সমাজকর্ম পদ্ধতি কয়টি?
A
১টি
B
২টি
C
৩টি
D
৪টি
উত্তরের বিবরণ
সমাজকর্মে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। মূলত সমাজকর্মীরা দুই ধরনের প্রধান পদ্ধতি অনুসরণ করেন, যা ব্যক্তির সমস্যা থেকে শুরু করে বৃহত্তর সামাজিক সমস্যার সমাধান পর্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই দুটি পদ্ধতি সমাজকর্মের মৌলিক কাঠামো নির্ধারণ করে এবং প্রতিটি ধাপ সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
– কেসওয়ার্ক ও গ্রুপওয়ার্ক হলো সমাজকর্মের দুই প্রধান পদ্ধতি, যেগুলো ব্যক্তিগত ও দলীয় সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়।
– কেসওয়ার্ক ব্যক্তির ব্যক্তিগত সমস্যা, পারিবারিক সংকট, আচরণগত চ্যালেঞ্জ বা সামাজিক অসুবিধার ক্ষেত্রে সরাসরি কাজ করে।
– এই পদ্ধতিতে ব্যক্তিকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ, কাউন্সেলিং, মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনভিত্তিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
– গ্রুপওয়ার্ক ছোট বা মাঝারি আকারের দল নিয়ে কাজ করে এবং দলীয় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
– গ্রুপের সদস্যরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া, মতামত বিনিময়, সহযোগিতার মনোভাব তৈরি এবং সামাজিক আচরণ শেখার সুযোগ পান।
– এই দুই পদ্ধতি একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে এবং সমাজকর্মের কার্যক্রমকে সুসংহত ও কার্যকর করে তোলে।
0
Updated: 16 hours ago
কোন আইনটি সামাজিক নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
Created: 1 month ago
A
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
B
পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫
C
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন ১৯২৩
D
যোগাযোগ আইন ২০০৬
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ হল একটি আইন যা ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতে প্রণীত হয়েছিল এবং বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংশোধিত আকারে কার্যকর রয়েছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা পেশাগত রোগে আহত বা মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের উপর নির্ভরশীলদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। আইনটি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
-
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ সরাসরি সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ এটি শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।
-
অন্যান্য আইন যেমন জনশৃঙ্খলা বা সুরক্ষামূলক আইন সামাজিক নিরাপত্তার মূলধারার বাইরে পড়ে, যা মূলত জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে।
0
Updated: 1 month ago
সমাজকর্ম পেশার ধর্ম হলো-
Created: 1 month ago
A
সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা
B
দাতব্য পেশা
C
পরনির্ভরশীল পেশা
D
যৌগিক পেশা
সমাজকর্ম পেশার মূল ভিত্তি হলো মানবসেবা, যার মাধ্যমে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা হয়। এই পেশার উদ্দেশ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং মানুষকে নিজেদের সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলা। সমাজকর্ম এমন একটি সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা, যা মানবমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমান সুযোগের নীতিতে বিশ্বাস করে।
সমাজকর্মের প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো—
-
ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যার কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা।
-
দুর্বল, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুযোগ সুরক্ষা করা।
-
ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে স্বনির্ভর করে তোলা এবং সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।
-
সমাজে সামগ্রিক কল্যাণ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করা।
অতএব, সমাজকর্ম পেশা মানবকল্যাণমুখী এক সেবা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন সাধিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি সামাজিক গবেষনার পদ্ধতি নয়?
Created: 1 month ago
A
সাক্ষাৎকার পদ্ধতি
B
সামাজিক জরিপ পদ্ধতি
C
পরীক্ষা মূলক পদ্ধতি
D
ঐতিহাসিক পদ্ধতি
সামাজিক গবেষণার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে সমাজ, মানুষ ও সামাজিক ঘটনার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা হয়। প্রধান পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা, জরিপ, কেস স্টাডি, নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, পরীক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো:
১) তুলনামূলক পদ্ধতি: দুটি বা ততোধিক সমাজ বা সম্প্রদায়ের মধ্যে তুলনা করে তাদের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ধারণ করা হয়। এটি সমাজের কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিশ্লেষণে সহায়ক।
২) জরিপ পদ্ধতি: এটি সবচেয়ে প্রচলিত গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত প্রশ্নপত্র বা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পরিসংখ্যানভিত্তিক তথ্য সংগৃহীত হয়।
৩) কেস স্টাডি (Case Study): কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান বা ঘটনার গভীর ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে বিষয়টির প্রকৃতি ও প্রভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
৪) নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: গবেষক সরাসরি সমাজে মিশে গিয়ে মানুষের আচরণ, সংস্কৃতি ও জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করেন। এটি সমাজের অন্তর্নিহিত সংস্কৃতি ও সম্পর্কের ধরন বোঝার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
৫) গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা:
-
গুণগত গবেষণা: মানুষের আচরণ, মনোভাব, অভিজ্ঞতা ও সামাজিক ঘটনার গভীরতা বিশ্লেষণ করে।
-
পরিমাণগত গবেষণা: পরিসংখ্যান, সংখ্যা ও পরিমাপযোগ্য তথ্যের মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কিত ধারণা তৈরি করে।
৬) পরীক্ষণ পদ্ধতি বা পরীক্ষামূলক পদ্ধতি: নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোনো ঘটনার কারণ ও ফলাফল নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
৭) ঐতিহাসিক পদ্ধতি: অতীতের ঘটনা, দলিল ও ঐতিহাসিক নথি বিশ্লেষণ করে বর্তমান সমাজের বিকাশ ও কাঠামো বোঝা হয়।
উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকার পদ্ধতি সামাজিক গবেষণার মূল পদ্ধতি নয়; এটি কেবল একটি তথ্য সংগ্রহের উপায় (Data Collection Method) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং উত্তর হবে অপশন "a"।
0
Updated: 1 month ago