পানিতে কোন রাসায়নিক উপাদানের আধিক্যে শ্যাওলা জন্মে?
A
সালফেট ও নাইট্রেট
B
ফসফেট ও নাইট্রোজেন
C
পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম
D
ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস
উত্তরের বিবরণ
ফসফেট ও নাইট্রোজেনের অতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে পানিতে শ্যাওলা বা জলজ উদ্ভিদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে, এটিকে Eutrophication বলা হয়। সাধারণত কৃষিজমিতে ব্যবহৃত সার, শিল্পবর্জ্য এবং নর্দমার পানির মাধ্যমে এসব উপাদান জলাশয়ে প্রবেশ করে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে।
● অতিরিক্ত শ্যাওলার বৃদ্ধি পানির ওপর ঘন স্তর তৈরি করে, ফলে সূর্যালোক নিচের অংশে পৌঁছাতে পারে না।
● পানির দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে গিয়ে মাছসহ জলজ প্রাণী মারা যায়।
● পানির স্বাভাবিক জৈবিক-রাসায়নিক চক্র ব্যাহত হয় এবং পানির গুণগত মান নষ্ট হয়।
● দীর্ঘমেয়াদে এটি জলাশয়কে মৃত বা অকেজো পানিস্থলে রূপান্তরিত করতে পারে।
0
Updated: 20 hours ago
তেজস্ক্রিয়তা কোন বাহ্যিক কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়?
Created: 1 month ago
A
চাপ
B
তাপ
C
তড়িৎক্ষেত্র ও চৌম্বকক্ষেত্র
D
কোনোটিই নয়
তেজস্ক্রিয়তা হলো প্রকৃতিতে পাওয়া এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কিছু বিশেষ ধরনের পরমাণু স্বতঃস্ফুর্তভাবে উচ্চ ভেদনক্ষমতা সম্পন্ন রশ্মি বিকিরণ করে। এই রশ্মি বিকিরণের ফলে পরমাণু থেকে আলফা কণিকা, বিটা কণিকা এবং গামা রশ্মি নির্গত হয়। তেজস্ক্রিয় পদার্থ যেমন ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম ও রেডিয়াম এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয় থাকে।
-
তেজস্ক্রিয়তা হলো পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে রশ্মি বিকিরণের প্রক্রিয়া।
-
১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ফরাসী বিজ্ঞানী হেনরী বেকেরেল আকস্মিকভাবে এই রশ্মি আবিষ্কার করেন, যা তাঁর নাম অনুসারে বেকেরেল রশ্মি নামে পরিচিত হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তা একটি স্বতঃস্ফুর্ত এবং অবিরাম ঘটনা।
-
তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আলফা কণিকা, বিটা কণিকা এবং গামা রশ্মি নির্গত হয়।
-
তাপ, চাপ, তড়িৎক্ষেত্র, চৌম্বকক্ষেত্র বা কোনো ভৌত কারণ তেজস্ক্রিয়তা প্রভাবিত করতে পারে না।
-
তেজস্ক্রিয়তার উৎপত্তি স্থল হলো নিউক্লিয়াস।
-
পরমাণুর ভাঙনের ফলে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তার কারণে একটি পরমাণু অন্য প্রকারের পরমাণুতে রূপান্তরিত হয়।
-
তেজস্ক্রিয়তা একটি অপ্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়া।
0
Updated: 1 month ago
সাবান তৈরির উপজাত হিসেবে পাওয়া যায় –
Created: 3 days ago
A
গ্লিসারিন
B
সিলিকন
C
ইথানল
D
সোডিয়াম
সাবান হলো একটি পরিচ্ছন্নতাকারী যৌগ যা মূলত চর্বি বা তেল থেকে তৈরি হয় এবং পানিতে ময়লা অপসারণে সহায়তা করে। সাবানের রাসায়নিক নাম সোডিয়াম স্টিয়ারেট, যা ফ্যাটি অ্যাসিড ও সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের বিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াকে স্যাপনিফিকেশন বলা হয়।
• সাবান তৈরির মূল উপাদান হলো উদ্ভিজ্জ তেল বা প্রাণিজ চর্বি
• উৎপাদন প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত পাওয়া যায়, সেটি হলো গ্লিসারিন, যা প্রসাধনী ও ঔষধ শিল্পে ব্যবহৃত হয়
• সাবান পানির সাথে প্রতিক্রিয়া করে ফেনা সৃষ্টি করে এবং তেল, ধুলো ও ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করে
• সাবান ক্ষারধর্মী হওয়ায় এটি পরিষ্কারক হিসেবে কার্যকর, বিশেষত তেলভিত্তিক ময়লা দূর করতে
0
Updated: 3 days ago