গজনী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
A
আলাউদ্দিন খিলজি
B
ইলতুৎমিশ
C
মাহমুদ গজনী
D
সবুক্তগীন
উত্তরের বিবরণ
গজনী রাজবংশের প্রতিষ্ঠার মূল ভূমিকা সবুক্তগীনের হাতে গঠিত হয়, যিনি সামরিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতার মাধ্যমে স্বাধীন শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসন ছিল গজনীর রাষ্ট্রগঠনের ভিত্তি, যা পরবর্তী সময়ে আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী সাম্রাজ্যে রূপ নেয়।
-
সবুক্তগীন ৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে গজনী রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন, যখন তিনি সামানীয় আমলের তুঘরিলের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজের স্বাধীনতা সুদৃঢ় করেন।
-
তিনি মূলত এক দাসসেনাপতি ছিলেন, তবে যোগ্যতা ও বীরত্বের জন্য ধীরে ধীরে শাসকের মর্যাদা অর্জন করেন।
-
গজনী শহরকে তিনি সামরিক ঘাঁটি ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে শক্তিশালী করেন, যা পরবর্তীতে ইসলামী বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অঞ্চল হয়ে ওঠে।
-
তাঁর শাসনামলে আফগানিস্তান অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আসে এবং প্রশাসনিক কাঠামো সুসংগঠিত হয়।
-
মাহমুদ গজনী, যিনি তাঁর পুত্র, পরবর্তীতে এই রাজবংশকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যান, তবে ভিত্তি স্থাপনের কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবে সবুক্তগীনের।
-
গজনী রাজবংশ মোটামুটি অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে মধ্য এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে।
0
Updated: 21 hours ago
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্য কোথায়?
Created: 3 weeks ago
A
ব্রাজিল
B
যুক্তরাজ্য
C
কেনিয়া
D
বাংলাদেশ
উ. বাংলাদেশ
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্য হলো সুন্দরবন, যা বাংলাদেশে অবস্থিত। এটি গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মোহনায় গঠিত এক বিশাল ডেল্টা অঞ্চলে বিস্তৃত। সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে প্রায় ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এবং বাকি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।
সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর জোয়ার-ভাটার প্রভাবিত পরিবেশ, যেখানে গাছপালা বেড়ে ওঠে লোনা পানির সাথে অভিযোজিত হয়ে। এখানে প্রধান উদ্ভিদ হলো সুন্দরী গাছ, যেখান থেকে এই অরণ্যের নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও গোলপাতা, গেওয়া, গরান ও পশুর গাছও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
এই বনজ生态তন্ত্র শুধু উদ্ভিদে সমৃদ্ধ নয়, বরং এটি একটি বৈচিত্র্যময় প্রাণিবৈচিত্র্যের আধার। এখানে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, কুমির, বানর, জলচর পাখি, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও উভচর প্রাণী। সুন্দরবন জীববৈচিত্র্যের জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত (১৯৯৭ সালে)।
বাংলাদেশের জলবায়ু, উপকূলরেখা এবং নদী-মোহনার অবস্থান সুন্দরবনকে একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বলয় হিসেবে গড়ে তুলেছে, যা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষতি অনেকাংশে কমায়। এটি দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও সংস্কৃতির জন্য অমূল্য সম্পদ।
অতএব, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্য হলো বাংলাদেশের সুন্দরবন।
0
Updated: 3 weeks ago
জ্যাঁ পিয়াজেঁ কোন তত্ত্বের মাধ্যমে শিক্ষায় অবদান রেখেছেন?
Created: 2 weeks ago
A
বহুমাত্রিক বুদ্ধিমত্তা তত্ত্ব
B
জ্ঞানমূলক তত্ত্ব
C
অভিযোজন তত্ত্ব
D
প্রেষণী তত্ত্ব
জ্যাঁ পিয়াজেঁ শিক্ষায় যে তত্ত্বের মাধ্যমে অবদান রেখেছেন, তা হল জ্ঞানমূলক তত্ত্ব। পিয়াজেঁ ছিলেন একজন সুপরিচিত সুইস মনোবিজ্ঞানী, যিনি শিশুদের মানসিক বিকাশ এবং তাদের চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার এই তত্ত্ব শিক্ষায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসে, যা শিশুদের জ্ঞানী হিসেবে বিকাশের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে চিন্তা ও শিক্ষা প্রক্রিয়া সম্পর্কে গভীর ধারণা দেয়।
-
জ্ঞানমূলক তত্ত্ব: পিয়াজেঁ বিশ্বাস করতেন যে শিশুদের চিন্তাভাবনা বিকাশের মধ্যে ধাপে ধাপে উন্নতি ঘটে। তিনি জানিয়েছেন যে, শিশুরা একটি নির্দিষ্ট বয়সে কিছু নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা এবং শিখন প্রক্রিয়ায় অবস্থিত থাকে, এবং তারা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ধীরে ধীরে জ্ঞান সংগ্রহ করে। তার মতে, শিশুরা যেমন বড় হয়, তেমন তাদের চিন্তাভাবনার ধরণও পরিবর্তিত হয়।
-
অভিযোজন প্রক্রিয়া: পিয়াজেঁ বিশ্বাস করতেন যে শিশুরা তাদের পরিবেশের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে, এবং এই সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে তারা নতুন তথ্য শিখে এবং নিজস্ব চিন্তাভাবনা তৈরি করে। এটি দুই ধরনের প্রক্রিয়া— অ্যাকোমোডেশন এবং অ্যাডাপটেশন—এর মাধ্যমে ঘটে।
-
ধাপভিত্তিক চিন্তা: পিয়াজেঁ শিশুদের মানসিক বিকাশকে চারটি ধাপে বিভক্ত করেছিলেন। এই ধাপগুলো হল:
-
সেন্সরি-মোটর স্টেজ (0-2 বছর): শিশুরা তাদের শারীরিক অনুভূতি ও কাজের মাধ্যমে পৃথিবী সম্পর্কে জানে।
-
প্রি-অপারেশনাল স্টেজ (2-7 বছর): শিশুরা শব্দ, চিত্র এবং বাচনকে ব্যবহার করে চিন্তা করে, তবে তাদের চিন্তাভাবনা যুক্তি বা গাণিতিকভাবে পরিপূর্ণ নয়।
-
কনক্রিট অপারেশনাল স্টেজ (7-11 বছর): শিশুরা এখন বাস্তবিক সমস্যা সমাধানে সক্ষম, তবে বিমূর্ত ধারণা বুঝতে তাদের সমস্যা হতে পারে।
-
ফরমাল অপারেশনাল স্টেজ (11 বছর ও তার পর): এখানে শিশুরা যুক্তিযুক্ত চিন্তা করতে সক্ষম হয়, এবং বিমূর্ত ধারণা ও তত্ত্ব ধারণা করতে পারে।
-
-
শিক্ষা ও শিক্ষকের ভূমিকা: পিয়াজেঁ শিক্ষকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে দেখেছেন, যেখানে তারা শিশুদের গাইড হিসেবে কাজ করেন, কিন্তু শিশুরা তাদের নিজস্ব জ্ঞান তৈরি করতে সাহায্য পায়। শিক্ষকরা শিশুদের উন্নতির জন্য পরিবেশ তৈরি করতে পারেন, কিন্তু তাদের চিন্তা এবং জ্ঞান অর্জন স্বতন্ত্রভাবে ঘটতে হবে।
এই তত্ত্ব শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে, কারণ এটি শিক্ষার ধাপগুলো এবং শিক্ষার্থীর চিন্তাভাবনার বিকাশের প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে।
0
Updated: 2 weeks ago
১৮০১ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত কোন শতাব্দী?
Created: 2 weeks ago
A
বিংশ
B
ঊনবিংশ
C
অষ্টাদশ
D
সপ্তদশ
১৯শ শতাব্দী বলতে বোঝানো হয় গ্রেগরীয় পঞ্জিকা অনুসারে ১৮০১ সাল থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত সময়কাল। এটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যুগ, যেখানে আধুনিক বিশ্বের রাজনৈতিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি গঠিত হয়েছিল।
-
এই শতাব্দীকে প্রায়ই “আধুনিক যুগের সূচনা” বলা হয়, কারণ শিল্পবিপ্লব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিস্তার, এবং উপনিবেশবাদ এই সময়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
-
ইউরোপে শিল্পবিপ্লবের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়, যার ফলে কলকারখানা, রেলপথ ও বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে।
-
ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র এ সময়ে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উন্নতির শীর্ষে পৌঁছায়।
-
সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে এই শতাব্দীতে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও মানবাধিকারের ধারণা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে এই সময়ে ইংরেজ শাসনের প্রভাব গভীর হয় এবং শিক্ষার বিস্তারসহ নবজাগরণের সূচনা ঘটে।
-
সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এই যুগে রোমান্টিসিজম, রিয়ালিজম ও ন্যাচারালিজম প্রবলভাবে দেখা যায়, ইউরোপে যেমন চার্লস ডিকেন্স, টলস্টয়, দস্তয়েভস্কি প্রমুখ লেখকরা খ্যাতি অর্জন করেন।
-
সর্বোপরি, ১৯শ শতাব্দী ছিল এমন এক সময়, যা পরবর্তী ২০শ শতাব্দীর আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি তৈরি করে।
0
Updated: 2 weeks ago