ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে যে তথ্যটি সত্য নয় তা হলো-
A
এ রোগ মানবদেহের কিডনী নষ্ট করে।
B
চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে এ রোগ হয়।
C
এ রোগ হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
D
ইনসুলিনের অভাবে এ রোগ হয়।
উত্তরের বিবরণ
ডায়াবেটিস (বহুমূত্র রোগ)
ডায়াবেটিস একটি বিপাকজনিত রোগ, যা সাধারণত ইনসুলিন হরমোনের অভাবে হয়। ইনসুলিন অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াসের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স থেকে নিঃসৃত হয়। এই হরমোনের কাজ হলো রক্তে গ্লুকোজের (চিনির) পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা।
যদি শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন না তৈরি করে, অথবা তৈরি হওয়া ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে রক্তে গ্লুকোজ জমে যায়। এর ফলে ডায়াবেটিস হয়।
চিনি খাওয়া সরাসরি ডায়াবেটিসের কারণ নয়, তবে ডায়াবেটিস হলে চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
ডায়াবেটিসের কারণে হৃদপিণ্ড, কিডনি, চোখসহ শরীরের নানা অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়। এই রোগে ইনসুলিন ইনজেকশন বা ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
গ্রীনিচ মানমন্দির অবস্থিত-
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্রে
C
ফ্রান্সে
D
জার্মানিতে
গ্রীনিচ মানমন্দির
-
গ্রীনিচ মানমন্দির যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত।
-
পৃথিবীর মূল মধ্যরেখা (Prime Meridian বা ০° দ্রাঘিমারেখা) এই মানমন্দিরের উপর দিয়ে গেছে।
-
১৮৮৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে গ্রিনিচ মান সময় (GMT) বিশ্বে মান সময় হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
পরে ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক মান সময় হিসেবে UTC (Coordinated Universal Time) ব্যবহার শুরু হয়।
-
এখনো গ্রীনিচ মানমন্দির অফিসিয়াল টাইম জোন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ ও গ্রীনিচ সময়ের পার্থক্য
-
যুক্তরাজ্যের গ্রীনিচ সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের সময় সবসময় ৬ ঘণ্টা এগিয়ে।
-
কারণ পৃথিবীতে প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময় পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
-
বাংলাদেশ গ্রীনিচের পূর্ব দিকে ৯০° দ্রাঘিমায় অবস্থান করায় সময়ের পার্থক্য = ৯০ × ৪ = ৩৬০ মিনিট = ৬ ঘণ্টা।
উৎসঃ ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি রক্তরসের জৈব পদার্থ?
Created: 1 month ago
A
ক্যালসিয়াম
B
লেসিথিন
C
আয়োডিন
D
সোডিয়াম
রক্তরস বা প্লাজমা
-
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।
-
রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, আর বাকি ১০% জৈব ও অজৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
অজৈব পদার্থ
-
বিভিন্ন খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন।
-
গ্যাসীয় পদার্থ যেমন: O₂, CO₂, N₂।
জৈব পদার্থ
১. খাদ্যসার → গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন।
২. রেচন পদার্থ → ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন।
৩. প্রোটিন → ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, অ্যালবুমিন, প্রোথ্রম্বিন।
৪. প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ → অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন।
৫. হরমোন → অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
৬. অন্যান্য যৌগ → কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন ইত্যাদি।
রক্তরসের কাজ
-
খাদ্যসারকে রক্তকোষসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহণ করা।
-
টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে বৃক্কে পৌঁছে দেওয়া।
-
শ্বসনকালে কোষ থেকে উৎপন্ন CO₂ কে বাইকার্বনেট আকারে ফুসফুসে বহন করা।
-
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহণ করা।
-
হরমোন, এনজাইম, লিপিড ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া।
-
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা।
উৎস: বিজ্ঞান (নবম–দশম শ্রেণি)

0
Updated: 1 month ago
বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বজ্রপাত ঘটে?
Created: 1 month ago
A
ট্রপোমণ্ডল (Troposphere)
B
স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
C
মেসোমণ্ডল (Mesosphere)
D
তাপমণ্ডল (Troposphere)
ট্রপোস্ফিয়ার এবং এর বৈশিষ্ট্য
বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার বলা হয়। এখানে তাপীয় মিশ্রণ মুক্তভাবে ঘটে এবং দৈনন্দিন আবহাওয়ার সব ধরনের পরিবর্তন যেমন ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতও ঘটে।
-
শব্দের উৎস: ট্রপোস্ফিয়ার নামটি গ্রিক শব্দ “ট্রপো (Tropo)” থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো “পরিবর্তন”।
-
গঠন: এই স্তরে প্রায় ৭৮% নাইট্রোজেন, ২১% অক্সিজেন এবং ১% আর্গন, জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে।
-
উর্ধ্বসীমা: ট্রপোস্ফিয়ারের উপরের সীমাকে ট্রপোপজ বলা হয়। এই স্তরে বায়ুর উষ্ণতা প্রায় একরকম থাকে, তাই এটিকে সমতাপ অঞ্চলও বলা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago