মুসলমান নারী জাগরণের কবি হিসেবে কে পরিচিত?
A
কামিনী রায়
B
সুফিয়া কামাল
C
বেগম রোকেয়া
D
শামসুন্নাহার মাহমুদ
উত্তরের বিবরণ
বেগম রোকেয়া বাংলা সমাজে মুসলিম নারীর জাগরণ ও শিক্ষাচেতনা উন্নয়নে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখায় তাঁকে “মুসলমান নারী জাগরণের কবি” বলা হয়। তাঁর সাহিত্য, সামাজিক আন্দোলন এবং নারীশিক্ষা বিস্তারে অবদান বাংলা রেনেসাঁর এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
• বেগম রোকেয়া (১৮৮০–১৯৩২) সমাজে নারীশিক্ষার অভাব, অন্ধবিশ্বাস ও পুরুষতান্ত্রিক বাধাকে লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেন।
• তাঁর প্রথম গল্প “সুলতানার স্বপ্ন” (১৯০৫) নারীমুক্তি ভাবনার বিশ্বমানের একটি রচনা, যেখানে নারীকে বিজ্ঞানমনস্ক ও অগ্রসর সমাজের নেতৃত্বদাত্রী হিসেবে দেখানো হয়।
• “অবরোধবাসিনী” (১৯২৮) গ্রন্থে তিনি মুসলিম নারীর দুঃখ, গৃহবন্দিত্ব ও বঞ্চনার বাস্তব চিত্র উপস্থাপন করেন, যা নারী জাগরণ আন্দোলনে বিশেষ প্রভাব ফেলে।
• তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সাঘরদাঁড়ি স্কুল (১৯১৬)—নারী শিক্ষার প্রসারে একটি পথিকৃৎ উদ্যোগ।
• রোকেয়ার লেখায় সমতা, স্বাধীনতা, আত্মমর্যাদা ও জ্ঞানচর্চা ছিল মূল বার্তা, যা পরবর্তীকালে উপমহাদেশের নারী আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
• তাঁর সাহিত্যকর্ম যেমন “মতিচূর”, “পদ্মরাগ”, সবই নারীশক্তি জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে রচিত।
0
Updated: 7 hours ago
শতকরা হিসেবে সার্কভুক্ত কোন দেশে বনভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 week ago
A
শ্রীলংকা
B
ভুটান
C
নেপাল
D
ভারত
ভুটান, একটি ছোট ও সুন্দর দেশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বনভূমির ধারণকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশের প্রায় ৭০% ভূমি বনভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত, যা অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বনভূমি রক্ষায় ভুটান সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগের ফলে এই পরিমাণে বনভূমি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এখানে কিছু মূল তথ্য তুলে ধরা হল:
-
ভুটান:
-
ভুটানে বনভূমির পরিমাণ প্রায় ৭০%। এই দেশের সরকার বনভূমি রক্ষায় কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। ২০০৯ সালে ভুটান সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের জাতীয় ভূমির ৬০% বনভূমি হিসেবে রক্ষা করবে। এর মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অবদান রাখা হচ্ছে।
-
ভুটান বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ, এটি প্রতিস্থাপন করে এমন পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে না। এই অর্জনটি মূলত তার বনভূমি রক্ষার ফলে সম্ভব হয়েছে।
-
ভুটানের বনভূমির বড় অংশে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ এবং বন্যপ্রাণী বাস করে, যা দেশে বায়ু মান উন্নত করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি প্রাকৃতিক গঠন তৈরি করে।
-
-
শ্রীলঙ্কা:
-
শ্রীলঙ্কায় বনভূমির পরিমাণ প্রায় ৩০% এর আশেপাশে। দেশের বনভূমি বেশিরভাগই বর্ষাকালীন রেইনফরেস্ট থেকে গঠিত। তবে শ্রীলঙ্কায় বনভূমি উজাড় হওয়া এবং অন্যান্য কারণে বনভূমির পরিমাণ কমে গেছে।
-
-
নেপাল:
-
নেপালের বনভূমি প্রায় ৪০%-৫০%। এখানে নানা ধরনের উদ্ভিদ এবং প্রাণী বসবাস করে, এবং দেশটি বেশ কিছু জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনভূমি পরিচালনা করে।
-
-
ভারত:
-
ভারতের বনভূমির পরিমাণ ২৪%-২৫% এর আশেপাশে। যদিও ভারতের বনভূমি অনেক বড়, কিন্তু মোট ভূমির তুলনায় এর পরিমাণ কম। বন উজাড়, অবৈধ পাচার এবং কৃষি খামারের জন্য বনভূমির পরিমাণ অনেকাংশে কমে গেছে।
-
ভুটান দেশের বনভূমি রক্ষা এবং পরিবেশগত সচেতনতার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলির জন্য একটি আদর্শ সৃষ্টি করেছে। এতে দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে এবং তার পরিবেশগত নীতির কারণে বিশ্বে এটি একটি পরিচিতি পেয়েছে।
0
Updated: 1 week ago
যদি data ও time প্রদর্শন সিসটেম ভুল হয় তাহলে আপনি সেটি পুনরায় সেট করার জন্য নিচের কোনটি?
Created: 1 week ago
A
Control panel
B
Shift & Control
C
Calendar
D
Writes
কম্পিউটারে তারিখ (Date) ও সময় (Time) প্রদর্শন সঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে সিস্টেম বিভিন্ন প্রোগ্রামের কার্যক্রম, ফাইল সংরক্ষণ, ও ইন্টারনেট সংযোগের সময় নির্ধারণ করে। কিন্তু যদি কোনো কারণে এই প্রদর্শন ভুল হয়ে যায়, তখন সেটি সংশোধনের জন্য সাধারণত Calendar ব্যবহৃত হয়। এটি সিস্টেমের সময় ও তারিখ পরিবর্তন বা পুনর্নির্ধারণের একটি সহজ উপায়।
-
Calendar হলো সিস্টেমের একটি ফিচার যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী সহজেই সময় ও তারিখ ঠিক করতে পারেন। এটি সাধারণত কম্পিউটারের টাস্কবারে প্রদর্শিত ঘড়ির ওপর ক্লিক করলে দেখা যায়। এখান থেকে "Change date and time settings" অপশনে গিয়ে সময় ও তারিখ পুনরায় সেট করা যায়।
-
Windows অপারেটিং সিস্টেমে Calendar আইকনে ক্লিক করে সময় অঞ্চল (Time Zone), তারিখ (Date), এবং ঘড়ির সময় (Time) পরিবর্তন করা সম্ভব। এতে সিস্টেমে সঠিক সময় অনুযায়ী সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
-
সময় ভুল থাকলে ইন্টারনেট সংযোগ, সফটওয়্যার ইনস্টলেশন, এমনকি কিছু নিরাপত্তা ফিচারেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সময় সঠিক রাখা খুবই প্রয়োজনীয়।
-
Calendar শুধুমাত্র সময় ও তারিখ প্রদর্শনের জন্য নয়, এটি ইভেন্ট বা রিমাইন্ডার সেট করার কাজেও ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা মিটিংয়ের তারিখ নির্ধারণ করতে পারেন।
-
যদি সিস্টেম সময় ব্যাটারির কারণে বা BIOS সেটিংসের ত্রুটির জন্য পরিবর্তিত হয়, তখনও Calendar ব্যবহার করে সেটি সাময়িকভাবে ঠিক করা যায়। BIOS-এ গিয়ে স্থায়ীভাবে সময় সংশোধন করা সম্ভব হলেও, সাধারণ ব্যবহারকারীরা Calendar দিয়েই তা করে থাকেন।
-
অনেক সময় Windows স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট টাইম সার্ভারের সঙ্গে সিঙ্ক করে সময় ঠিক করে নেয়। তবে যদি সেটি বন্ধ থাকে বা সঠিকভাবে কাজ না করে, তখন ব্যবহারকারীকে Calendar খুলে ম্যানুয়ালি সেট করতে হয়।
-
অন্যদিকে, Control Panel সময় সেট করার একটি বিকল্প জায়গা হলেও এটি মূলত বিভিন্ন সেটিংসের সমষ্টি; এখানে Calendar-এর সাহায্যেই সময় পরিবর্তন করা হয়।
-
Shift & Control হলো কীবোর্ড কমান্ড, যা সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
Writes শব্দটি সাধারণত লেখালেখি বা ডাটা সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই এটি সময় সেটিংসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখে না।
সব মিলিয়ে, যখন কম্পিউটারের সময় বা তারিখ প্রদর্শন ভুল হয়, তখন সেটি দ্রুত ও সহজভাবে সংশোধন করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো Calendar ব্যবহার করা। এটি ব্যবহারকারীকে সঠিক সময় প্রদর্শন নিশ্চিত করতে সহায়তা করে এবং সিস্টেমের সময়নির্ভর সকল কার্যক্রমকে স্বাভাবিক রাখে।
0
Updated: 1 week ago
জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি (Oral Pill) কোন বয়সী মহিলাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?
Created: 3 weeks ago
A
২০ বছরের নিচে
B
৪০ বছরের উপরে
C
৩০ বছরের উপরে
D
২৫ বছরের নিচে
জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি (Oral Pill) ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বয়সসীমা এবং শারীরিক অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সাধারণত, ৩০ বছরের উপরে বয়সী মহিলাদের জন্য এই বড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে, তাই সঠিক উত্তর হলো গ) ৩০ বছরের উপরে।
এখানে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
-
৩০ বছরের উপরে বয়সী মহিলাদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকতে পারে, যেমন রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা (থ্রম্বোসিস), এবং হরমোনাল ইস্যু।
-
৩০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের মধ্যে হরমোনাল বড়ির কারণে হার্টের রোগের ঝুঁকি, স্ট্রোক, এবং হাইপারটেনশনের সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি তাদের আগে থেকেই এই ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।
-
এর কারণ হলো, জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়িতে থাকা এস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টিন হরমোন রক্তের মধ্যে জমাট বাঁধা বা থ্রম্বোসিস ঘটানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে, যা ৩০ বছরের উপরের মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়।
-
২০ বছরের নিচে বয়সী মহিলাদের জন্য সাধারণত এই বড়ি ব্যবহারে বড় ধরনের ঝুঁকি কম থাকে, তবে যাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে (যেমন ধমনী বা হৃদরোগ), তাদের জন্য ঝুঁকি থাকতে পারে।
-
৩০ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য, যদি তারা ধূমপান করেন, বা তাদের ইতিহাসে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, বা থ্রম্বোসিস থাকে, তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার এড়ানো উচিত বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।
তাহলে, সঠিক উত্তর হলো গ) ৩০ বছরের উপরে।
0
Updated: 3 weeks ago