বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ -
A
কম হয়
B
খুব কম হয়
C
একই হয়
D
বেশি হয়
উত্তরের বিবরণ
বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর জন্য আমরা যে রেগুলেটর ব্যবহার করি, তা দুই ধরনের হতে পারে—ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ও ইলেকট্রনিক রেগুলেটর।
১. ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর
-
এটি সাধারণত একটি রোধ বা ইন্ডাকটর দিয়ে তৈরি।
-
পাখার গতি কমানোর জন্য এতে বিদ্যুৎ রোধ করে দেওয়া হয়।
-
ফলে ফ্যান ধীরে ঘুরলেও বিদ্যুৎ খরচ একই থাকে, কারণ রেগুলেটরের মধ্যে বিদ্যুৎ শক্তি তাপ হয়ে অপচয় হয়।
-
অর্থাৎ, স্পিড কমলেও বিদ্যুৎ কম লাগে না।
২. ইলেকট্রনিক রেগুলেটর
-
এটি থাইরিস্টর নামক আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।
-
এতে রোধ কম হয় এবং তাপও কম উৎপন্ন হয়।
-
তাই ফ্যানের গতি কমালে বিদ্যুৎও কম খরচ হয়, আর গতি বাড়ালে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে।
উপসংহার:
-
ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর দিয়ে ফ্যান আস্তে ঘুরলেও বিদ্যুৎ খরচ হয় আগের মতোই।
-
কিন্তু ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যান ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ কম খরচ হয়।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
কোনটির জন্য পুষ্প রঙ্গিন ও সুন্দর হয়?
Created: 1 month ago
A
ক্রোমোপ্লাস্ট
B
ক্লোরোপ্লাস্ট
C
ক্রোমাটোপ্লাস্ট
D
লিউকোপ্লাস্ট
প্লাস্টিড
-
প্লাস্টিড হলো উদ্ভিদ কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু।
-
এর প্রধান কাজ হলো: খাদ্য তৈরি করা, খাদ্য সঞ্চয় করা এবং উদ্ভিদকে রঙিন ও আকর্ষণীয় করে তোলা, যা পরাগায়নে সাহায্য করে।
-
প্লাস্টিড মূলত তিন ধরনের: ক্লোরোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট, এবং লিউকোপ্লাস্ট।
ক্রোমোপ্লাস্ট
-
ক্রোমোপ্লাস্ট হলো রঙিন প্লাস্টিড, তবে সবুজ নয়।
-
এদের মধ্যে থাকে বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ যেমন: জ্যান্থফিল, ক্যারোটিন, ফাইকোএরিথ্রিন, ফাইকোসায়ানিন।
-
রঞ্জকের কারণে উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ হলুদ, লাল বা নীল দেখায়।
-
ক্রোমোপ্লাস্টের এই রঙিন বৈশিষ্ট্যের ফলে ফুল, পাতা ও অন্যান্য অংশ আকর্ষণীয় হয়।
-
উদাহরণ: রঙিন ফুল, পাতা এবং গাজরের মূলে ক্রোমোপ্লাস্ট থাকে।
-
প্রধান কাজ: ফুলকে রঙিন ও সুন্দর করে পরাগায়নে সাহায্য করা।
-
এরা বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে সঞ্চয় করে রাখে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
পারমাণবিক চুল্লীতে তাপ পরিবাহক হিসেবে কোন ধাতু ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 months ago
A
সোডিয়াম
B
পটাসিয়াম
C
ম্যাগনেসিয়াম
D
জিংক
পারমাণবিক চুল্লি:
- নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর (Nuclear Reactor) বা পারমাণবিক চুল্লি মূলত এক প্রকার তাপীয় যন্ত্র।
- পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
- পারমাণবিক চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম-২৩৫)-এর শৃঙ্খল বিক্রিয়া (chain reaction) ঘটিয়ে অত্যধিক তাপ শক্তি উৎপাদন করা হয়।
- মূলত ইউরেনিয়াম-২৩৫ (U-235) কে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে নিউক্লিয়ার বিভাজনের (Nuclear Fission) মাধ্যমে পারমাণবিক চুল্লির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়।
- পারমাণবিক চুল্লি বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য,
- পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ পরিবাহকরূপে হিসাবে সোডিয়াম ধাতু ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে,
- জ্বালানি হিসাবে ইউরেনিয়াম ও মডারেটর হিসাবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
- হাইড্রোজেন পরমাণু খুবই হালকা হওয়ায় মডারেটর হিসেবে রিয়্যাক্টরে হাইড্রোজেন পরমাণুকেই বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মডারেটর হিসেবে পরিষ্কার গ্রাফাইট, সাধারণ হালকা পানি, ভারী পানি ইত্যাদিও ব্যবহার করা হয়।
উৎস: রসায়ন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং IAEA ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
মোবাইল টেলিফোনের লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়-
Created: 1 month ago
A
শব্দশক্তি
B
তড়িৎশক্তি
C
আলোকশক্তি
D
চৌম্বকশক্তি
মোবাইল টেলিফোনে তড়িৎশক্তি প্রবাহ
আমরা যখন মোবাইল ফোনে কথা বলি, তখন আসলে শব্দ সরাসরি প্রেরণ হয় না। বরং শব্দকে বারবার বিদ্যুৎ সিগন্যাল ও রেডিও তরঙ্গে রূপান্তর করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে এভাবে ঘটে—
শব্দ থেকে বিদ্যুৎ সিগন্যাল
-
আপনার কণ্ঠস্বর মোবাইলের মাইক্রোফোনে পড়ে।
-
মাইক্রোফোন শব্দ তরঙ্গকে প্রথমে অ্যানালগ বিদ্যুৎ সিগন্যালে রূপান্তর করে।
অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল
-
ফোনের ভেতরে থাকা ADC (Analog-to-Digital Converter) অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে (০ আর ১ এর কোড) পরিবর্তন করে।
সিগন্যাল প্রসেসিং
-
এই ডিজিটাল সিগন্যালকে হালকা ও নিরাপদ করার জন্য নানা কাজ করা হয়—
-
কম্প্রেশন (ডেটার সাইজ ছোট করা),
-
এনক্রিপশন (তথ্য সুরক্ষা),
-
মান উন্নত করা (নয়েজ কমানো)।
-
৪. রেডিও তরঙ্গে রূপান্তর
-
প্রক্রিয়াকৃত ডিজিটাল সিগন্যাল মোবাইলের ট্রান্সমিটার রেডিও তরঙ্গে (Electromagnetic Wave) পরিণত করে।
-
এই তরঙ্গ নিকটবর্তী মোবাইল টাওয়ারে পৌঁছায়।
নেটওয়ার্কে প্রবাহ
-
টাওয়ার রেডিও তরঙ্গ গ্রহণ করে আবার বিদ্যুৎ সিগন্যালে রূপান্তরিত করে।
-
এরপর এই সিগন্যাল ফাইবার অপটিক কেবল, কপার কেবল বা মাইক্রোওয়েভ লিংক এর মাধ্যমে টেলিকম নেটওয়ার্কে প্রবাহিত হয়।
-
নেটওয়ার্কের মধ্যে MSC (Mobile Switching Center) সিগন্যালের রাউটিং ও প্রসেসিং করে।
প্রাপকের কাছে পৌঁছানো
-
প্রাপকের কাছাকাছি টাওয়ার আবার রেডিও তরঙ্গ আকারে সিগন্যাল পাঠায়।
-
প্রাপকের মোবাইল রেডিও তরঙ্গ গ্রহণ করে সেটিকে বিদ্যুৎ সিগন্যালে রূপান্তরিত করে।
-
এরপর DAC (Digital-to-Analog Converter) সিগন্যালকে অ্যানালগে ফেরত দেয়।
-
মোবাইলের স্পিকার এই অ্যানালগ সিগন্যালকে আবার শব্দে রূপান্তরিত করে।
রূপান্তর চক্র
শব্দ → তড়িৎ → ডিজিটাল → রেডিও তরঙ্গ → তড়িৎ → রেডিও তরঙ্গ → তড়িৎ → শব্দ
অতএব, যদিও ওয়্যারলেসে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নেটওয়ার্কের ভেতরে বিদ্যুৎ সিগন্যালই মূল বাহক হিসেবে কাজ করে।
উৎসঃ Khan Academy – How cell phones work.

0
Updated: 1 month ago