‘Barking dogs seldom bite’— এর উপযুক্ত বাংলা প্রবাদ কোনটি?
A
বেশি বুলি, কম কাজ
B
কাজের চেয়ে কথা বেশি
C
মুখে যাঁর বড় বুলি, কাজে তিনি পিছিয়ে
D
ক এবং গ উভয়ই সঠিক
উত্তরের বিবরণ
ইংরেজি প্রবাদ “Barking dogs seldom bite” এমন মানুষদের বোঝায়, যারা বাইরে থেকে অনেক কথা বলে বা হুমকি দেয়, কিন্তু বাস্তবে ততটা ক্ষতি করার ক্ষমতা বা সাহস রাখে না। বাংলায় এর সেরা অর্থ প্রকাশ করে এমন প্রবাদগুলো হলো “বেশি বুলি, কম কাজ” এবং “মুখে যাঁর বড় বুলি, কাজে তিনি পিছিয়ে।” উভয়ই মূল বার্তাটি যথাযথভাবে প্রকাশ করে।
-
“Barking dogs seldom bite” প্রবাদে barking শব্দটি অতিরিক্ত কথাবার্তা, অভিযোগ বা অহেতুক উচ্চস্বরে ফাঁকা হুমকি বোঝায়।
-
বাংলা সমতুল্য প্রবাদে কাজের তুলনায় কথার আধিক্যই আসল বার্তা।
-
“বেশি বুলি, কম কাজ”— যারা বড় বড় কথা বলে কিন্তু কাজে তাদের সেই সামর্থ্য দেখা যায় না।
-
“মুখে যাঁর বড় বুলি, কাজে তিনি পিছিয়ে”— ইংরেজি প্রবাদের ভাবার্থের পুরোপুরি সঙ্গে মিলে যায়।
-
প্রবাদটি সামাজিক আচরণের একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে এসেছে—যারা সত্যিই বিপজ্জনক বা শক্তিশালী, তারা সাধারণত শান্ত থাকে; বরং অযথা যারা বেশি চিৎকার করে, তারা কম ক্ষতিকর।
-
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষার প্রবাদেই কথার চেয়ে কাজের গুরুত্ব বেশি বোঝানো হয়েছে।
0
Updated: 21 hours ago
'উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ' প্রবাদ প্রবচনের অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
নাগালের বহির্ভূত জিনিস দানে ব্যবহৃত
B
বিপদ বা প্রতিকূল অবস্থা সব সময় থাকে না
C
অল্প বর্ষায় বেশি শীত/অল্প কাজে অধিক লাভ
D
ইচ্ছাশক্তিতে কঠিন কাজ করা সম্ভব
প্রবাদ ও প্রবচনের অর্থ
-
‘উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ’
-
অর্থ: নাগালের বহির্ভূত জিনিস দানে ব্যবহৃত।
-
-
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়
-
অর্থ: ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে কঠিন কাজও সম্ভব।
-
-
উন বর্ষা দুনো শীত
-
অর্থ: অল্প বর্ষায় বেশি শীত / অল্প কাজে অধিক লাভ।
-
-
এক মাঘে শীত যায় না
-
অর্থ: বিপদ বা প্রতিকূল অবস্থা সব সময় থাকে না।
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago
অনিষ্ট করতে গিয়ে ভাল করা কে কী বলে?
Created: 2 months ago
A
ভিজে বিড়াল
B
শাপে বর
C
কপাল ফেরা
D
অদৃষ্টের পরিহাস
ভিজে বেড়াল(বাইরে নীরিহ ভেতরে ধূত): ভিজে বেড়ালদের অনেক সময় চেনা যায় না।
শাপে বর(অনিষ্টে ইস্ট লাভ): আমার বড়মামা চাকরি না পেয়ে ব্যবসায়ে ঢুকেছেন, এতে তাঁর শাপে বর হয়েছে।
কপাল ফেরা (সৌভাগ্য লাভ): ছেলেটা হঠৎ বিদেশে চাকরি পাওয়ায় চাচা - চাচির কপাল ফিরেছে।
অদৃষ্টের পরিহাস (ভাগ্যবিড়ম্বনা):অদৃষ্টের পরিহাসে অনেক ধনকুবের পথের ফকির হয়ে গেল।
0
Updated: 2 months ago
'তুমি অধম, তাই বলে আমি উত্তম হব না কেন?' এই প্রবাদটির রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কপালকুণ্ডলা ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উল্লেখযোগ্য সংলাপ:
-
“তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?” – এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি খ্যাতনামা সংলাপ।
কপালকুণ্ডলা উপন্যাস:
-
প্রকাশকাল: ১৮৬৬
-
লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
এটি তার দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
কাহিনি কেন্দ্রিত কপালকুণ্ডলা নামের এক নিগূঢ় নারী চরিত্রের উপর।
-
উপন্যাসে তার সমাজবদ্ধতা, নবকুমারের সঙ্গে বিয়ে, এবং সমাজের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখানো হয়েছে।
-
মূল থিম: কপালকুণ্ডলার রহস্য উদঘাটন।
-
উল্লেখযোগ্য সংলাপ:
-
“পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ” – বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ হিসেবে গণ্য।
-
“তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?”
-
-
বিশেষত্ব: প্রকৃতির সৌন্দর্য, চরিত্রের রহস্যময়তা, এবং কাহিনির ট্র্যাজিক সমাপ্তি।
-
সংস্করণ: বঙ্কিমচন্দ্র জীবদ্দশায় ৮টি সংস্করণ প্রকাশিত।
-
নাট্য ও উপসংহার রূপান্তর:
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ নাট্যরূপে রূপান্তর (১৮৭৩)।
-
দামোদর মুখোপাধ্যায় উপন্যাসের উপসংহার লিখে ‘মৃন্ময়ী’ নামে প্রকাশ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: সংক্ষিপ্ত পরিচয়
-
জন্ম: ১৮৩৮, কাঁঠালপাড়া, চব্বিশ পরগনা জেলা
-
পেশা: ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, নবজাগরণের গুরুত্বপূর্ণ পুরুষ
-
বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে পরিচিত
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘ললিতা তথা মানস’ (১৮৫৬)
-
প্রথম উপন্যাস: ‘রাজমোহনস ওয়াইফ’ (ইংরেজিতে)
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস: ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫)
-
প্রখ্যাত ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম
-
মৃত্যু: ১৮৯৪
অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, ইন্দিরা, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, রাধারানী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ
প্রবন্ধ রচনা:
-
লোকরহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, বিবিধ সমালোচনা, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র, ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago