জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে কোনটি?
A
কৃত্রিম সার প্রয়োগ
B
পানি সেচ
C
জমিতে নাইট্রোজেন ধরে রাখা
D
প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ
উত্তরের বিবরণ
জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণের উপায়
-
জমির লবণ কমাতে পানি সেচের বিশেষ ভূমিকা থাকে। দুই-তিনবার স্বাদু পানি দিয়ে জমিতে সেচ দিলে জমির লবণ জমি থেকে ধুয়ে বের হয়ে যায় এবং লবণাক্ততা কমে।
-
এটা এক প্রাকৃতিক এবং সহজ পদ্ধতি।
-
লবণাক্ততার কারণে শুকনো মৌসুমে, বিশেষ করে রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে ফসল চাষ কঠিন হয়ে পড়ে।
-
এ সময় মাটির লবণাক্ততার মাত্রা ৮.০ ডিএস/মি. এর বেশি হয়ে যায়।
-
নদীর পানির লবণাক্ততা এই সময় ২৫ থেকে ৩০ ডিএস/মি. পর্যন্ত হতে পারে।
জমির উর্বরতা রক্ষা ও বৃদ্ধি করার জন্য করণীয়
-
ভূমিক্ষয় (মাটি ক্ষয়) রোধ করা।
-
মাটিতে জৈব পদার্থ যেমন গোবর বা কম্পোস্ট ব্যবহার করা।
-
মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ রাখা।
-
শিম জাতীয় ফসল চাষ করা, কারণ এরা মাটির পুষ্টি বৃদ্ধি করে।
-
একই জমিতে বারবার একই ফসল না চাষ করে বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষ করা।
-
পানি ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ সঠিকভাবে করা।
উৎস: বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস ও মাধ্যমিক কৃষিশিক্ষা, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
Created: 1 month ago
A
ধুলিকণা
B
বায়ুস্তর
C
বৃষ্টির কণা
D
অতিবেগুনি রশ্মি
সূর্যের আলো দেখতে সাদা রঙের হলেও আসলে এর ভেতরে সাতটি ভিন্ন রঙ লুকিয়ে থাকে—বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই সাদা আলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। যখন এটি কোনো প্রিজমের ভেতর দিয়ে যায়, তখন আলোটি ভেঙে সাত রঙে আলাদা হয়ে যায়।
আকাশে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছোট ছোট প্রিজমের মতো কাজ করে। সূর্যের আলো ফোঁটার এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় সাত রঙের বর্ণালী তৈরি করে। ফোঁটা থেকে বের হওয়া এই রঙিন আলো আমাদের চোখে পৌঁছায় বলেই আমরা রংধনু দেখতে পাই। অর্থাৎ বৃষ্টির ফোঁটার ভেতরের প্রতিফলন ও প্রতিসরণের কারণে আকাশে সুন্দর রংধনু গঠিত হয়।
এছাড়া আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যায়, আর যদি আপতন কোণ মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বড় হয়, তখন পুরো আলোকরশ্মিই প্রতিফলিত হয়ে ঘন মাধ্যমের ভেতরেই ফিরে আসে। এই ঘটনাকে বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
কোথায় সাঁতার কাটা সহজ?
Created: 1 month ago
A
পুকুরে
B
খালে
C
নদীতে
D
সাগরে
যে কোনো বস্তুকে তরল বা গ্যাসে আংশিক বা পুরোপুরি ডুবালে লম্বভাবে যে উপরের দিকে বল প্রয়োগ হয়, তাকে প্লবতা বলা হয়।
সমুদ্রের পানিতে অনেক ধরনের লবণ দ্রবীভূত থাকে। ফলে সমুদ্রের ঘনত্ব সাধারণ পানির চেয়ে বেশি হয়। ঘনত্ব বেশি হওয়ায় সমুদ্রের পানির প্লবতাও বেশি হয়।
প্লবতা বেশি থাকলে সাঁতারুর শরীর পানিতে তুলনামূলকভাবে হালকা মনে হয়। এজন্য সমুদ্র বা সাগরে সাঁতার কাটা নদীর চেয়ে সহজ হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন উদ্ভিদ কেবল ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে দেখা যায়?
Created: 1 month ago
A
খেজুর পাম
B
সাগু পাম
C
নিপা পাম
D
তাল পাম
ম্যানগ্রোভ
-
ম্যানগ্রোভ হলো সমুদ্র উপকূলের বিশেষ ধরনের বনভূমি, যা জোয়ার-ভাটার প্রভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়।
-
এই বন সাধারণত উষ্ণমন্ডলীয় এবং উপ-উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে দেখা যায়।
-
ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত থাকে পানি, পলি, পুষ্টি উপাদান, জৈব পদার্থ এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। সব উপাদান একে অপরের সাথে সংযুক্তভাবে কাজ করে।
-
ম্যানগ্রোভ বনভূমি মূলত লবণাক্ত সমতলভূমিতে গঠিত হয়, যেখানে জোয়ার-ভাটার নিয়মিত প্রভাব থাকে।
গোলপাতা (Nipa Palm)
-
গোলপাতা হলো Nypa fruticans প্রজাতির একটি পামজাতীয় উদ্ভিদ, যা Arecaceae (Palmae) গোত্রভুক্ত।
-
এটি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত এবং এশিয়া, ওসেনিয়া ও আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের ম্যানগ্রোভ বনগুলোতে বিস্তৃত।
-
উদ্ভিদের কান্ড স্বল্প ও অনুভূমিক, এবং এতে অসংখ্য শিকড় থাকে। পাতাগুলো লম্বা ও খাড়া, প্রায় ৩–৯ মিটার পর্যন্ত।
-
বাংলাদেশে, বিশেষ করে সুন্দরবনের স্বল্প ও মধ্য লবণাক্ত অঞ্চলে গোলপাতা বেশি জন্মায়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago