A
ই-মেইল
B
ইন্টারকম
C
ইন্টারনেট
D
টেলিগ্রাম
উত্তরের বিবরণ
ইন্টারনেট
-
ইন্টারনেট হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব করে।
-
এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।
-
ইন্টারনেটের শুরু হয় আরপানেট নামের একটি প্রকল্প থেকে।
-
১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি গবেষণার মাধ্যমে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার আরপানেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়।
ইন্টারনেটের ব্যবহারসমূহ
১. দ্রুত তথ্য বা ফাইল আদান-প্রদান করা।
২. তথ্য সংরক্ষণ করা।
৩. ই-কমার্সে ব্যবহার করা।
৪. তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা।
৫. ঘরে বসে কেনাবেচা করা।
৬. ব্যক্তিগত বা দলগতভাবে বুলেটিন বোর্ড তৈরি করা।
৭. মেসেজ বা ই-মেইল আদান-প্রদান করা।
সূত্র: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 4 weeks ago
যেসব অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে তাদের বলা হয়-
Created: 6 days ago
A
প্যাথজেনিক
B
ইনফেকশন
C
টক্সিন
D
জীবাণু
রোগ সংক্রমণ ও প্যাথোজেন
-
প্যাথোজেন (Pathogen):
জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে, প্যাথোজেন হলো সেই কোনো অণুজীব বা এজেন্ট যা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সহজ কথায়, “যে অণুজীব রোগের কারণ হয়, তাকে প্যাথোজেন বলা হয়।”উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, প্রিয়ন, এবং অন্যান্য কিছু ক্ষুদ্র জীবাণু।
-
Oxford Dictionary অনুযায়ী: Pathogenic = (of a bacterium, virus, or other microorganism) causing disease.
-
ইতিহাস: ১৮৮০ সাল থেকে এই শব্দটি সাধারণত রোগ সৃষ্টিকারী এজেন্ট বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
-
সংক্রমণ (Infection):
সংক্রমণ হলো সেই প্রক্রিয়া যখন কোনো প্যাথোজেন আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং রোগের লক্ষণ তৈরি করে। -
টক্সিন (Toxin):
টক্সিন হলো ক্ষতিকারক বা বিষাক্ত পদার্থ, যা কোনো অণুজীব (বা অন্য উৎস) দ্বারা তৈরি হতে পারে। -
জীবাণু (Microorganism):
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুজীব, যা সবসময় রোগ সৃষ্টি করে না। কিছু জীবাণু বিপজ্জনক (প্যাথোজেনিক) হতে পারে, আবার অনেকগুলো নিরীহ বা উপকারীও হতে পারে।
সংক্ষেপে:
“যে অণুজীব রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম, সেটিই প্যাথোজেন; সংক্রমণ হলো সেই প্যাথোজেনের প্রভাবে শরীরে রোগ দেখা; টক্সিন হলো বিষ; আর সব জীবাণুই রোগ সৃষ্টি করে না।”
উৎস: Oxford English Dictionary, Pathogenic

0
Updated: 6 days ago
কোন গ্রহের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে অধিক?
Created: 1 week ago
A
শুক্র
B
পৃথিবী
C
মঙ্গল
D
বুধ
সৌরজগতের গ্রহগুলোর তাপমাত্রা
সূর্য থেকে যত দূরে কোনো গ্রহ অবস্থান করে, সাধারণত তার গড় তাপমাত্রা তত কমে যায়। তবে শুক্র এর ব্যতিক্রম। কারণ এর ঘন কার্বন ডাই অক্সাইডে ভরা বায়ুমণ্ডল ও সূর্যের সান্নিধ্য একে সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রহে পরিণত করেছে।
শুক্র পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ এবং এটি আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বলভাবে দেখা যায়। এর ঘন মেঘাচ্ছন্ন বায়ুমণ্ডল প্রধানত কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে গঠিত। তাই তাপ আটকে রেখে গ্রহটিকে ভীষণ উষ্ণ করে তোলে। অন্যদিকে পৃথিবী সূর্য থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গ্রহগুলোর গড় তাপমাত্রা (প্রায়)
-
বুধ: ১৬৭° সেলসিয়াস
-
শুক্র: ৪৬৪° সেলসিয়াস
-
পৃথিবী: ১৫° সেলসিয়াস
-
মঙ্গল: –৬৫° সেলসিয়াস
-
বৃহস্পতি: –১১০° সেলসিয়াস
-
শনি: –১৪০° সেলসিয়াস
-
ইউরেনাস: –১৯৫° সেলসিয়াস
-
নেপচুন: –২০০° সেলসিয়াস
সব মিলিয়ে বলা যায়, সূর্য থেকে যত দূরে যাওয়া যায়, তাপমাত্রা তত হ্রাস পায়। তবে শুক্র তার ঘন বায়ুমণ্ডলের কারণে নিয়মের বাইরে থেকে সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ হিসেবে পরিচিত।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি) এবং NASA ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত সুগার হল-
Created: 1 week ago
A
গ্লাইকোজেন
B
গ্লুকোজ
C
ফ্রুক্টোজ (Fructose)
D
সুক্রোজ
গ্লাইকোজেন
গ্লাইকোজেন হলো একটি পুষ্টিজাত পলিস্যাকারাইড যা প্রাণীদের প্রধান শক্তি সঞ্চিত রূপ।
-
যদিও এটি মূলত প্রাণীদেহে সঞ্চিত থাকে, কিছু সায়ানোব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক (যেমন ইস্ট) এর মধ্যেও দেখা যায়।
-
গ্লাইকোজেনের গঠনমূলক একক হলো α-D-গ্লুকোজ।
-
যখন গ্লাইকোজেন হাইড্রোলাইসিসের মাধ্যমে ভাঙা হয়, তখন কেবল α-D-গ্লুকোজ উৎপন্ন হয়।
-
এর আণবিক সূত্র হলো (C6H10O5)n।
গ্লাইকোজেনের কাজ:
-
লিভার এবং পেশিতে জমা থাকা গ্লাইকোজেন প্রয়োজনে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়, যা শরীরকে কার্বন এবং শক্তি সরবরাহ করে।
-
রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: লিভারের গ্লাইকোজেন রক্তে গ্লুকোজ হিসেবে ছাড়ে, আর পেশিতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন পেশি কাজের জন্য শক্তি যোগায়।
অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত শর্করা হলো গ্লাইকোজেন।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago