এই চরণটি দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করে এবং কবির দেশপ্রেমমূলক মনোভাবকে ফুটিয়ে তোলে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তাঁর রচনায় দেশকে মায়ের মর্যাদায় দেখিয়েছেন, তাই এই পঙ্ক্তির আবেগ তাঁর সাহিত্যভাবনার সাথেই সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
• দ্বিজেন্দ্রলাল রায় দেশাত্মবোধক গানে অনন্য ছিলেন, যেখানে মাতৃভূমিকে রাণীর মর্যাদা দিয়ে সম্মান দেখানোর প্রবণতা স্পষ্ট।
• তাঁর রচনায় দেশের সৌন্দর্য, গৌরব এবং মানুষের প্রতি মমত্ববোধ প্রাধান্য পায়, যা এই চরণটির ভাবের সাথে মিল খুঁজে দেয়।
• সকল দেশের রাণী বলে তিনি বাংলাদেশের অস্তিত্বকে মহিমান্বিত করেছেন, যা তাঁর স্বকীয় দেশপ্রেমের পরিচায়ক।
• কবির ভাষায় অতিরঞ্জন নয়, বরং জাতির প্রতি সম্মান ও গর্বের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ দেখা যায়।
'কালের কলস' কোন ধরনের রচনা?
A
নৃত্যনাট্য
B
কথাসাহিত্য
C
কাব্য
D
উপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
এই প্রশ্নটি ‘ভ্রমর’ শব্দের শুদ্ধ অর্থ পরীক্ষা করে। ভ্রমর মূলত একটি প্রজাতির ছোট মধুমাখি জাতীয় পতঙ্গ, যা সাধারণত ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। এই প্রশ্নে দেওয়া অপশনগুলোতে “মধুময়” শব্দটি অর্থের সঙ্গে মিলছে না।
• ভ্রমর হলো ছোট, উড়ন্ত পতঙ্গ যা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে এবং সাধারণত গর্জন বা ভোঁভোঁ শব্দ করে।
• ভ্রমরের শাব্দিক অর্থ বা সাধারণ ব্যবহার কোনো কিছুকে মধুর বা মধুময় বলা নয়।
• “মধুময়” শব্দটি মূলত মধুর মতো স্বাদ বা সুগন্ধ বোঝাতে ব্যবহার হয়, যা ভ্রমরের নামের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।
• সুতরাং, ভ্রমরের প্রকৃত অর্থ এবং প্রয়োগ বিবেচনা করলে “মধুময়” শব্দটি শুদ্ধ নয়, কারণ এটি ভ্রমরের প্রকৃতি বা শ্রেণিকে প্রতিফলিত করে না।
এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, “মধুময়” অপশনটি শুদ্ধ নয়।
0
Updated: 5 hours ago
Related MCQ
বনফুলের রচনা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভুবন সোম
B
অগ্নিস্নাতা
C
ভারতবর্ষ
D
অচ্ছুত বাঙালী
0
Updated: 1 month ago
'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাসটি কে রচনা করেন?
Created: 2 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
রামমোহন রায়
উত্তর: গ) কাজী নজরুল ইসলাম
‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসটি রচনা করেন কাজী নজরুল ইসলাম, যিনি বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত কবি, লেখক ও বিদ্রোহী চেতনাসম্পন্ন সাহিত্যিক। নজরুল ইসলাম শুধু কাব্য রচনায়ই নয়, গদ্য, নাটক ও সংগীতেও অসাধারণ অবদান রেখেছেন। ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসটি তাঁর মানবপ্রেম ও সামাজিক বোধের প্রতিফলন।
উপন্যাসটি মূলত সামাজিক অসাম্য, দারিদ্র্য ও মানুষের সংগ্রামের গল্প তুলে ধরে। নজরুল এখানে দারিদ্র্য ও শোষণের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিরোধ ও জীবনযাত্রার বাস্তবতা চিত্রিত করেছেন। তাঁর লেখনীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো জীবন্ত চরিত্র, মানবিক সংবেদনশীলতা এবং সমাজবিচারের প্রতি গভীর দৃষ্টি।
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্মের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
বিপ্লবী মনোভাব: নজরুল ইসলাম দারিদ্র্য, শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিফলন ঘটান। ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসেও তিনি সামাজিক বৈষম্যের চিত্র অঙ্কিত করেছেন।
-
মানবিকতা: উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং দারিদ্র্যের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন।
-
ভাষা ও শিল্প: নজরুলের ভাষা সরল, প্রাণবন্ত এবং চরিত্রের মানসিক অবস্থা যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা। তিনি পাঠককে গল্পের সঙ্গে আবদ্ধ করে রাখেন।
-
সামাজিক সচেতনতা: তাঁর রচনাগুলো শুধু বিনোদন নয়, বরং সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়েও পাঠককে সচেতন করে। ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজের দারিদ্র্য, অবিচার ও অসাম্য তুলে ধরা হয়েছে।
-
সংগ্রামী চরিত্র: উপন্যাসের চরিত্রগুলো সাধারণ মানুষ হলেও তাঁদের সংকল্প, ধৈর্য ও প্রতিরোধের গল্প নজরুলের মানবপ্রেমকে প্রতিফলিত করে।
‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসটি কেবল সাহিত্যকর্ম হিসেবে নয়, বরং সমাজচেতনার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের দেখায়, কীভাবে মানুষের জীবনের কষ্ট, দারিদ্র্য ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। নজরুল ইসলামের এই সাহিত্যকর্ম বাংলার সাহিত্য জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে, কারণ এটি শুধু গল্প বলার মাধ্যম নয়, এটি সমাজের আভ্যন্তরীণ সমস্যা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ উন্মোচন করে।
সারসংক্ষেপে, ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম, এবং তাঁর সমাজবোধ, বিপ্লবী মনোভাব ও মানবিক সংবেদনশীলতা উপন্যাসের প্রতিটি পাতায় প্রতিফলিত হয়েছে। তাই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো গ) কাজী নজরুল ইসলাম।
0
Updated: 2 weeks ago
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি' চরণটি কোন কবির রচনা?
Created: 5 hours ago
A
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
জসীমউদ্দীন
D
মধুসূদন দত্ত
0
Updated: 5 hours ago