আলাওলের 'তোহফা' কোন ধরনের কাব্য?
A
আত্মজীবনী
B
প্রণয়কাব্য
C
নীতিকাব্য
D
জঙ্গনামা
উত্তরের বিবরণ
তোহফা কাব্য
-
‘তোহফা’ কবি আলাওলের পঞ্চম কাব্য। এটি মূলত বিখ্যাত সুফী সাধক শেখ ইউসুফ গদা দেহলভীর ফারসি গ্রন্থ ‘তোহফাতুন নেসায়েহ্’-এর বাংলা অনুবাদ।
-
আলাওল এই কাব্য ১৬৬৪ সালে রচনা সম্পন্ন করেন। সেই সময় নিজের অবস্থার কথা জানিয়ে বলেন, তিনি ছিলেন দুর্ভাগ্যপীড়িত ও বৃদ্ধ।
-
কাব্যটি ধর্মীয় জ্ঞান ও নৈতিক উপদেশে পরিপূর্ণ। এটি আরাকানের শ্রীমন্ত সোলেমানের আদেশে রচিত হয়েছিল।
-
যদিও এটি কাব্যরূপে লেখা, মূলত এতে ধর্মীয় নীতিকথাই প্রকাশ পেয়েছে।
-
এই কাব্য ৪৫টি অধ্যায়ে বিভক্ত। এতে মুসলমানদের ধর্মীয় আচার-আচরণ, করণীয় ও সামাজিক জীবনযাত্রা বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।
-
তৌহিদ, ঈমান, জ্ঞান, শরিয়ত, এবাদত, বিবাহ প্রভৃতি বিষয় পয়ার ছন্দে উপস্থাপন করে কবি আলাওল এটিকে মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মর্যাদা দেন।
কবি আলাওল
-
আলাওল ছিলেন ১৭শ শতকের একজন বিখ্যাত মুসলিম কবি এবং আরাকান রাজসভার প্রধান কবি।
-
তিনি প্রথম জীবনে আরাকান রাজা উমাদারের দেহরক্ষী অশ্বারোহী হিসেবে কাজ করতেন।
-
তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘পদ্মাবতী’, যা তিনি মাগন ঠাকুরের উৎসাহে লেখেন। এটি মালিক মুহম্মদ জায়সির হিন্দি কাব্য ‘পদুমাবৎ’-এর অনুবাদ।
আলাওলের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
পদ্মাবতী
-
সিকান্দার নামা
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কর
-
সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল
-
রাগতালনামা
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – ড. মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নেকড়ে অরণ্য
B
বন্দী শিবির থেকে
C
নিষিদ্ধ লোবান
D
প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম
‘বন্দী শিবির থেকে’ – শামসুর রহমান
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শামসুর রহমান ভারতীয় শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন।
-
সেই সময় তিনি “মজলুম আদিব” ছদ্মনামে বিভিন্ন দেশের পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করতেন।
-
তার লেখা “বন্দী শিবির থেকে” কাব্যগ্রন্থটি ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগ্রন্থের সব কবিতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রচিত।
-
কাব্যগ্রন্থের শুরুতে ‘পুর্বলেখ’ শিরোনামে কবি রচনার পটভূমি এবং প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য কবিতা:
-
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা
-
স্বাধীনতা তুমি
-
মধুস্মৃতি
-
রক্তাক্ত প্রান্তরে
অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যকর্ম
-
শওকত ওসমান – নেকড়ে অরণ্য (উপন্যাস)
-
সৈয়দ শামসুল হক – নিষিদ্ধ লোবান (উপন্যাস)
-
হারুন হাবীব – প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম (১৯৮২, উপন্যাস), যেখানে বাংলাদেশ ও যুগোস্লাভিয়ার মুক্তিসংগ্রামকে অভিন্ন অনুভূতি ও বিশ্বাসের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উৎস:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির প্রথম খণ্ড কোনটি?
Created: 2 months ago
A
সূচনা খণ্ড
B
জন্ম খণ্ড
C
পরিচয় খণ্ড
D
বাণ খণ্ড
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
-
মধ্যযুগে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলো শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
-
এটি একটি গীতি-আলেখ্য, যার মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলা।
-
কাব্যগ্রন্থটি মোট ১৩ খণ্ডে ৪১৮ পদে বিন্যস্ত।
-
এর প্রথম খণ্ডের নাম জন্ম খণ্ড এবং শেষ খণ্ডের নাম বিরহ খণ্ড।
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের মূল কাহিনী ভাগবত থেকে সংগৃহীত হলেও এর ওপর পুরাণসমূহ এবং জয়দেবের গীতগোবিন্দ গ্রন্থের সুস্পষ্ট প্রভাব রয়েছে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ১৩ খণ্ড হলো—
-
জন্ম খণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দান খণ্ড
-
নৌকা খণ্ড
-
ভার খণ্ড
-
ছত্র খণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
কত সালে 'মেঘনাদবধ কাব্য' প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৮৬০
B
১৮৬৫
C
১৮৫৯
D
১৮৬১
মেঘনাদবধ কাব্য
-
লেখক: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
প্রকাশ: ১৮৬১ সালে
-
উৎস: সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ থেকে কাহিনি নেওয়া হয়েছে।
-
গঠন: কাব্যটি নয়টি সর্গে বিভক্ত।
-
ঘটনাবলি: কাব্যে তিনদিন ও দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত।
-
মূল বিষয়বস্তু: বীরত্ব, অভিমান, আক্ষেপ, ট্রাজেডি ইত্যাদি।
-
নায়ক ও চরিত্র: রাবণকে কেন্দ্র করে ট্রাজেডি সৃষ্টি হয়েছে। কাব্যের প্রধান চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago