নাটোরের দিঘাপতিয়ার জমিদারবাড়ি এখন পরিচিত-
A
উত্তরবঙ্গ সংসদ ভবন
B
গণভবন
C
বঙ্গভবন
D
উত্তরা গণভবন
উত্তরের বিবরণ
দিঘাপতিয়া জমিদারবাড়ি বর্তমানে বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত এবং এটি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামকরণ করার পর থেকে উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। স্বাধীনতার পর তিনি এই স্থাপনাকে সরকারি ব্যবহারের জন্য নির্ধারণ করেন, যার মাধ্যমে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনায় এটি গুরুত্ব পায়।
• এটি নওগাঁ ও নাটোর অঞ্চলের ঐতিহাসিক জমিদার প্রাসাদ ছিল, যা স্থাপত্যশৈলী, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ।
• নামকরণের মাধ্যমে সম্পত্তিটি রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আসে এবং গণপ্রশাসনের কাজে যুক্ত হয়।
• বর্তমানে এটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা ও বিশেষ সরকারি অনুষ্ঠানের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
• স্থাপনাটি উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের মূল্যবান নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত।
0
Updated: 18 hours ago
উত্তরা গণভবন অবস্থিত কোন জেলায়?
Created: 2 weeks ago
A
ঠাকুরগাঁয়ে
B
সৈয়দপুরে
C
রাজশাহীতে
D
নাটোরে
উত্তরা গণভবন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, যা দেশের উত্তরাঞ্চলে রাষ্ট্রপতির সরকারি বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত রাজা দয়াল রাজবংশের সময়কার প্রাসাদ হলেও পরবর্তীতে সরকার এটি রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার শুরু করে। স্থাপত্য, ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে এই ভবনটি দেশের ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
এই ভবনটি নাটোর জেলায় অবস্থিত, যা রাজশাহী বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। নাটোর শহরের উত্তর প্রান্তে এটি অবস্থিত এবং চারপাশে মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
অবস্থান: উত্তরার গণভবন নাটোর জেলার উত্তর দিকে, নাটোর শহর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
-
ইতিহাস: এটি মূলত নাটোর রাজবাড়ির একটি অংশ ছিল, যা নাটোরের রাজা প্রতাপ নারায়ণ রায় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান আমলে এটি সরকারি ব্যবহারের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়।
-
বর্তমান ব্যবহার: স্বাধীনতার পর এটি রাষ্ট্রপতির বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং রাষ্ট্রপতি উত্তরাঞ্চলে সফরে গেলে এখানে অবস্থান করেন।
-
স্থাপত্যরীতি: ভবনটি মোগল ও ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণে নির্মিত। প্রশস্ত প্রাঙ্গণ, বাগান, পুকুর ও দৃষ্টিনন্দন নকশা একে অনন্য করে তুলেছে।
-
নামকরণ: “উত্তরা” শব্দটি এসেছে এর ভৌগোলিক অবস্থান থেকে, অর্থাৎ বাংলাদেশের উত্তর অংশে অবস্থিত বলে এর নাম হয়েছে “উত্তরা গণভবন”।
-
পর্যটন আকর্ষণ: এটি নাটোরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক এখানে আসেন ইতিহাস ও স্থাপত্য উপভোগ করতে।
-
গুরুত্ব: শুধু বিশ্রামাগার নয়, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ঐতিহ্যের প্রতীক।
সুতরাং, উত্তরা গণভবন নাটোর জেলায় অবস্থিত, যা ঐতিহাসিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 2 weeks ago