কোন দেশ কত উন্নত তা বোঝা যায় কোনটি বিবেচনা করে?
A
দেশের আয়তন
B
মাথাপিছু বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহার
C
প্রাকৃতিক সম্পদ
D
ভৌগোলিক অবস্থান
উত্তরের বিবরণ
মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার একটি দেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ বিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধি সাধারণত প্রযুক্তি, শিল্পায়ন, শিক্ষা এবং জীবনমানের উন্নতির সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই একটি দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার যত বেশি হয়, তার সামগ্রিক উন্নয়নের মাত্রা ততো উন্নত বলে মনে করা হয়।
• বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার শিল্পকারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির বিকাশ নির্দেশ করে।
• শিক্ষা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার, ডিজিটাল সুবিধা এবং গবেষণাগারে বিদ্যুৎ নির্ভরতা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
• উচ্চ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনযাপন সহজ হয়, যেমন যোগাযোগব্যবস্থা, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হয়।
• তাই এটি একটি দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, অবকাঠামো শক্তি এবং আধুনিকায়নের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে।
0
Updated: 18 hours ago
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ শক্তির প্রধান উৎস কি?
Created: 3 days ago
A
খনিজ তৈল
B
খরস্রোতা নদী
C
প্রাকৃতিক গ্যাস
D
উপরের সবগুলো
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন মূলত বিভিন্ন উৎসের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে প্রধান ভূমিকা পালন করছে প্রাকৃতিক গ্যাস। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী জ্বালানির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎসগুলোর শতাংশভিত্তিক অবস্থা নিচে দেওয়া হলো।
• প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে ৪৯.০৭% বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা দেশের প্রধানতম উৎস।
• ফার্নেস ওয়েল ২৬.৯৫%, যা বেসরকারি আইপিপি প্লান্টে বেশি ব্যবহৃত।
• ডিজেল ৫.৪৯%, যা জরুরি ও পিক আওয়ার উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
• কয়লা ১১.৪৬%, যার ব্যবহার সাম্প্রতিক প্রকল্পে বৃদ্ধি পেয়েছে।
• পানি থেকে ১.১% বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, মূলত কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।
• নবায়নযোগ্য জ্বালানি ২.০৮%, যা সৌরবিদ্যুৎ ও অন্যান্য পরিবেশবান্ধব উৎস থেকে আসে।
0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়-
Created: 3 weeks ago
A
কয়লা
B
ফার্নেস ওয়েল
C
প্রাকৃতিক গ্যাস
D
ডিজেল
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাস প্রধান জ্বালানি উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বড় অংশ এই গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল, কারণ এটি তুলনামূলকভাবে সস্তা, সহজলভ্য এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি। স্বাধীনতার পর থেকেই সরকার গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়ন ও নতুন উৎস অনুসন্ধানে গুরুত্ব দিয়েছে, যার ফলে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ক্রমে বেড়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝাতে কিছু মূল দিক নিচে দেওয়া হলো:
প্রথমত, বাংলাদেশের ভূগর্ভে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ থাকায় এটি সহজলভ্য জ্বালানি উৎসে পরিণত হয়েছে। সিলেট, হাবিগঞ্জ, ভোলা ও কুমিল্লা অঞ্চলে গ্যাসক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত গ্যাস সরাসরি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, যা উৎপাদন খরচ কমিয়ে দেয় এবং দেশীয় সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করে।
দ্বিতীয়ত, প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তুলনামূলকভাবে পরিবেশবান্ধব। কয়লা বা ফার্নেস ওয়েলের মতো এতে কার্বন নিঃসরণ কম, ফলে বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও তুলনামূলকভাবে সীমিত থাকে। এটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিমালার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তৃতীয়ত, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কম এবং এগুলো দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারে। এজন্য দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে গেলে গ্যাসচালিত প্ল্যান্টগুলো দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে পারে, যা জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চতুর্থত, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস ব্যবহারের ফলে দেশের আমদানি নির্ভরতা কিছুটা কমেছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) আমদানি করতে হচ্ছে, তবুও এর মূলভিত্তি এখনো দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রের ওপর নির্ভরশীল।
পঞ্চমত, সরকার বিদ্যুৎখাতে ‘গ্যাস টু পাওয়ার’ কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিল্প, কৃষি ও গৃহস্থালিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। বর্তমানে পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সম্প্রসারণেও গ্যাস-নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সবশেষে বলা যায়, প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল চালিকা শক্তি। এটি শুধু অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়, বরং পরিবেশগত দিক থেকেও উপযোগী। ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়লেও গ্যাস-ভিত্তিক উৎপাদন এখনো বাংলাদেশের জ্বালানি কাঠামোর মেরুদণ্ড হিসেবে থেকে যাবে।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের প্রথম কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
দিনাজপুর
B
রাজশাহী
C
খুলনা
D
বরিশাল
প্রথম কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্র হলো বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা দেশের প্রথম কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
-
অবস্থান: দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ভবানীপুরে
-
বিশেষতা: দেশের প্রথম কয়লা খনি থেকে কয়লা আহরণ করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়
-
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা: বর্তমানে ৩টি ইউনিটের মাধ্যমে ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে
-
অবস্থানগত দূরত্ব:
-
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিমি পূর্বে
-
পার্বতীপুর উপজেলা থেকে ১৬ কিমি দক্ষিণে
-
ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে ৭ কিমি উত্তরে
-
0
Updated: 1 month ago