'আনন্দমঠ' উপন্যাসের লেখক কে?
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়
C
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
আনন্দমোহন বাগচী
উত্তরের বিবরণ
‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৮৮২ সালে।
-
এই উপন্যাসের পটভূমি ১৭৭০ সালের ছিয়াত্তরের মন্বন্তর এবং সন্ন্যাসী বিদ্রোহ।
-
মূল বিষয়: দেশভক্তি, জাতিপ্রেম ও হিন্দুধর্মে বিশ্বাস।
-
এখানে ‘স্বদেশ’ বলতে বোঝানো হয়েছে বঙ্গভূমিকে এবং ‘ধর্ম’ বলতে বোঝানো হয়েছে হিন্দু ধর্মকে।
-
উপন্যাসে উল্লেখিত ‘বন্দে মাতরম্’ গানটি ইংরেজবিরোধী আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে ওঠে।
-
এটি ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়, তবে এর ঘটনা কল্পিত হলেও বিশ্বাসযোগ্য এবং চরিত্রগুলো আদর্শায়িত।
-
গ্রামীণ জীবনের চিত্র ও মন্বন্তরের বর্ণনা বাস্তবধর্মী।
-
কাহিনিতে প্রেম ও আদর্শের সংঘাত উপন্যাসকে গভীরতা দিয়েছে।
-
‘বন্দে মাতরম্’ গানটি পরে became একটি উদ্দীপক দেশাত্মবোধক স্লোগান।
-
উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ করেন:
-
নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত (The Abbey of Bliss, 1907)
-
শ্রী অরবিন্দ (Ananda Math, 1910)
-
-
এটি একটি বাস্তবধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস।
-
এই রচনায় বঙ্কিমচন্দ্রের স্বসম্প্রদায়প্রীতি বা নিজের ধর্ম ও জাতির প্রতি পক্ষপাত লক্ষ্য করা যায়।
● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
তিনি ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ।
-
জন্ম: ১৮৩৮ সাল, চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
-
তাঁর প্রথম উপন্যাস: Rajmohan’s Wife (ইংরেজিতে লেখা)।
-
প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
-
তাঁর রচিত বিখ্যাত ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, ও সীতারাম।
● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসসমূহ
-
দুর্গেশনন্দিনী
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি প্রেমেন্দ্র মিত্র রচিত উপন্যাস?
Created: 1 month ago
A
পঞ্চশর
B
প্রথমা
C
কুয়াশা
D
মৃত্তিকা
প্রেমেন্দ্র মিত্র
-
তিনি একাধারে কবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সম্পাদক।
-
জন্ম: ১৯০৪ সালের সেপ্টেম্বর, কাশিতে।
-
তিনি কল্লোল পত্রিকায় কাজ করতেন।
-
কলকাতার সাউথ সাবার্বন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯২০) পাস করে সাহিত্য-সাধনায় মনোযোগী হন।
-
১৯২৩ সালে প্রবাসীতে ‘শুধু কেরাণী’ ও ‘গোপন চারিণী’ নামে দুটি গল্প প্রকাশিত হয়, এবং গল্প দুটি নিয়ে কল্লোল পত্রিকা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করে।
-
সাহিত্য-সাধনার প্রথমপর্বে তিনি ‘কৃত্তিবাস ভদ্র’ ছদ্মনামে লিখতেন।
তাঁর রচিত উপন্যাস
-
পাঁক
-
কুয়াশা
-
মিছিল
-
উপনয়ন
-
আগামীকাল
-
প্রতিশোধ
-
প্রতিধ্বনি ফেরে ইত্যাদি
তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ
-
পঞ্চশর
-
বেনামী বন্দর
-
পুতুল ও প্রতিমা
-
মৃত্তিকা ইত্যাদি
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
প্রথমা
-
সম্রাট
-
ফেরারী ফৌজ
-
সাগর থেকে ফেরা
-
হরিণ চিতা চিল
-
কখনো মেঘ ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'রাজলক্ষ্মী' চরিত্রের স্রষ্টা ঔপন্যাসিক-
Created: 5 months ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র
B
শরৎচন্দ্র
C
তারাশংকর
D
নজরুল ইসলাম
• 'রাজলক্ষ্মী' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত একটি চরিত্র।
• 'শ্রীকান্ত' উপন্যাস:
- 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসটি শরৎচন্দ্রের আত্মজৈবনিক উপন্যাস। উপন্যাসটি চারটি খণ্ডে রচিত।
- প্রথম খণ্ড মাসিক 'ভারতবর্ষে' (১৯১৬-১৭)' শ্রীকান্তের ভ্রমণ কাহিনি নামে প্রকাশিত হয়।
- লেখকের নাম মুদ্রিত হয় 'শ্রী শ্রীকান্ত শর্মা'।
- ২য় ও ৩য় খণ্ডও মাসিক 'ভারতবর্ষে' প্রকাশিত হয়।
- তবে ৪র্থ খণ্ড প্রকাশিত হয় 'বিচিত্র' পত্রিকায়।
- 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসের বিখ্যাত কিশোর চরিত্র হচ্ছে- 'ইন্দ্রনাথ'।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো:
- শ্রীকান্ত,
- রাজলক্ষ্মী,
- অন্নদাদিদি,
- অভয়া,
- রোহিণী,
- কমললতা প্রমুখ।
এ উপন্যাসের বিখ্যাত কিছু উক্তি:
- 'মধু থাকলেই মৌমাছি এসে জোটে তারা দেশ-বিদেশের বিচার করে না।'
- 'বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।'
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, শরৎচন্দ্র রচনাবলী এবং 'শ্রীকান্ত' উপন্যাস।

0
Updated: 5 months ago
'মধুমালতী' - গ্রন্থটি মধ্যযুগের কোন ধারার সাহিত্য?
Created: 3 weeks ago
A
মর্সিয়া সাহিত্য
B
জীবনী সাহিত্য
C
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
D
বৈষ্ণব পদাবলি
‘রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান’ মধ্যযুগের এক বিশেষ সাহিত্যধারা, যা মূলত মুসলিম চরিত্রনির্ভর এবং প্রণয়কাহিনি-আশ্রিত। এটি অনুবাদ সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত, যেখানে মুসলমান সাহিত্যিকরা বিদেশি কাহিনি অনুবাদ ও রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে নতুন ধারা সৃষ্টি করেন।
এই ধারার উল্লেখযোগ্য অনুবাদ সাহিত্য হলো—
-
ইউসুফ-জোলেখা
-
লায়লী মজনু
-
মধুমালতী
-
গুলে বকাওলী
-
চন্দ্রাবতী
-
পদ্মাবতী
-
সতীময়না-লোর-চন্দ্রানী ইত্যাদি
এই ধারার প্রধান কবিগণ হলেন—
-
শাহ মুহম্মদ সগীর
-
সৈয়দ সুলতান
-
আবদুল হাকিম
-
আলাওল
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর প্রমুখ
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago