ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র কোনটি?
A
ব্যরোমিটার
B
সিসমোগ্রাফ
C
ম্যানোমিটার
D
সেক্সট্যান্ট
উত্তরের বিবরণ
ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলোর নির্দিষ্ট নাম ও কাজ রয়েছে। সঠিক যন্ত্র সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করে এবং গবেষণা, নৌচলাচল ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• সিসমোগ্রাফ হলো ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র, যা পৃথিবীর অভিকর্ষজনিত কম্পন রেকর্ড করে।
• ভূমিকম্পের তীব্রতা নির্ণয়ে ব্যবহৃত স্কেলকে বলা হয় রিক্টার স্কেল, যা কম্পনের শক্তি বা ম্যাগনিটিউড প্রদর্শন করে।
• ম্যানোমিটার গ্যাসের চাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ল্যাবরেটরি ও শিল্পকারখানায়।
• ব্যারোমিটার বায়ুমণ্ডলীয় চাপ নির্ণয় করে এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সহায়ক।
• সেক্সট্যান্ট নৌচলাচল ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে সূর্যসহ অন্যান্য গ্রহের কৌণিক উচ্চতা নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 11 hours ago
রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে সম্প্রতি কত মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 months ago
A
৭.৪
B
৮.৩
C
৮.৮
D
৯.০
ভূমিকম্প: - ৩০ জুলাই, ২০২৫ রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে, বিশেষ করে কামচাটকা উপদ্বীপ সংলগ্ন রুশ উপকূলে মেগাথ্রাস্ট ভূমিকম্প আঘাত হানে। - যার মাত্রা প্রথমে ৮.০ রিপোর্ট করা হলেও পরবর্তীতে তা ৮.৭ থেকে ৮.৮ এ উন্নীত হয়। - এটির কেন্দ্রস্থল ছিল রাশিয়ার পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহর থেকে ১৩৬ কিলোমিটার পূর্বে, প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে। - স্থানীয় ভূমিকম্পের ইতিহাসে ১৯৫২ সালের পর এই প্রথম । - এই ভূমিকম্পকে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিংশ শতাব্দীর ষষ্ঠ সর্বোচ্চ শক্তির ভূমিকম্প হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে। - স্থানীয়ভাবে বেশ কিছু নির্মাণে ক্ষতি হয়, তবে রাশিয়া কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে জানা যায়—কয়েকজন আহতের ব্যাপার আছে কিন্তু প্রাণহানি হয়নি। - এর ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয় এবং জাপান থেকে হাওয়াই ও ইকুয়েডর পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চল থেকে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, - ভূমিকম্পের পরপর উক্ত অঞ্চলের কিছু আগ্নেয়গিরি একযোগে সক্রিয় হয়। - ইউরোপ ও এশিয়ার সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ক্লাইচেভস্কয়, এবং 'ক্র্যাশেনিনিকভ' আগ্নেয়গিরিতে প্রায় ৫০০ বছর পর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে, যার ফলে ছাই প্রায় ৬ কিমি উচ্চতায় ছড়িয়ে পড়ে।
ভূমিকম্প:
- ৩০ জুলাই, ২০২৫ রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে, বিশেষ করে কামচাটকা উপদ্বীপ সংলগ্ন রুশ উপকূলে মেগাথ্রাস্ট ভূমিকম্প আঘাত হানে।
- যার মাত্রা প্রথমে ৮.০ রিপোর্ট করা হলেও পরবর্তীতে তা ৮.৭ থেকে ৮.৮ এ উন্নীত হয়।
- এটির কেন্দ্রস্থল ছিল রাশিয়ার পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহর থেকে ১৩৬ কিলোমিটার পূর্বে, প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে।
- স্থানীয় ভূমিকম্পের ইতিহাসে ১৯৫২ সালের পর এই প্রথম ।
- এই ভূমিকম্পকে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিংশ শতাব্দীর ষষ্ঠ সর্বোচ্চ শক্তির ভূমিকম্প হিসেবে স্থান দেয়া হয়েছে।
- স্থানীয়ভাবে বেশ কিছু নির্মাণে ক্ষতি হয়, তবে রাশিয়া কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে জানা যায়—কয়েকজন আহতের ব্যাপার আছে কিন্তু প্রাণহানি হয়নি।
- এর ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয় এবং জাপান থেকে হাওয়াই ও ইকুয়েডর পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চল থেকে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য,
- ভূমিকম্পের পরপর উক্ত অঞ্চলের কিছু আগ্নেয়গিরি একযোগে সক্রিয় হয়।
- ইউরোপ ও এশিয়ার সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ক্লাইচেভস্কয়, এবং 'ক্র্যাশেনিনিকভ' আগ্নেয়গিরিতে প্রায় ৫০০ বছর পর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে, যার ফলে ছাই প্রায় ৬ কিমি উচ্চতায় ছড়িয়ে পড়ে।
0
Updated: 2 months ago
কোন প্রকার সতর্কতা ছাড়াই কোন ধরনের দুর্যোগ সংঘটিত হয়?
Created: 1 month ago
A
খরা
B
ভূমিকম্প
C
সুনামি
D
বন্যা
ভূমিকম্প হলো ভূ-পৃষ্ঠে আকস্মিকভাবে সৃষ্ট কম্পন, যা মূলত পৃথিবীর স্তরের বিভিন্ন প্লেটের গতিশীলতার কারণে ঘটে। পৃথিবীর ভূ-ত্বক প্রধানত সাতটি বৃহৎ এবং কিছু ছোট প্লেট দ্বারা গঠিত, যা একে অপরের দিকে ধাক্কা খায়, বিপরীতে সরতে থাকে বা সমান্তরালভাবে সঞ্চালিত হয়। এই সঞ্চালনের ফলে জমে থাকা চাপ হঠাৎভাবে মুক্তি পেলে ভূমিকম্পের কম্পন সৃষ্টি হয়, যা সাধারণত কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সংঘটিত হয়।
• পৃথিবীর ভূ-ত্বক সাতটি বৃহৎ এবং কিছু ছোট প্লেট দ্বারা গঠিত।
• প্লেটসমূহ একে অপরের দিকে ধাক্কা, বিপরীত দিকে সরে যাওয়া বা সমান্তরালভাবে সঞ্চালিত হয়।
• এই সঞ্চালনের ফলে জমে থাকা চাপ হঠাৎ মুক্ত হলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
• ভূমিকম্প সাধারণত কোনো সতর্কতা ছাড়া ঘটে।
ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূ-গাঠনিক কারণে বাংলাদেশও ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ১৯৯৩ সালে দেশকে তিনটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে ভাগ করা হয়:
-
মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল: দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল অন্তর্ভুক্ত।
-
মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল: দেশের মধ্যাঞ্চল অন্তর্ভুক্ত।
-
কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অন্তর্ভুক্ত।
0
Updated: 1 month ago
একটি বড় মাপের ভূমিকম্পের পর কি ঘটার আশঙ্কা থাকে?
Created: 1 week ago
A
বন্যা
B
অগ্ন্যতপাত
C
সুনামি
D
জলোচ্ছ্বাস
যখন ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সমুদ্রের তলদেশে ঘটে, তখন সাগরের পানির নিচের অংশে তীব্র কম্পন সৃষ্টি হয়, যা পানির স্তরে শক্তির সঞ্চার ঘটিয়ে বিশাল ঢেউ তৈরি করে। এই ঢেউগুলোই সুনামী (Tsunami) নামে পরিচিত, যা উপকূলে আঘাত হানলে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে।
-
সুনামী শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে, যার অর্থ ‘বন্দর তরঙ্গ’ (Harbor Wave)।
-
এটি সাধারণত সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত বা ভূমিধসের ফলে সৃষ্টি হয়।
-
ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা Epicenter যদি সমুদ্রের নিচে হয়, তবে পানি উপরে নিচে সরে গিয়ে একাধিক বৃহৎ তরঙ্গ তৈরি করে।
-
এই তরঙ্গগুলো সমুদ্রের গভীরে খুব দ্রুত (প্রতি ঘণ্টায় ৭০০–৮০০ কিমি পর্যন্ত) গতি সম্পন্ন হলেও তীরে এসে উচ্চতায় বৃদ্ধি পায় এবং তীব্র শক্তিতে উপকূল আঘাত করে।
-
ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য সুনামির মধ্যে রয়েছে ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরীয় সুনামী, যা ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটায়।
-
সুনামি সাধারণত প্রাকৃতিক সতর্ক সংকেত ছাড়াই হঠাৎ আঘাত হানে, তাই আধুনিক যুগে এর জন্য Tsunami Warning System স্থাপন করা হয়েছে।
-
ভূমিকম্পজনিত এই ঢেউ প্রকৃতির এক ভয়াবহ রূপ, যা মানুষের জীবন ও উপকূলীয় পরিবেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
0
Updated: 1 week ago