মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার জনক হিসেবে কাকে গণ্য করা হয়?
A
ফ্রেডরিক টেলর
B
অ্যান্ড্রু ইউর
C
এলটন মায়ো
D
হেনরি ফেওল
উত্তরের বিবরণ
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার ভিত্তি তৈরিতে এলটন মায়ো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কর্মক্ষেত্রে মানুষের আচরণ, প্রেরণা, মনোবল এবং সামাজিক সম্পর্ক উৎপাদনশীলতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে—তিনি প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে তা ব্যাখ্যা করেন। তাঁর গবেষণা দেখিয়েছিল যে শুধু মজুরি বা কর্মপরিবেশ নয়, কর্মীদের প্রতি সম্মান, অংশগ্রহণ ও সামাজিক সংযোগই উৎপাদন বাড়াতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
– এলটন মায়ো অস্ট্রেলিয়ান সামাজিক বিজ্ঞানী, যিনি ১৯২০–৩০ দশকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা পরিচালনা করেন।
– তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ছিল হথর্ন এক্সপেরিমেন্ট, যেখানে দেখা যায় কর্মীরা যখন মনে করে তারা গুরুত্ব পাচ্ছে, তখন তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
– এই গবেষণা মানব সম্পর্ক তত্ত্ব (Human Relations Theory) প্রতিষ্ঠায় মূল ভূমিকা রাখে।
– আধুনিক Human Resource Management (HRM)-এর ভিত্তি এই তত্ত্ব থেকেই গঠিত হয়।
– কর্মীদের মানসিক অবস্থা, টিমওয়ার্ক, নেতৃত্ব এবং যোগাযোগকে তিনি প্রতিষ্ঠানের মূল শক্তি হিসেবে দেখিয়েছিলেন।
– তাই বিশ্বব্যাপী তাঁকে “Father of Human Resource Management” বলা হয়।
0
Updated: 21 hours ago
আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কে?
Created: 4 weeks ago
A
ফ্রেডেরিক টেলর
B
হেনরি ফেওল
C
এলটন মায়ো
D
ম্যাক্স ওয়েবার
আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হিসেবে হেনরি ফেওল (Henri Fayol) সর্বাধিক পরিচিত। তিনি একজন ফরাসি প্রকৌশলী ও ব্যবস্থাপনা চিন্তাবিদ, যিনি উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আধুনিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেন। ফেওল প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্যবস্থাপনাকে একটি পৃথক ও বৈজ্ঞানিক শাস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করেন এবং এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট নীতি ও কার্যাবলি নির্ধারণ করেন।
তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা কেবল উৎপাদন বা শ্রমনির্ভর প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত ও সংগঠিত কার্যক্রম, যা প্রতিষ্ঠানকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। ফেওল ব্যবস্থাপনার পাঁচটি মূল কার্য নির্ধারণ করেন: পরিকল্পনা (Planning), সংগঠন (Organizing), আদেশ প্রদান (Commanding), সমন্বয় (Coordinating), এবং নিয়ন্ত্রণ (Controlling)। এই পাঁচটি কার্য এখনো আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়া তিনি ব্যবস্থাপনার জন্য ১৪টি নীতি (14 Principles of Management) প্রণয়ন করেন, যেমন— কাজের বিভাজন, কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব, শৃঙ্খলা, একক নির্দেশ, একক নেতৃত্ব, ব্যক্তিগত স্বার্থের চেয়ে সামষ্টিক স্বার্থের প্রাধান্য, পারিতোষিক ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয়করণ ও বিকেন্দ্রীকরণ, আদেশের শৃঙ্খল, শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা, ন্যায়বিচার, কর্মসংস্থানের স্থায়িত্ব, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, এবং দলগত চেতনা ইত্যাদি। এই নীতিগুলোই আজকের সংগঠন ও প্রশাসনিক কাঠামোর মূলভিত্তি হয়ে আছে।
ফেওল বিশ্বাস করতেন যে একজন দক্ষ ব্যবস্থাপককে শুধু কাজের প্রযুক্তিগত দিক জানলেই হবে না, বরং তাকে মানবসম্পর্ক, নেতৃত্ব ও সংগঠন পরিচালনার কৌশলেও দক্ষ হতে হবে। তার ধারণাগুলো আজকের কর্পোরেট জগতে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ব্যাপকভাবে অনুসৃত হচ্ছে।
সবশেষে বলা যায়, হেনরি ফেওলের অবদান ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী। তার তত্ত্ব ও নীতিগুলো আজও প্রাসঙ্গিক এবং আধুনিক প্রশাসনিক কাঠামো ও সংগঠন পরিচালনায় অমূল্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে। তাই তিনি যথার্থভাবেই “আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক” হিসেবে পরিচিত।
0
Updated: 4 weeks ago