সমার্থক শব্দ হলো একই বা কাছাকাছি অর্থবোধক শব্দ। যেমন: অগ্নি – আগুন, মাটি – ভূতি – মৃত্তিকা ইত্যাদি।
যখন আমরা সমার্থক শব্দ ব্যবহার করি তখন একটি নির্দিষ্ট অর্থ বোঝাতে বিভিন্ন শব্দ প্রয়োগ করতে পারি। এর ফলে—

• ভাষা হয় বৈচিত্র্যময়, সুন্দর ও প্রাঞ্জল।

• একই অর্থ প্রকাশের জন্য একাধিক শব্দ ব্যবহার করে শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়।

অন্য অপশনগুলো ভুল কারণ—

• ক) শব্দার্থ পরিবর্তিত হয় → ভুল, কারণ সমার্থক শব্দে অর্থ প্রায় একই থাকে।

• খ) শব্দার্থের অবনতি ঘটে → ভুল, সমার্থক শব্দ ব্যবহার করলে অর্থ নষ্ট হয় না।

• ঘ) শব্দ ভান্ডার হ্রাস পায় → উল্টোটা হয়, ভাণ্ডার বাড়ে।

তাই সমার্থক শব্দ ব্যবহারের মূল সুবিধা হলো ভাষার শব্দভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করা।

‘বৃক্ষ’ শব্দের সমার্থক নয় ‘বনানী’।
বৃক্ষের সমার্থক শব্দগুলো একক বা নির্দিষ্ট বৃক্ষ বোঝায়, কিন্তু ‘বনানী’ মানে বন বা বৃক্ষের সমষ্টি, তাই সমার্থক নয়।

• ‘বিটপী’ মানে ছোট বৃক্ষ বা গাছ।

• ‘শিখরী’ অর্থ উচ্চ গাছ বা শীর্ষবৃক্ষ।

• ‘পাদপ’ হলো বৃক্ষ বা উদ্ভিদবর্গ।

• ‘বনানী’ মূলত বন বা বৃক্ষসমষ্টি বোঝায়, একক বৃক্ষের নয়।

• সুতরাং সঠিক উত্তর হলো বনানী।

‘অতিথি’ শব্দের প্রতিশব্দ হলো এমন সব শব্দ, যা কাউকে আগন্তুক বা আগমনকারী হিসেবে নির্দেশ করে। এরা সকলেই কোনো গৃহ, সমাজ বা স্থানে আগত ব্যক্তিকে বোঝায়।

‘অতিথি’-এর প্রতিশব্দসমূহ:

• অভ্যাগত

• মেহমান

• নিমন্ত্রিত

• আমন্ত্রিত

• কুটুম

• কুটুম্ব

• আগন্তুক

এসব শব্দে অর্থের সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকলেও মূলত এরা সকলেই আগত বা আমন্ত্রিত ব্যক্তিকে প্রকাশ করে।