ফল পাকানোর জন্য দায়ী কী?
A
ইথিলিন
B
প্রপিন
C
লাইকোপেন
D
মিথিলিন
উত্তরের বিবরণ
ফল (Fruit)
-
ফুলের গর্ভাশয় পরিপক্ক হয়ে ফল তৈরি করে।
-
বীজপাতার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ফলকে দুই ভাগ করা হয়:
— একবীজপত্রী ফল (যেমন আম)
— বহু বীজপত্রী ফল (যেমন বরই) -
পরাগায়নের ধরন অনুযায়ী ফল দুই রকম:
— স্ব-পরাগী ফল
— পর-পরাগী ফল
— কখনও কখনও স্ব ও পর-পরাগী উভয় ধরণের ফলও হয়। -
গাছের জীবনকালের ওপর ভিত্তি করে ফলকে ভাগ করা হয়:
— স্বল্পমেয়াদী ফল
— দীর্ঘমেয়াদী ফল -
ফল দেওয়ার প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে:
— মনোকারপিক ফল (একটি গর্ভাশয় থেকে)
— পলিকারপিক ফল (একাধিক গর্ভাশয় থেকে) -
উৎপত্তির দিক থেকে ফল দুই রকম:
— প্রকৃত ফল (ফুলের গর্ভাশয় থেকে তৈরি)
— অপ্রকৃত ফল (ফুলের অন্য অংশ থেকে তৈরি) -
ফল পাকানোর জন্য প্রধান হরমোন হলো ইথিলিন।
-
ফলের লাল রঙের জন্য দায়ী রঞ্জক হলো লাইকোপেন।
-
ফুলের মঞ্জরীর গঠন অনুযায়ী ফলকে ভাগ করা হয়:
— সরল ফল
— যৌগিক ফল
— গুচ্ছফল -
ফলের বাইরের খোলস বা পেরিকার্পের বুনট অনুযায়ী:
— নিরস ফল
— সরস ফল
উৎস: স্কুল অব এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 months ago
ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো—
Created: 4 weeks ago
A
পিল্লি
B
ফ্লাজেলা
C
শীথ
D
ক্যাপসুলস
ফ্ল্যাজেলা, পিলি এবং ক্যাপসিউল ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন বহিরঙ্গ উপাঙ্গ যা তাদের চলাচল, সংযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এগুলো কোষ প্রাচীরের বাইরে অবস্থান করে এবং বিশেষ প্রোটিন বা পলিমারের মাধ্যমে গঠিত। মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ফ্ল্যাজেলা হলো প্রোটোপ্লাজম দ্বারা গঠিত একটি সূত্রাকৃতির উপাঙ্গ, যা কোষ প্রাচীর ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে। এটি ফ্ল্যাজেলিন নামক প্রোটিন দ্বারা তৈরি। ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া তরল মাধ্যমে চলাফেরা করতে পারে।
-
ফ্ল্যাজেলার চেয়ে ছোট ও শক্ত উপাঙ্গকে পিলি বলা হয়। পিলি পিলিন নামক প্রোটিন দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়াকে কোনো পৃষ্ঠের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে সহায়তা করে।
-
ক্যাপসিউল হলো একটি স্তর, যা পলিস্যাকারাইড বা পলিপেপটাইড দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বাইরে থাকে। এটিকে স্লাইম স্তরও বলা হয় এবং এটি ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করে।

0
Updated: 4 weeks ago
চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায় কেন?
Created: 2 months ago
A
বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণে
B
আলোর বিচ্ছুরণে
C
অপাবর্তনে
D
দৃষ্টিভ্রমে
চাঁদ থেকে আলোক রশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে আসার সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আলোর প্রতিসরণ ঘটে অর্থাৎ আলোক রশ্মি বেঁকে যায়।
চাঁদ যখন দিগন্তের কাছে থাকে তখন আলোক রশ্মি তুলনামূলকভাবে অধিক পরিমাণে বেঁকে যায়।
বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণের কারণে দিগন্তের নিকটে চাঁদ ও সূর্যকে ডিম্বাকৃতি এবং তুলনামূলকভাবে বড় দেখা যায়।
উৎস: scientificamerican.com

0
Updated: 2 months ago
সুনামির কারণ হলো-
Created: 1 month ago
A
ঘূর্ণিঝড়
B
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
C
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্পন
D
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
সুনামি
-
‘Tsunami’ শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে এসেছে। এখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ, অর্থাৎ ‘বন্দরের ঢেউ’।
-
এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র বা মহাসাগরে ঘটে।
-
সুনামি সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনা ঘটলে তৈরি হয়।
-
পৃথিবীতে এটি তৃতীয় প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত।
-
যখন সুনামি গভীর সমুদ্রে থাকে, তখন এটি খুব দ্রুত এবং শক্তিশালী হয়, কিন্তু অগভীর পানিতে এলে এর শক্তি কমে যায়।
-
উদাহরণস্বরূপ, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ভারত মহাসাগরের তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সুনামি সৃষ্টি হয়, যা অনেক ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যুর কারণ হয়।
-
বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানির উপস্থিতি আমাদের দেশে সুনামির ধ্বংসাত্মক প্রভাবকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago