এই চরণটি দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করে এবং কবির দেশপ্রেমমূলক মনোভাবকে ফুটিয়ে তোলে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তাঁর রচনায় দেশকে মায়ের মর্যাদায় দেখিয়েছেন, তাই এই পঙ্ক্তির আবেগ তাঁর সাহিত্যভাবনার সাথেই সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
• দ্বিজেন্দ্রলাল রায় দেশাত্মবোধক গানে অনন্য ছিলেন, যেখানে মাতৃভূমিকে রাণীর মর্যাদা দিয়ে সম্মান দেখানোর প্রবণতা স্পষ্ট।
• তাঁর রচনায় দেশের সৌন্দর্য, গৌরব এবং মানুষের প্রতি মমত্ববোধ প্রাধান্য পায়, যা এই চরণটির ভাবের সাথে মিল খুঁজে দেয়।
• সকল দেশের রাণী বলে তিনি বাংলাদেশের অস্তিত্বকে মহিমান্বিত করেছেন, যা তাঁর স্বকীয় দেশপ্রেমের পরিচায়ক।
• কবির ভাষায় অতিরঞ্জন নয়, বরং জাতির প্রতি সম্মান ও গর্বের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ দেখা যায়।
নিচের কোনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা?
A
চতুরঙ্গ
B
বিষের বাঁশি
C
রাখালী
D
অগ্নিবীণা
উত্তরের বিবরণ
ঘরে বাইরে (১৯১৬) হলো চলিত ভাষায় লিখিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস। চতুরঙ্গ, গোরা ও বৌ-ঠাকুরাণীর হাট সাধু ভাষায় লিখিত। এর মধ্যে চতুরঙ্গ সাধু ভাষায় লিখিত তার সর্বেশষ উপন্যাস।
0
Updated: 5 hours ago
Related MCQ
শহিদ জননী জাহানারা ইমামের রচনা কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
হৃদয়ে একাত্তর
B
মূলধারা একাত্তর
C
একাত্তরের দিনগুলি
D
স্বাধীনতা ১৯৭
“একাত্তরের দিনগুলি” হলো শহিদ জননী জাহানারা ইমামের রচনা, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা এবং সেই সময়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে। শহিদ জননী নামের কারণে তিনি সকলকে পরিচিত, কারণ তার সন্তান শহীদ হয়েছিলেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে। রচনায় তিনি সেই সময়ের দুঃসহ বাস্তবতা, ভয়, বেদনা, এবং দেশের জন্য ত্যাগের গল্প তুলে ধরেছেন। এই বই বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রচনাটির মূল উদ্দেশ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোকে সঠিকভাবে স্মরণ করা এবং পাঠকদের মাঝে ইতিহাসের সচেতনতা সৃষ্টি করা। জাহানারা ইমাম তার সন্তান হারানোর বেদনা এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য যে সংগ্রাম হয়েছে, তা অত্যন্ত স্পষ্ট ও হৃদয়স্পর্শী ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। তার লেখায় শুধু ব্যাক্তিগত বেদনা নয়, বরং পুরো জাতির যন্ত্রণার চিত্রও ফুটে উঠেছে।
বইটিতে ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। শুরু হয় ১৯৭১ সালের মার্চ মাস থেকে, যখন পাকিস্তানি সেনারা গ্রামে প্রবেশ করে। তারপর ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে যুদ্ধের শুরু, সাধারণ মানুষের ভয়, হত্যাযজ্ঞ এবং শহীদ সন্তানদের ত্যাগের গল্প। জাহানারা ইমামের ভাষা সহজ হলেও খুবই প্রাঞ্জল এবং অনুভূতিপূর্ণ, যা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
রচনার গুরুত্ব:
-
এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সাহিত্যিকভাবে তুলে ধরে।
-
সাধারণ মানুষের কষ্ট, ত্যাগ এবং সাহসের গল্প সংরক্ষণ করে।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক দিকগুলো স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে।
-
পাঠকদের মাঝে দেশপ্রেম ও ইতিহাস সচেতনতা বাড়ায়।
বইটির বিশেষত্ব হলো এটি শুধুমাত্র ইতিহাস নয়, বরং একজন মাতার চোখ দিয়ে দেখা যুদ্ধের বেদনা এবং ত্যাগের গল্প। জাহানারা ইমাম তার সন্তান শহীদ হওয়ার বেদনা বইতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যা একদিকে যেমন ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা, অন্যদিকে জাতির ইতিহাসের অংশ। পাঠক বইটি পড়লে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র, নারী ও শিশুর ভয়াবহতা, এবং সাধারণ মানুষের সাহস ও ধৈর্য সম্পর্কে গভীর ধারণা পায়।
লেখার ধরন:
জাহানারা ইমামের লেখা স্মৃতিকথা এবং ঐতিহাসিক বর্ণনার মিশ্রণ, যা সহজ, প্রাঞ্জল ও হৃদয়স্পর্শী। এটি বাংলাদেশের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বইটি শুধুমাত্র ইতিহাস শেখায় না, পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম এবং আত্মত্যাগের শিক্ষাও দেয়।
0
Updated: 1 week ago
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি' চরণটি কোন কবির রচনা?
Created: 5 hours ago
A
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
জসীমউদ্দীন
D
মধুসূদন দত্ত
0
Updated: 5 hours ago
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’ কে রচনা করেছেন?
Created: 1 week ago
A
সুফিয়া কামাল
B
সেলিনা হোসেন
C
শামসুর রাহমান
D
জাহানারা ইমাম
0
Updated: 1 week ago