বুখারি শরিফে মোট হাদিসের সংখ্যা কত?
A
৬০০০টি
B
৭২৭৫টি
C
৫২০০টি
D
৮০০০টি
উত্তরের বিবরণ
খারি শরিফ ইসলামের সর্বাধিক প্রামাণ্য হাদিসগ্রন্থ হিসেবে সুপরিচিত। এই গ্রন্থে রাসুল (সা.)-এর সহিহ ও নির্ভরযোগ্য বাণীগুলো অত্যন্ত সুচারুভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মোট সংখ্যা ৭২৭৫টি (পুনরাবৃত্তসহ)।
তালিকা আকারে তথ্য:
-
ইমাম বুখারি (মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল বুখারি) প্রায় ১৬ বছর কঠোর যাচাই-বাছাই করে বুখারি শরিফ সংগ্রহ করেন।
-
গ্রন্থটিতে পুনরাবৃত্তসহ মোট হাদিস ৭২৭৫টি, আর পুনরাবৃত্ত বাদ দিলে সংখ্যা প্রায় ২৬০২টি ধরা হয়।
-
ইমাম বুখারি হাদিস গ্রহণের জন্য কঠোর শর্ত মানতেন—যেমন বর্ণনাকারীকে অবশ্যই ন্যায়পরায়ণ, বিশ্বস্ত ও সঠিক স্মৃতিশক্তির হতে হতো।
-
বুখারি শরিফকে সহিহ সিত্তাহ বা ছয়টি সহিহ হাদিসগ্রন্থের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য করা হয়।
-
বইটি ৯৭টি কিতাব ও একাধিক অধ্যায়ে বিভক্ত, যাতে আকীদা, আমল, নৈতিকতা, ইবাদতসহ বিভিন্ন বিষয়ের হাদিস রয়েছে।
-
হাদিস যাচাইয়ে ইমাম বুখারির পদ্ধতি এত শক্তিশালী ছিল যে, তাঁর গ্রন্থকে “সর্বাধিক সহিহ গ্রন্থ” বলা হয়।
-
বুখারি শরিফ মুসলিম বিশ্বের শিক্ষা, গবেষণা ও ফিকহ চর্চায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি মৌলিক উৎস।
0
Updated: 21 hours ago
ইতিহাসে 'আমুল ফীল' কিসের জন্য বিখ্যাত?
Created: 1 month ago
A
আবু তালেবের বিবাহের বছর হিসাবে
B
হযরত হামজা (রাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
C
আবু সুফিয়ানের জন্মের বছর হিসাবে
D
রাসুল (সাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
‘আমুল ফিল’ অর্থাৎ ‘হাতির বছর’ ইসলামি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নির্দেশ করে। এই বছরে ইয়েমেনের শাসক আব্রাহা কাবা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে হস্তীবাহিনীসহ মক্কার দিকে অগ্রসর হন। তবে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরতে ছোট ছোট আবাবিল পাখি পাঠান, যারা পাথরের দ্বারা সেই বাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়।
-
এই ঘটনাটি ‘সুরা আল-ফিল’-এ বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
-
ঘটনাটি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত হয়।
-
একই বছরে রাসুলুল্লাহ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন, তাই এ বছরটি তাঁর জন্মবছর হিসেবে বিখ্যাত।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা কাবা শরিফের পবিত্রতা ও সংরক্ষণ স্বয়ং তাঁর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেন।
-
সূত্র: যাদুল মা‘আদ (১/৭৬) এবং সুবুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতে খাইরিল ইবাদ (১/৩৩৪–৩৩৫)।
0
Updated: 1 month ago
তাবুক কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
বসরার সীমান্তে
B
ইরাকে
C
সিরিয়ার সীমান্তে
D
হিজাজের সীমান্তে
তাবুক ছিল মদিনা ও দামেস্কের (সিরিয়া) মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে ইসলামী ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে আরবের কাফের, মুনাফিক ও রোমান সাম্রাজ্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে পরিচিত।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে (নবম হিজরিতে)।
-
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা থেকে প্রায় ৬৯০ কিলোমিটার দূরে তাবুক প্রান্তরে সেনাবাহিনীসহ যাত্রা করেন।
-
এটি ইতিহাসে “গাযওয়াতুল উসরা” নামেও পরিচিত, যার অর্থ “কষ্টের যুদ্ধ”।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে, যখন প্রচণ্ড গরম, খাদ্যাভাব ও পানির সংকট ছিল।
-
মুসলমানদের এই অভিযাত্রা ছিল মূলত রোমান বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি।
-
যদিও বড় কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি, তবুও এটি ইসলামী ইতিহাসে অসাধারণ ত্যাগ, ধৈর্য ও ঈমানের পরীক্ষা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
0
Updated: 1 month ago
'মাইসির' অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
সুদ
B
ঘুষ
C
জুয়া
D
মদ
‘মাইসির’ বা জুয়া ইসলামে এক ধরনের নিষিদ্ধ আর্থিক ও নৈতিক অনাচার, যা পরিশ্রম ছাড়া সম্পদ অর্জনের প্রবণতাকে বোঝায়। এটি সমাজে অন্যায়ভাবে সম্পদ হস্তান্তর ও বৈরিতা সৃষ্টি করে।
-
‘মাইসির’ (مَيْسِر) শব্দের অর্থ জুয়া বা ভাগ্যনির্ভর খেলা, যেখানে লাভ-ক্ষতি সম্পূর্ণভাবে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল।
-
এটি এসেছে আরবি ধাতু يَسَرَ থেকে, যার অর্থ সহজলাভ বা পরিশ্রম ছাড়া কিছু পাওয়া।
-
ইসলামী পরিভাষায় মাইসির এমন লেনদেন বা খেলাকে বোঝায়, যেখানে একজন লাভবান হয় এবং অন্যজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়— অর্থাৎ অন্যের ক্ষতির বিনিময়ে নিজের লাভ।
-
আল-কুরআনে মাইসিরকে নিষিদ্ধ ও শয়তানের কাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, কারণ এটি মানুষের মধ্যে বিরোধ, শত্রুতা ও নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করে।
-
ইসলামী দৃষ্টিতে বৈধ সম্পদ অর্জনের উপায় হলো পরিশ্রম, ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য ও হালাল শ্রম, ভাগ্যনির্ভর খেলা নয়।
0
Updated: 1 month ago