বাংলাদেশের আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটি?
A
মুন্সিগঞ্জ
B
নারায়ণগঞ্জ
C
জামালপুর
D
শরীয়তপুর
উত্তরের বিবরণ
ছোট একটি ভূমিক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে গঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা দেশের শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে চলছে। আয়তনে ছোট হলেও অর্থনৈতিক গুরুত্ব, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং শিল্প কারখানার বিস্তারের জন্য এই জেলা দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। নিচের পয়েন্টগুলোতে বিষয়টি আরও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হলো।
-
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ, যার আয়তন প্রায় ৬৮৩.৩২ বর্গকিলোমিটার।
-
জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে, পূর্বে এটি ছিল ঢাকার অংশ।
-
ভৌগোলিক অবস্থান ঢাকা বিভাগের কেন্দ্রের কাছাকাছি হওয়ায় এটি দ্রুত শিল্পায়নের উপযোগী এলাকায় পরিণত হয়।
-
এখানে বহুমুখী শিল্পকারখানা, রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা, জাহাজ নির্মাণকেন্দ্রসহ অসংখ্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম রয়েছে।
-
নারায়ণগঞ্জকে দেশের “ডান্ডি অব বাংলাদেশ” বলা হয় এর প্রসিদ্ধ জুট মিল ও ব্যস্ত বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের জন্য।
-
আয়তন ছোট হলেও জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি, যা এর নগরায়ণ প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত বাড়িয়েছে।
-
জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শীতলক্ষ্যা নদী এ অঞ্চলের যোগাযোগ ও বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
আয়তনের তুলনায় অর্থনৈতিক অবদান বেশি হওয়ায় জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
0
Updated: 6 hours ago
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট (আয়তন অনুযায়ী) জেলা কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
মুন্সিগঞ্জ
B
নরসিংদী
C
নারায়ণগঞ্জ
D
গাজীপুর
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট জেলা হিসেবে পরিচিত। এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ছোট আয়তনের হলেও অর্থনৈতিক অবদানে এই জেলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এখন নিচে নারায়ণগঞ্জ জেলার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো—
-
অবস্থান ও আয়তন: নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। এর আয়তন মাত্র ৬৮৩.১৪ বর্গকিলোমিটার, যা দেশের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট।
-
প্রতিষ্ঠা: এই জেলা ১৯৮৪ সালে পুরনো ঢাকার অংশ থেকে পৃথক হয়ে আলাদা জেলা হিসেবে গঠিত হয়। এর আগে এটি ঢাকা জেলার একটি মহকুমা ছিল।
-
প্রশাসনিক বিভাজন: নারায়ণগঞ্জ জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছে— নারায়ণগঞ্জ সদর, সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ এবং বন্দর উপজেলা।
-
অর্থনীতি ও শিল্প: নারায়ণগঞ্জকে বাংলাদেশের “ডান্ডি অব বাংলাদেশ” বলা হয়, কারণ এখানে প্রচুর সংখ্যক জুট মিল বা পাটকল রয়েছে। এটি একসময় বিশ্বখ্যাত পাটশিল্পের কেন্দ্র ছিল। বর্তমানে এটি তৈরি পোশাক, ডাইং, ও রপ্তানি শিল্পের জন্যও বিখ্যাত।
-
বাণিজ্য ও পরিবহন: শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় এটি নৌপরিবহনের জন্য সুবিধাজনক। এখানকার নৌবন্দর, বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর, দেশের অন্যতম ব্যস্ততম নদীবন্দর।
-
ঐতিহাসিক স্থান: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও একসময় বাংলার প্রাচীন রাজধানী ছিল। এখানেই বিখ্যাত পানাম নগর, লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, এবং ঐতিহাসিক গোয়ালদি মসজিদ অবস্থিত।
-
সংস্কৃতি ও জনসংখ্যা: এই জেলা শিল্প-সংস্কৃতি, নাটক, বাণিজ্য, ও ক্রীড়াক্ষেত্রে সমৃদ্ধ। জনসংখ্যা ঘনত্ব অনেক বেশি — প্রতি বর্গকিলোমিটারে গড়ে প্রায় ৩,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ বসবাস করে।
-
শিক্ষা: নারায়ণগঞ্জে উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, এবং সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়।
-
ভৌগোলিক সীমা: এর উত্তরে গাজীপুর, পূর্বে নরসিংদী, দক্ষিণে মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা জেলার কিছু অংশ অবস্থিত।
-
পরিচিত ব্যক্তিত্ব: এই জেলার অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, যেমন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিকরা।
সব মিলিয়ে দেখা যায়, আয়তনে ছোট হলেও নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের শিল্প, অর্থনীতি ও ঐতিহ্যে বিশাল ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই আয়তনের বিচারে এটি দেশের সবচেয়ে ছোট জেলা, কিন্তু গুরুত্বের বিচারে অন্যতম বড় একটি জেলা।
0
Updated: 2 weeks ago
দেশের প্রথম 'জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ' উদ্বোধন করা হয়েছে কোথায়?
Created: 1 month ago
A
রাজশাহী
B
খুলনা
C
কুমিল্লা
D
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়েছে, যা শহীদদের স্মরণে নির্মিত।
প্রধান তথ্যগুলো:
-
নির্মাণ ও সহায়তা: সরকারি উদ্যোগে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সহায়তায়।
-
উদ্বোধন: ১৩ জুলাই, ২০২৫, জেলার সদর উপজেলার হাজীগঞ্জ এলাকায়, অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টার মাধ্যমে।
-
স্মৃতিস্তম্ভে শহিদের নাম: ফলকে ২১ জন শহিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago