ডেঙ্গু জ্বরের বাহক কোন মশা?
A
কিউলেক্স
B
এডিস
C
অ্যানোফিলিস
D
সব ধরনের মশা
উত্তরের বিবরণ
ডেঙ্গু জ্বর
-
ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।
-
মূলত দুই ধরনের এডিস মশা ডেঙ্গু ছড়ায়:
-
Aedes aegypti (এডিস এজিপটাই)
-
Aedes albopictus (এডিস এলবোপিকটাস)
-
-
এই মশার কামড়ের পর ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা যায়।
-
ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ হলো:
-
জ্বর
-
মাথাব্যথা
-
বমি
-
পেশি ও গাঁটে ব্যথা
-
ত্বকে ফুসকুড়ি
-
-
সাধারণত ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রোগী সেরে ওঠে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে
-
ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর:
-
এতে রক্তপাত হয়
-
রক্তের অনুচক্রিকা (platelet) কমে যায়
-
রক্ত থেকে প্লাজমা বের হতে থাকে
-
-
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম:
-
এতে রক্তচাপ অনেক কমে যায়
-
রোগী খুব বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে
-
অন্যদিকে
-
ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায় অ্যানোফিলিস (Anopheles) মশার মাধ্যমে।
-
ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ ছড়ায় কিউলেক্স (Culex) মশার মাধ্যমে।
উৎস: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) এবং WHO ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
Created: 1 month ago
A
ধুলিকণা
B
বায়ুস্তর
C
বৃষ্টির কণা
D
অতিবেগুনি রশ্মি
সূর্যের আলো দেখতে সাদা রঙের হলেও আসলে এর ভেতরে সাতটি ভিন্ন রঙ লুকিয়ে থাকে—বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই সাদা আলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। যখন এটি কোনো প্রিজমের ভেতর দিয়ে যায়, তখন আলোটি ভেঙে সাত রঙে আলাদা হয়ে যায়।
আকাশে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছোট ছোট প্রিজমের মতো কাজ করে। সূর্যের আলো ফোঁটার এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় সাত রঙের বর্ণালী তৈরি করে। ফোঁটা থেকে বের হওয়া এই রঙিন আলো আমাদের চোখে পৌঁছায় বলেই আমরা রংধনু দেখতে পাই। অর্থাৎ বৃষ্টির ফোঁটার ভেতরের প্রতিফলন ও প্রতিসরণের কারণে আকাশে সুন্দর রংধনু গঠিত হয়।
এছাড়া আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যায়, আর যদি আপতন কোণ মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বড় হয়, তখন পুরো আলোকরশ্মিই প্রতিফলিত হয়ে ঘন মাধ্যমের ভেতরেই ফিরে আসে। এই ঘটনাকে বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
পারমাণবিক চুল্লীতে তাপ পরিবাহক হিসেবে কোন ধাতু ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 months ago
A
সোডিয়াম
B
পটাসিয়াম
C
ম্যাগনেসিয়াম
D
জিংক
পারমাণবিক চুল্লি:
- নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর (Nuclear Reactor) বা পারমাণবিক চুল্লি মূলত এক প্রকার তাপীয় যন্ত্র।
- পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
- পারমাণবিক চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম-২৩৫)-এর শৃঙ্খল বিক্রিয়া (chain reaction) ঘটিয়ে অত্যধিক তাপ শক্তি উৎপাদন করা হয়।
- মূলত ইউরেনিয়াম-২৩৫ (U-235) কে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে নিউক্লিয়ার বিভাজনের (Nuclear Fission) মাধ্যমে পারমাণবিক চুল্লির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়।
- পারমাণবিক চুল্লি বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য,
- পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ পরিবাহকরূপে হিসাবে সোডিয়াম ধাতু ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে,
- জ্বালানি হিসাবে ইউরেনিয়াম ও মডারেটর হিসাবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
- হাইড্রোজেন পরমাণু খুবই হালকা হওয়ায় মডারেটর হিসেবে রিয়্যাক্টরে হাইড্রোজেন পরমাণুকেই বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মডারেটর হিসেবে পরিষ্কার গ্রাফাইট, সাধারণ হালকা পানি, ভারী পানি ইত্যাদিও ব্যবহার করা হয়।
উৎস: রসায়ন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং IAEA ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
চা পাতায় কোন ভিটামিন থাকে?
Created: 2 months ago
A
ভিটামিন-ই
B
ভিটামিন-কে
C
ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স
D
ভিটামিন-এ
- চা পাতা, বৃষ্টির পানিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে।
- শাকসবজি, তৈলবীজ এবং হাঙ্গর মাছের যকৃতের তেলে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়।
- সবুজ শাকসবজি, দুগ্ধজাত দ্রব্য ভিটামিন-কে এর প্রধান উৎস।
- মাছের তেল, দুধ, মলা মাছ, মাছের মাথা এবং গাজরে সর্বাধিক ভিটামিন-এ রয়েছে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago