ফেরেশতারা কিসের তৈরি?
A
মাটির
B
আগুনের
C
নূরের
D
পানির
উত্তরের বিবরণ
ইসলামি আকিদা অনুযায়ী ফেরেশতারা আল্লাহর সৃষ্টি, যাদের বিশেষ প্রকৃতি ও দায়িত্ব রয়েছে। তাঁদের মূল উপাদান সম্পর্কে কুরআন ও সহিহ হাদিসে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। নিচে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
তালিকাভুক্ত তথ্য:
-
ফেরেশতারা নূর বা আলো থেকে সৃষ্টি, যা মানব ও জিনের মতো কোনো জৈব উপাদান নয়।
-
মুসলিম পণ্ডিতরা মত দেন যে নূর হলো শুদ্ধ আলোকধর্মী উপাদান, যার কোনো ভৌত ভার বা শারীরিক আকৃতি মানুষের মত স্থায়ী নয়।
-
মানুষ মাটি থেকে এবং জিন আগুন থেকে সৃষ্টি, কিন্তু ফেরেশতাদের সৃষ্টির উপাদান আলাদা, যা তাঁদের আধ্যাত্মিক স্বভাবকে নির্দেশ করে।
-
এ কারণে ফেরেশতারা পাপ করে না, সর্বদা আল্লাহর আনুগত্য করে—এটি তাঁদের নূরানি প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত।
-
ফেরেশতারা অদৃশ্য জগৎ বা গায়েবের অন্তর্ভুক্ত, তাই মানুষের চোখে দৃশ্যমান না হলেও আল্লাহ চাইলে বিশেষ অবস্থায় তাঁদের দৃশ্যমান করেন।
-
ইসলামের মৌলিক আকিদার মধ্যে অন্যতম হলো ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান, যা ছয়টি ঈমানের স্তম্ভের একটি।
-
নূর থেকে সৃষ্টি হওয়ায় তাঁদের গতিশীলতা ও শক্তি অত্যন্ত উচ্চ, যেমন জিবরাইল আ. এক মুহূর্তেই আসমান-যমীন অতিক্রম করতে পারেন।
0
Updated: 6 hours ago
বদর যুদ্ধের পর মদিনার কোন্ ইহুদী গোত্রকে বহিষ্কার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
বানু কায়নুকা
B
বানু গাত্ফান
C
বানু নাসির
D
বানু কোরায়জা
বদর যুদ্ধের পর মদিনার বনু কায়নুকা ইহুদি গোত্রকে মদিনা থেকে বহিষ্কার করা হয়, কারণ তারা মদিনা সনদের শর্ত ভঙ্গ করেছিল। এক মুসলিম নারীর সম্ভ্রমহানি ঘটনার মাধ্যমে তারা মুসলমানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যার ফলস্বরূপ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
-
বনু কায়নুকা ছিল মদিনার তিনটি প্রধান ইহুদি গোত্রের একটি।
-
তারা প্রথমেই মুসলমানদের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করে শত্রুতা প্রকাশ করে।
-
এক ইহুদি স্বর্ণকার এক মুসলিম নারীর বস্ত্র খুলে দিয়ে অপমান করলে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
-
ফলস্বরূপ মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় এবং খলিফা মুহাম্মদ (সা.) তাদের মদিনা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
-
এই ঘটনার পর বাকি ইহুদি গোত্রগুলোও মুসলমানদের প্রতি সতর্ক হয়ে যায়।
0
Updated: 1 month ago
‘আল কানুন ফিত্ তিবব' গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
আবুল কাশেম আল জাহরাবী
B
ইবনে সিনা
C
আল রাযী
D
আল বেরুনী
‘আল-কানুন ফিত তিব্ব’ একটি বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক গ্রন্থ, যার রচয়িতা প্রখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক ইবনে সিনা। এটি ছিল মধ্যযুগীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংকলন।
-
গ্রন্থটি ১০২৫ সালে রচিত হয় এবং এতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিস্তৃত ও সংগঠিত ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
এতে মানবদেহ, রোগ, ঔষধ ও চিকিৎসা-পদ্ধতি সম্পর্কিত বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে।
-
এই গ্রন্থটি পরবর্তীকালে লাতিন, ইংরেজি, হিব্রু ও অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়।
-
ইউরোপের চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
ইবনে সিনার এই রচনা তাঁকে ‘আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক’ উপাধি এনে দেয়।
-
‘আল-কানুন ফিত তিব্ব’ ইসলামী সভ্যতার বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে আজও স্বীকৃত।
0
Updated: 1 month ago
ইসলামী সরকার কোন্ ধরণের শাসন পদ্ধতি অনুসরণ করে?
Created: 1 month ago
A
একনায়কত্ত
B
গনতন্ত্র ভিত্তিক
C
শুরা ভিত্তিক
D
বংশীয় মর্যাদা ভিত্তিক
ইসলামী সরকার এমন এক শাসনব্যবস্থা যা পরামর্শ ও ন্যায়ের নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত, যেখানে সব সিদ্ধান্ত কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রহণ করা হয়।
-
এই শাসনব্যবস্থার মূলভিত্তি হলো শুরা, অর্থাৎ পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
-
সরকার পরিচালনায় কুরআন ও সুন্নাহর নীতিকে সর্বোচ্চ মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
-
রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমে জনগণের কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা মুখ্য লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারিত।
-
শুরা ব্যবস্থায় শাসক এককভাবে নয়, বরং জ্ঞানি ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের মতামত অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
-
এর মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রে দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
0
Updated: 1 month ago