মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য কোনটি?
A
নীতিশিক্ষা প্রদান
B
ইতিহাস রচনা
C
গল্প বলা
D
চরিত্র বিশ্লেষণ
উত্তরের বিবরণ
মহাকাব্য মূলত বৃহৎ আকারের কাব্য যেখানে বীর, দেবতা বা জাতির গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কাহিনি আকারে উপস্থাপন করা হয়। এর কেন্দ্রবিন্দু সবসময়ই একটি বিস্তৃত গল্প, যা পাঠককে ঘটনা ও চরিত্রের ধারাবাহিকতায় নিয়ে যায়।
তথ্যসমূহ:
• মহাকাব্যের প্রধান উদ্দেশ্য গল্প বলা, কারণ এর মাধ্যমে বীরত্ব, সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও সামাজিক মূল্যবোধকে বর্ণনামূলক আঙ্গিকে প্রকাশ করা সহজ হয়।
• এতে সাধারণত কোনো জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি বা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কাহিনির ভেতর দিয়ে উপস্থাপিত হয়, কিন্তু মূল চালিকা শক্তি সবসময়ই কাহিনি।
• মহাকাব্যে নায়ককে কেন্দ্র করে বহু চরিত্র, স্থান, ঘটনা এবং সংঘাত উঠে আসে, যা শুধুমাত্র গল্প বলার মাধ্যমেই সম্পূর্ণতা পায়।
• উদাহরণ হিসেবে রামায়ণ ও মহাভারত উল্লেখযোগ্য; উভয়েই গল্পনির্ভর কাঠামোতে রচিত, যেখানে নৈতিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় শিক্ষা ও ঐতিহাসিক ধারাও গল্পের মাধ্যমে ফুটে ওঠে।
• গল্প বলাকে কেন্দ্র করে মহাকাব্যে অলৌকিকতা, অতিমানবীয় শক্তি, দেব-দেবীর ভূমিকা এবং নায়কের বীরত্ব গল্পকে আরও বিস্তৃত করে তুলে।
• তাই মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য শিক্ষাদান, ইতিহাস রচনা বা চরিত্র বিশ্লেষণ নয়; এগুলো গল্পের সঙ্গে গাঁথা পার্শ্বফল মাত্র।
0
Updated: 21 hours ago
'নদী সিকস্তি' কারা?
Created: 3 weeks ago
A
নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত জনগণ
B
নদীর চর জাগলে যারা দখল করতে চায়
C
নদীতে যারা সারা বছর মাছ ধরে
D
নদীর পাড়ে যারা বসবাস করে
বাংলা ভাষায় ‘নদী সিকস্তি’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয় এমন জনগণের বর্ণনার জন্য যারা নদী ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়েছে, অর্থাৎ নদীর ক্ষয় বা ভাঙনের কারণে তাদের বসতভূমি, ফসলি জমি এবং জীবনযাপন হারাতে হয়েছে। এটি কোনো বিশেষ পেশা বা বসবাসের ভিত্তিতে নয়, বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে বোঝায়। তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত জনগণ।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
নদী সিকস্তি শব্দের অর্থ:
-
“নদী” → নদী সম্পর্কিত বা নদীর আশেপাশের।
-
“সিকস্তি” → ভুক্তভোগী, ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বস্বান্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত।
-
মিলিতভাবে, নদী সিকস্তি অর্থ দাঁড়ায় নদীর ক্ষয় বা ভাঙনের কারণে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ।
বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ:
-
বাংলাদেশে নদীভাঙন একটি সাধারণ সমস্যা। নদীর বালুচর, বাঁধ, ভাঙা পাড়ের কারণে অনেক মানুষ তাদের জমি ও বসতি হারায়।
-
এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে স্থানীয় ভাষায় নদী সিকস্তি বলা হয়।
-
তারা শুধু বসতিই হারান না, বরং জীবিকার উৎসও অনেকাংশে লোপ পায়।
অন্য বিকল্পগুলোর ভুল ব্যাখ্যা:
-
(খ) নদীর চর জাগলে যারা দখল করতে চায়: এটি নদীর নতুন জমি বা চর দখলকারীদের বোঝায়, কিন্তু তারা ক্ষতিগ্রস্ত নয়।
-
(গ) নদীতে যারা সারা বছর মাছ ধরে: এটি মৎস্যজীবীদের বর্ণনা, যাদের ‘সিকস্তি’ বা ভাঙনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই।
-
(ঘ) নদীর পাড়ে যারা বসবাস করে: এটি শুধু অবস্থান নির্দেশ করে, তবে তারা সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত নাও হতে পারে।
সারসংক্ষেপ:
-
নদী সিকস্তি হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
-
এটি জীবিকার ক্ষতি, বসতি ধ্বংস ও সম্পদের ক্ষয় নির্দেশ করে।
উপসংহার:
বাংলা ভাষায় নদী সিকস্তি বলতে বোঝায় নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত জনগণ, তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত জনগণ।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলা স্বরবর্ণ কয়টি?
Created: 3 days ago
A
দশটি
B
এগারটি
C
বারোটি
D
চৌদ্দটি
বাংলা ভাষার মূল ধ্বনিগত কাঠামো বোঝার জন্য স্বরবর্ণের সংখ্যা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বরবর্ণগুলো উচ্চারণে স্বতন্ত্র ধ্বনি সৃষ্টি করে এবং শব্দ গঠনে ভিত্তির মতো কাজ করে। তাই বাংলা স্বরবর্ণ কয়টি—এই প্রশ্নটি ভাষা শিক্ষার প্রথম ধাপেই অন্যতম।
• বাংলা ভাষায় মোট ১১টি স্বরবর্ণ রয়েছে, এবং এগুলো ধ্বনিগতভাবে স্বাধীনভাবে উচ্চারিত হয়।
• স্বরবর্ণগুলো হলো: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ—প্রতিটি স্বর ধ্বনির আলাদা উচ্চারণ ভঙ্গি রয়েছে।
• এগারটি স্বরবর্ণকে আবার হ্রস্ব ও দীর্ঘ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়, যেমন ই (হ্রস্ব) ও ঈ (দীর্ঘ)।
• বাংলা ব্যাকরণে স্বরবর্ণকে বর্ণমালার প্রধান ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়, কারণ ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের সময় স্বরবর্ণের সাহায্য প্রয়োজন হয়।
• স্বরবর্ণের ওপর ভিত্তি করে স্বরচিহ্ন বা মাত্রা গঠিত হয়, যেমন ি, ী, ু, ূ, ে ইত্যাদি।
• বাংলা শব্দগঠন, উচ্চারণ, ছন্দ, উপসর্গ–প্রত্যয়—সব ক্ষেত্রেই স্বরবর্ণের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• প্রমিত বাংলা ব্যাকরণের নিয়মে স্বরবর্ণের সংখ্যা স্থিরভাবে ১১টি হিসেবে স্বীকৃত।
0
Updated: 3 days ago
‘গুরুচণ্ডালী দোষ’ বলতে কী বোঝায়?
Created: 3 days ago
A
উপমার ভুল ব্যবহার
B
বাক্যে অতিরিক্ত অনুসর্গ
C
সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ
D
সমাসভঙ্গের ভুল প্রয়োগ
গুরুচণ্ডালী দোষ বাংলা ব্যাকরণের একটি সুস্পষ্ট ভাষাগত ত্রুটি, যেখানে একই বাক্য বা অনুচ্ছেদে সাধু ও চলিত ভাষা একসাথে ব্যবহৃত হলে ভাষার স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়। এই ভুলটি সাধারণ লেখালেখিতে খুব বেশি দেখা যায়, কারণ অনেকে অজান্তেই দুই ধরনের ভাষাশৈলী মিশিয়ে ফেলেন।
তালিকা আকারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
• গুরুচণ্ডালী দোষ ঘটে যখন একই বাক্যে “করিয়া” ও “করে”, “ছিলেন” ও “ছিল”-এর মতো ভাষা একত্রে আসে।
• বাংলা ভাষার দুই প্রধান রূপ—সাধু ও চলিত—ব্যাকরণ, ক্রিয়ারূপ ও বাক্যগঠন–এ আলাদা নিয়ম অনুসরণ করে।
• এই দুই রূপ একসাথে ব্যবহার করলে পাঠকের জন্য বাক্য বোঝা কঠিন হয় এবং ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
• গদ্য লেখায় চলিত রূপ এবং সাহিত্যিক বা পুরাতন ধাঁচের লেখায় সাধু রূপ ব্যবহার করা উত্তম।
• পরীক্ষায় ভাষাগত ভুল শনাক্ত করার প্রশ্নে গুরুচণ্ডালী দোষ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
• উদাহরণ: “সে বইটি পড়িয়া স্কুলে গেলো”—এখানে ‘পড়িয়া’ (সাধু) ও ‘গেলো’ (চলিত) একসাথে ব্যবহৃত হওয়ায় গুরুচণ্ডালী দোষ হয়েছে।
• ভাষা-শুদ্ধতা বজায় রাখতে একটি রূপ ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করাই নিয়ম।
0
Updated: 3 days ago