A
৭০ বছর
B
৬৫ বছর
C
৭৬ বছর
D
৮০ বছর
উত্তরের বিবরণ
ধূমকেতু (Comet)
-
মহাকাশে কখনো কখনো একটি বিশেষ ধরনের জ্যোতিষ্ক দেখা যায়, যার মাথা ও লেজ থাকে— একে ধূমকেতু বলে।
-
ধূমকেতু আকাশে একটি বিস্ময়কর দৃশ্য তৈরি করে।
-
যদিও ধূমকেতু সৌরজগতের অংশ, এটি অনেক সময় অদৃশ্য অবস্থায় থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর দেখা যায়।
-
এরা সূর্যকে অনেক দূর দিয়ে পরিক্রমণ করে এবং যখন সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এদের লেজ বড় হয়ে ওঠে।
-
ধূমকেতুর কক্ষপথ অনেক দীর্ঘ হওয়ায় এটি বহু বছর পর পর দেখা যায়।
-
বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি একটি ধূমকেতুর গতি নির্ণয় করেন, যেটি "হ্যালির ধূমকেতু" নামে পরিচিত।
-
হ্যালির ধূমকেতু প্রতি ৭৬ বছর পর পর দৃশ্যমান হয়।
-
এটি প্রথম দেখা যায় ২৪০ খ্রিস্টপূর্বে এবং সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৮৬ সালে।
-
তাই আবার দেখা যাবে ১৯৮৬ + ৭৬ = ২০৬২ সালে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 4 weeks ago
আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
Created: 2 days ago
A
ধুলিকণা
B
বায়ুস্তর
C
বৃষ্টির কণা
D
অতিবেগুনি রশ্মি
সূর্যের আলো দেখতে সাদা রঙের হলেও আসলে এর ভেতরে সাতটি ভিন্ন রঙ লুকিয়ে থাকে—বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই সাদা আলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। যখন এটি কোনো প্রিজমের ভেতর দিয়ে যায়, তখন আলোটি ভেঙে সাত রঙে আলাদা হয়ে যায়।
আকাশে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছোট ছোট প্রিজমের মতো কাজ করে। সূর্যের আলো ফোঁটার এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় সাত রঙের বর্ণালী তৈরি করে। ফোঁটা থেকে বের হওয়া এই রঙিন আলো আমাদের চোখে পৌঁছায় বলেই আমরা রংধনু দেখতে পাই। অর্থাৎ বৃষ্টির ফোঁটার ভেতরের প্রতিফলন ও প্রতিসরণের কারণে আকাশে সুন্দর রংধনু গঠিত হয়।
এছাড়া আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যায়, আর যদি আপতন কোণ মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বড় হয়, তখন পুরো আলোকরশ্মিই প্রতিফলিত হয়ে ঘন মাধ্যমের ভেতরেই ফিরে আসে। এই ঘটনাকে বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 days ago
উদ্ভিদের পাতা হলদে হয়ে যায় কিসের অভাবে?
Created: 1 month ago
A
নাইট্রোজেনের
B
ফসফরাসের
C
ইউরিয়ার
D
পটাসিয়ামের
🔹 নাইট্রোজেনের অভাব
-
নাইট্রোজেন পাতায় সবুজ রঙ (ক্লোরোফিল) তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
এর ঘাটতি হলে পাতার সবুজ রঙ ফিকে হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়।
-
এই হলুদ হওয়াকে বলা হয় ক্লোরোসিস।
🔹 ফসফরাসের অভাব
-
ফসফরাসের অভাবে পাতায় বেগুনি রঙ দেখা যায়।
-
পাতায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ বা মৃত দাগ তৈরি হয়।
-
ফল, ফুল এমনকি পাতাও ঝরে পড়তে পারে।
-
গাছের বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে।
🔹 পটাশিয়ামের অভাব
-
পটাশিয়ামের অভাবে পাতার মাথা ও ধারে হলুদ ছোপ দেখা দেয়।
-
পরে সেসব জায়গায় পোড়া দাগের মতো বাদামি রঙ হয় এবং পাতা কুঁকড়ে যায়।
-
গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফুল বা ফলের কুঁড়ি শুকিয়ে যেতে পারে।
বুঝে রাখার মতো বিষয়:
-
নাইট্রোজেনের অভাবে সাধারণত পুরনো পাতা পুরোপুরি হলুদ হয়।
-
আর পটাশিয়ামের অভাবে পাতার ধারে পোড়া দাগের মতো চিহ্ন দেখা যায়, পুরো পাতা না।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সুন্দরবনে কতো প্রজাতির হরিণ দেখা যায়?
Created: 1 week ago
A
১
B
২
C
৩
D
৪
বাংলাদেশের সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপের অংশ। এর আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম লবণাক্ত জলাভূমি এবং সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি অমূল্য ইকোসিস্টেম।
এখানে রয়েছে প্রায় ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ৩৭৫ প্রজাতির প্রাণী। এর মধ্যে—
-
৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ,
-
৩১৫ প্রজাতির পাখি,
-
৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার, যা সুন্দরবনের বিশ্বখ্যাত প্রাণী।
সরীসৃপের মধ্যে পাওয়া যায়—
-
নোনা পানির কুমির,
-
অজগর,
-
গোখরা,
-
গুইসাপ,
-
সামুদ্রিক সাপ,
-
গিরগিটি,
-
কচ্ছপ প্রভৃতি।
হরিণের প্রজাতি
বাংলাদেশের সুন্দরবনে মূলত দুটি প্রজাতির হরিণ দেখা যায়—
-
চিত্রা হরিণ (সংখ্যায় বেশি),
-
মায়া হরিণ (সংখ্যায় খুব কম)।
এছাড়াও দেশে আরও তিনটি হরিণ প্রজাতি পাওয়া যায়, তবে সেগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে—
-
সাম্বার হরিণ,
-
বারোশিঙা বা সোয়াম্প হরিণ,
-
হগ হরিণ।
বিশেষ তথ্য
-
সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী গাছ।
-
১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) হিসেবে ঘোষণা করে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago