কোন জারক রস পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধায়?
A
পেপসিন
B
এমাইলেজ
C
রেনিন
D
ট্রিপসিন
উত্তরের বিবরণ
রেনিন দুগ্ধ আমিষ কেসিনকে প্যারাকেসিনে পরিণত করে। যা পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধায়।
দুধ একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার, যা সুষম খাদ্যের ছয়টি প্রধান উপাদান ধারণ করে। দুধের মধ্যে উপস্থিত শর্করাকে ল্যাকটোজ নামে পরিচিত এবং এতে থাকা প্রধান প্রোটিন হলো কেসিন।
পাকস্থলীর ভেতরে, রেনিন নামে একটি এঞ্জাইম কেসিন প্রোটিনকে প্যারাকেসিনে রূপান্তরিত করে, যার ফলে দুধ জমাট বাঁধে। এই জমাট বাঁধা দুধ পাকস্থলীতে খাবার হজমের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সূত্র: জীববিজ্ঞান ২য় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি ও ব্রিটানিকা।

0
Updated: 2 months ago
সংকর ধাতু পিতলের উপাদান -
Created: 2 months ago
A
তামা ও টিন
B
তামা ও দস্তা
C
তামা ও নিকেল
D
তামা ও সিসা
সংকর ধাতু পিতলের উপাদান হলো- তামা ও দস্তা।
সংকর ধাতু
- একাধিক ধাতুর মিশ্রণকে সংকর ধাতু বলা হয়।
- একাধিক ধাতুকে গলিত অবস্থায় মিশ্রিত করে সংকর ধাতু তৈরি করা হয়।
- সাধারণত বিশুদ্ধ ধাতু অপেক্ষা সংকর ধাতু বেশি ব্যবহার উপযোগী হয়ে থাকে।
যেমন বিশুদ্ধ স্বর্ণ দিয়ে গয়না তৈরি করা হয় না কারণ বিশুদ্ধ স্বর্ণ নরম হওয়ায় গয়না টেকসই হয় না। স্বর্ণের সাথে সামান্য পরিমান রূপা মিশ্রিত করে গয়না তৈরি করা হয়।
- আবার লোহার সাথে কার্বন, নিকেল ও ক্রোমিয়াম মিশিয়ে মরিচারোধী বা মরিচাবিহীন স্টিল প্রস্তুত করা হয়। মরিচাবিহীন স্টিল লোহার চেয়ে বেশি শক্ত ও টেকসই হয়ে থাকে।

উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
মৌমাছির চাষ হলো-
Created: 2 months ago
A
এপিকালচার
B
সেরিকালচার
C
পিসিকালচার
D
হর্টিকালচার
আধুনিক চাষ
- রেশম চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে - সেরিকালচার;
- মৌমাছির পালন বিষয়ক বিদ্যাকে বলে - এপিকালচার;
- মৎস্য চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে - পিসিকালচার;
- চিংড়ি চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে - প্রণকালচার;
- মৌমাছির চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে - এপিকালচার;
- রেশমের চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে - সেরিকালচার;
- উদ্যানবিদ্যা বিষয়ক বিদ্যাকে বলে - হর্টিকালচার;
- পাখিপালন বিষয়ক বিদ্যাকে বলে - এভিকালচার;
- সামুদ্রিক মৎস পালনবিদ্যাকে বলে - মেরিকালচার।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা।

0
Updated: 2 months ago
বায়ুমণ্ডলে শতকরা কতভাগ আর্গন বিদ্যমান?
Created: 1 month ago
A
৭৮.০
B
০.৮
C
০.৪১
D
০.৩
পৃথিবীর চারপাশে যে অদৃশ্য বায়বীয় আবরণ রয়েছে, তাকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। ইংরেজিতে এটিকে Atmosphere বলা হয়।
বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর অপরিহার্য অংশ, যা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে পৃথিবীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং পৃথিবীর সঙ্গে আবর্তন করে। তবে বায়ু কঠিন ভূমির সঙ্গে পুরোপুরি একইভাবে চলতে না পারায় কিছুটা পশ্চাতে থাকে।
বয়স ও উৎপত্তি:
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, বায়ুমণ্ডলের বয়স প্রায় ৩৫০ কোটি বছর। এটি মূলত ভূ-অভ্যন্তর থেকে নির্গত গ্যাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসারণ:
-
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯০% অংশ অবস্থান করে।
-
সর্বোচ্চ প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান
বায়ুমণ্ডল মূলত বিভিন্ন গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত। প্রধান দুটি গ্যাস হলো:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
এই দুটি গ্যাস মিলে মোট বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯৯% গঠন করে। অবশিষ্ট ১% গ্যাস ও অন্যান্য উপাদান।
গ্যাসের বিতরণ অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের স্তর:
-
সমমণ্ডল (Homosphere): ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত, যেখানে গ্যাসের অনুপাত প্রায় একই রকম থাকে।
-
বিষমমণ্ডল (Heterosphere): ৯০ কিলোমিটারের উপরে, যেখানে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত সমান নয়।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান এবং তাদের শতাংশ
উপাদান | শতকরা (%) |
---|---|
নাইট্রোজেন | ৭৮.০২ |
অক্সিজেন | ২০.৭১ |
আর্গন | ০.৮০ |
কার্বন ডাই-অক্সাইড | ০.০৩ |
ওজোন | ০.০০০১ |
অন্যান্য গ্যাস | ০.০১৯৯ |
জলীয় বাষ্প | ০.৪১ |
ধূলিকণা ও কনিক্স | ০.০১ |
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago