই গ্রন্থের শিরোনাম কবিতাটির কিছু পংক্তি:
"আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি
তার বুকে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল—"
● আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, যিনি কেবল কবি নন, একইসঙ্গে ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ১৯৩৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম ছিল আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান।
● তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
সাত নরীর হার
-
কখনো রং কখনো সুর
-
কমলের চোখ
-
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
-
সহিষ্ণু প্রতীক্ষা
-
প্রেমের কবিতা
-
নির্বাচিত কবিতা
-
আমার সকল কথা
-
মসৃণ কৃষ্ণ গোলাপ ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' কে রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
সুকুমার সেন
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
মুহম্মদ এনামুল হক
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান বাঙালি ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতের উপমহাদেশে দার্শনিক, শিক্ষক এবং বহুভাষাবিদ হিসেবে সুপরিচিত।
‘জ্ঞানতাপস’ নামে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়াও, তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ নামেও অভিহিত করা হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জাতিসত্তা সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তি ছিল, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার থেকেও অধিক সত্য আমরা বাঙালি।”
এই উক্তি বাঙালির ঐক্য ও পরিচয়ের গুরুত্বকে রূপায়িত করে। ১৯৫৯ সালে তিনি ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ নামক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন, যা বাংলা ভাষার ইতিহাস ও বিকাশকে তুলে ধরে।
ড. শহীদুল্লাহর ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘বাঙ্গালা ব্যাকরণ’, ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ ইত্যাদি। পাশাপাশি তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago