বাংলাদেশের প্রথম মহিলা উপাচার্যের নাম কী?
A
ড. ফারজানা ইসলাম
B
ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী
C
রাশেদা কে চৌধুরী
D
খালেদা একরাম
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে নারীর নেতৃত্বের উপস্থিতি তুলনামূলক দেরিতে শুরু হলেও ড. ফারজানা ইসলামের নিয়োগ সেই ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তার দায়িত্বগ্রহণ নারীর দক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
• বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থায় প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ড. ফারজানা ইসলাম।
• তিনি ২০১৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যা দেশের শিক্ষাঙ্গনে নারী নেতৃত্বের পথ উন্মুক্ত করে।
• তার আগে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী উপাচার্য নিযুক্ত হয়নি, যা এই নিয়োগকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে।
• ড. ফারজানা ইসলাম মূলত নৃবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনা করতেন এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই পদে নিয়োগ পান।
0
Updated: 11 hours ago
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম আরব দেশ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সৌদি আরব
B
ইরান
C
ইরাক
D
মিশর
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জনের পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতার পরপরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একে একে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করে। প্রথমদিকে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলোর অনেকেই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কারণে কিছুটা সময় নেয়। তবে আরব বিশ্বের মধ্যে ইরাকই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে, যা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ইরাকের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে এক নতুন দিক উন্মোচন করে এবং অন্যান্য আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে পরবর্তীতে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য অনুপ্রাণিত করে। নিচে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো—
• স্বীকৃতির সময়কাল: ইরাক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ৮ জুলাই। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রায় সাত মাসের ব্যবধানে ঘটে।
• প্রেক্ষাপট: সে সময় মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্পর্কের কারণে দ্বিধায় ছিল। তবে ইরাক তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে মেনে নেয়, যা ছিল একটি সাহসী কূটনৈতিক পদক্ষেপ।
• ইরাকের অবস্থান: ইরাক তৎকালীন সময়ে আরব বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ছিল। তাদের স্বীকৃতি আরব লীগ এবং মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
• বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা: স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বৈধতা ও মানবিক দিক তুলে ধরে।
• আরব দেশগুলোর মনোভাব পরিবর্তন: ইরাকের পর ধীরে ধীরে সিরিয়া, মিশর, লিবিয়া এবং আলজেরিয়ার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করে। এতে করে বাংলাদেশ ইসলামিক বিশ্বে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়।
• রাজনৈতিক তাৎপর্য: ইরাকের স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, ধর্মীয় সম্পর্ক বা রাজনৈতিক জোটের ঊর্ধ্বে উঠে একটি জাতির স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
• বাংলাদেশ-ইরাক সম্পর্ক: এই স্বীকৃতির পর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও ইরাকের মধ্যে কূটনৈতিক মিশন স্থাপন এবং বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
• জাতিসংঘে প্রভাব: আরব বিশ্বের স্বীকৃতি বাংলাদেশকে জাতিসংঘে সদস্যপদ লাভে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ইরাকের মতো দেশগুলোর সমর্থন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
• ধর্মীয় ও মানবিক সংহতি: ইরাকের স্বীকৃতি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
সারসংক্ষেপ:
ইরাক বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া আরব দেশ হিসেবে ইতিহাসে বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ন্যায্যতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সূচনা করে।
0
Updated: 1 week ago
Which is the most important resource of Bangladesh?
Created: 2 months ago
A
Limestone
B
White Clay
C
Hard rock
D
Natural Gas
প্রাকৃতিক গ্যাস
বাংলাদেশের খনিজ সম্পদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। এটি এক উৎকৃষ্ট জ্বালানি, পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পে—বিশেষ করে সার কারখানায়—কাঁচামাল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুর এলাকায় বার্মা ওয়েল কোম্পানি প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে এবং ১৯৫৭ সাল থেকে দেশে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। উল্লেখযোগ্য গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিবিয়ানা, তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ, রশিদপুর ইত্যাদি। এর মধ্যে ভোলার ইলিশা-১ কূপ হলো সর্বশেষ (২৯তম) আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র।
প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য খনিজ সম্পদের মধ্যে কয়লা, চুনাপাথর, কঠিন শিলা, গন্ধক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
উৎস: এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং পেট্রোবাংলা।
0
Updated: 2 months ago
শালবন বিহার কোন রাজবংশের কীর্তি?
Created: 1 week ago
A
দেব
B
রাঢ়
C
পাল
D
চন্দ্র
শালবন বিহার বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা বর্তমান কুমিল্লা জেলার ময়নামতিতে অবস্থিত। এটি দেব রাজবংশের কীর্তি, যারা অষ্টম শতাব্দীতে এই অঞ্চল শাসন করতেন।
-
ধারণা করা হয়, রাজা ভবদেব অষ্টম শতাব্দীতে এই বিহার নির্মাণ করেন, যা তৎকালীন সময়ের বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল।
-
বিহারটি একটি বিশাল আয়তনের আয়তাকার স্থাপনা, যার চারপাশে সন্ন্যাসীদের জন্য কক্ষ এবং কেন্দ্রে একটি মন্দির রয়েছে।
-
প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এখানে বহু বুদ্ধমূর্তি, পোড়ামাটির ফলক ও তাম্রলিপি আবিষ্কৃত হয়েছে।
-
শালবন বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত।
0
Updated: 1 week ago