নিচের কোনটি বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্ম নাম?
A
আবদুল
B
যাযাবর
C
মেঘদূত
D
কানাই
উত্তরের বিবরণ
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্মে তিনি প্রায়ই ছদ্ম নাম ব্যবহার করে লিখেছেন। এর মধ্যে “যাযাবর” তাঁর পরিচিত ছদ্ম নাম। তিনি মূলত উপন্যাস, ছোটগল্প ও নাটক রচনায় নিপুণ ছিলেন এবং কখনও কখনও ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রেখে ছদ্ম নামের মাধ্যমে সমাজ ও মানবচরিত্রের নানা দিক উপস্থাপন করেছেন।
• যাযাবর হচ্ছে বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় ছদ্ম নাম।
• তিনি ছদ্ম নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় তুলে ধরেছেন।
• ছদ্ম নাম ব্যবহার করার মাধ্যমে তিনি সাহিত্যকর্মে স্বাধীনতা বজায় রেখেছেন এবং সমালোচনার চাপ কমিয়েছেন।
• তাঁর লেখা মূলত মানব মনোবৃত্তি, সামাজিক দ্বন্দ্ব ও নৈতিকতার প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রীভূত।
এই কারণে “যাযাবর” তার প্রামাণিক ছদ্ম নাম হিসেবে স্বীকৃত।
0
Updated: 6 hours ago
'বীরবল' ছদ্মনামে কে লিখতেন?
Created: 2 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মুনীর চৌধুরী
C
সমরেশ বসু
D
প্রমথ চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী ‘বীরবল’ ছদ্মনামে লিখতেন।
প্রমথ চৌধুরী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষণা করেছেন এবং বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক ছিলেন। তিনি বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধের মাধ্যমে সাহিত্যকে নতুন দিশা দেখিয়েছেন।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল।
-
‘বীরবলের হালখাতা’ প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকা-তে। এ রচনায় প্রথমবার চলিত গদ্যের রীতি ব্যবহার করা হয়।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
-
তাঁর পরিচিত প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: নানা কথা, আমাদের শিক্ষা, রায়তের কথা, প্রবন্ধ সংগ্রহ, বীরবলের হালখাতা, তেল-নুন-লকড়ি।
-
গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: চার ইয়ারী কথা, নীললোহিত, আহুতি।
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
অশোক সৈয়দ কার ছদ্মনাম?
Created: 3 months ago
A
আবদুল মান্নান সৈয়দ
B
সৈয়দ আজিজুল হক
C
আবু সয়ীদ আইয়ুব
D
সৈয়দ শামসুল হক
আবদুল মান্নান সৈয়দ ও তাঁর ছদ্মনাম
আবদুল মান্নান সৈয়দ, যিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সাহিত্য-সমালোচক, ১৯৪৩ সালের ৩ আগস্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সাহিত্যজীবনের সূচনাপর্বে তিনি ‘অশোক সৈয়দ’ নামটি ছদ্মনাম হিসেবে ব্যবহার করতেন।
১৯৬০ সালে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন এবং পরবর্তী পাঁচ দশকব্যাপী এই চর্চা অব্যাহত রাখেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ প্রকাশিত হয় ১৯৬৭ সালে।
কবিতা, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, গবেষণা, কাব্যনাট্য ও স্মৃতিকথা মিলিয়ে তাঁর রচনার সংখ্যা ১৫০টিরও বেশি।
বাংলা সাহিত্যের লেখক ও তাঁদের ছদ্মনাম
-
সমরেশ বসু → কালকূট
-
রাজশেখর বসু → পরশুরাম
-
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় → বনফুল
-
মধুসূদন মজুমদার → দৃষ্টিহীন
-
সোমেন চন্দ → ইন্দ্রকুমার সোম
-
বিমল ঘোষ → মৌমাছি
-
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় → যাযাবর
-
সতীনাথ ভাদুড়ী → চিত্রগুপ্ত
-
বিমল মিত্র → জাবালি
-
কালিকানন্দ → অবধূত
-
সৈয়দ মুজতবা আলী → প্রিয়দর্শী
-
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় → নীল লোহিত
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
বাংলা সাহিত্যে ‘ভোরের পাখি’ বলা হয় কাকে?
Created: 3 days ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
রাজ শেখর বসু
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বিহারীলাল চক্রবর্তী
বাংলা সাহিত্যে ‘ভোরের পাখি’ বলা হয় বিহারীলাল চক্রবর্তী।
বিহারীলাল চক্রবর্তী আধুনিক বাংলা কবিতার সূচনাকারী হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি কাব্যচর্চায় নতুন ধারার সূচনা করেন, যা পরবর্তী প্রজন্মের কবিদের প্রভাবিত করে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই তাঁকে এই উপাধি “ভোরের পাখি” প্রদান করেন, যাতে তার নতুন ধারার কবিতার সূচনা বোঝানো হয়।
-
উদাহরণ: তাঁর কবিতা নতুন ভাবধারার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
অন্যান্য সাহিত্যিক, যেমন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বা রাজ শেখর বসু, ভোরের পাখি উপাধির প্রাপ্য নন।
-
বাংলা সাহিত্য ইতিহাসে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আধুনিক কবিতার উত্থান ও সাহিত্যের ধারার পরিবর্তন বোঝায়।
-
শিক্ষার্থীরা এই তথ্য ব্যবহার করে সাহিত্যিক পরিচয় ও সাহিত্য আন্দোলনের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারে।
0
Updated: 3 days ago