‘গারো’ ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সমাজে পরিবারের প্রধান কে?
A
বাবা
B
মা
C
প্রবীণ ব্যক্তি
D
বড় ভাই
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক কাঠামো জীবনযাপন, সংস্কৃতি ও পারিবারিক উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে ভিন্ন হয়ে থাকে। বিশেষ করে মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীর ভূমিকা পরিবার এবং সামাজিক সিদ্ধান্তে অধিক প্রাধান্য পায়।
• গারো, খাসিয়া এবং কোচ জাতিগোষ্ঠীর সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক, যেখানে পরিবারপ্রধান হিসেবে মা দায়িত্ব পালন করেন।
• এসব সমাজে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নারীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়, এবং কন্যারা বংশপরম্পরার ধারক হিসেবে বিবেচিত।
• বিবাহের পর স্বামী সাধারণত স্ত্রীর বাড়িতে বসবাস করেন, যা মাতৃতান্ত্রিক কাঠামোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
• বাংলাদেশের অন্যান্য অধিকাংশ উপজাতি যেমন চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, ত্রিপুরা ও রাখাইন সমাজব্যবস্থায় পিতৃতান্ত্রিক কাঠামো অনুসৃত হয়, যেখানে পুরুষ পরিবারপ্রধান।
0
Updated: 11 hours ago
গারো নৃগোষ্ঠী কোন জেলায় বসবাস করে?
Created: 2 months ago
A
ময়মনসিংহ
B
টাঙ্গাইল
C
সিলেট
D
বর্ণিত সবগুলো
গারো সম্প্রদায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যারা ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র।
-
গারোরা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ছাড়াও টাঙ্গাইল, সিলেট, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঢাকা এবং গাজীপুর জেলায় বাস করে।
-
তাদের ভাষা বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারো নিজেকে মান্দি বলে পরিচয় দেয়।
-
গারোদের ভাষায় 'মান্দি' শব্দের অর্থ 'মানুষ'।
-
গারো সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত।
-
তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের নাম 'ওয়ানগালা'।
0
Updated: 2 months ago
ওয়াংগালা কাদের উৎসব?
Created: 2 weeks ago
A
কুকিদের
B
গারোদের
C
চাকমাদের
D
মারমাদের
গারোদের উৎসবের নাম ওয়াংগালা। চাকমাদের উৎসবের নাম বিঝু, মারমাদের উৎসবের নাম সাংগ্রাই।
0
Updated: 2 weeks ago
গারো পাহাড় কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
নেত্রকোনা
B
টাঙ্গাইল
C
কিশোরগঞ্জ
D
ময়মনসিংহ
• গারো পাহাড় – :
- ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার অন্তর্গত গারো পাহাড় বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর অঞ্চল।
- এখানে অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড় রয়েছে, যেগুলোর উচ্চতা আনুমানিক ৫০ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত।
- পাহাড়ের ঘন সবুজ বন, শান্ত পরিবেশ এবং মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
- গারো পাহাড় ঘন বন-জঙ্গলে আচ্ছাদিত এবং এখানে একটি বিস্তৃত সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে, যার আয়তন প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার।
- এই সংরক্ষিত বনভূমিতে প্রচুর পরিমাণে মূল্যবান শালগাছ জন্মে।
- এছাড়াও অসংরক্ষিত বনও রয়েছে, যেগুলোতেও প্রচুর সেগুন, শাল, বাঁশ, বেতসহ নানা জাতের বৃক্ষ দেখা যায়।
- এখানে নানা প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ, বন্য হাতি, ময়না এবং ধনেশ পাখির দেখা মেলে। এ
- ছাড়াও এই পাহাড়ি অঞ্চলে বেশ কিছু নদ-নদী প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে ভোগাই, নিতাই এবং সোমেশ্বরী নদী উল্লেখযোগ্য।
- গারো পাহাড় শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার নয়, এটি একটি জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এলাকা, যা দেশের পরিবেশ ও পর্যটনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
0
Updated: 2 months ago