A
কম হয়
B
খুব কম হয়
C
একই হয়
D
বেশি হয়
উত্তরের বিবরণ
বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর জন্য আমরা যে রেগুলেটর ব্যবহার করি, তা দুই ধরনের হতে পারে—ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ও ইলেকট্রনিক রেগুলেটর।
১. ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর
-
এটি সাধারণত একটি রোধ বা ইন্ডাকটর দিয়ে তৈরি।
-
পাখার গতি কমানোর জন্য এতে বিদ্যুৎ রোধ করে দেওয়া হয়।
-
ফলে ফ্যান ধীরে ঘুরলেও বিদ্যুৎ খরচ একই থাকে, কারণ রেগুলেটরের মধ্যে বিদ্যুৎ শক্তি তাপ হয়ে অপচয় হয়।
-
অর্থাৎ, স্পিড কমলেও বিদ্যুৎ কম লাগে না।
২. ইলেকট্রনিক রেগুলেটর
-
এটি থাইরিস্টর নামক আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।
-
এতে রোধ কম হয় এবং তাপও কম উৎপন্ন হয়।
-
তাই ফ্যানের গতি কমালে বিদ্যুৎও কম খরচ হয়, আর গতি বাড়ালে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে।
উপসংহার:
-
ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর দিয়ে ফ্যান আস্তে ঘুরলেও বিদ্যুৎ খরচ হয় আগের মতোই।
-
কিন্তু ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যান ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ কম খরচ হয়।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 weeks ago
নিম্নের কোন বাক্যটি সত্য নয়?
Created: 1 week ago
A
পদার্থের নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে
B
প্রোটন ধনাত্মক আধানযুক্ত
C
ইলেকট্রন ঋণাত্মক আধানযুক্ত
D
ইলেকট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থান করে
মৌলিক কণিকা
পরমাণু যেসব অত্যন্ত সূক্ষ্ম কণিকা দিয়ে গঠিত, সেগুলোকে মৌলিক কণিকা বলা হয়। প্রতিটি পরমাণুর মধ্যে তিন ধরনের মৌলিক কণিকা থাকে, যেমন:
-
ইলেকট্রন (Electron)
-
প্রোটন (Proton)
-
নিউট্রন (Neutron)
পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউক্লিয়াস (Nucleus), যেখানে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
ইলেকট্রন
-
ইলেকট্রন হলো পরমাণুর সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকা।
-
এটি সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ উপাদান।
-
একটি ইলেকট্রনের ভর একটি হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের তুলনায় প্রায় ১/১৮৪০ অংশ।
-
ইলেকট্রন একটি ঋণাত্মক চার্জ যুক্ত কণা।
-
এটি নিউক্লিয়াসের বাইরে বিভিন্ন কক্ষপথে চলাচল করে।
প্রোটন
-
প্রোটনও সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ কণা।
-
এটি নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক চার্জযুক্ত কণা পাওয়া যায়, তাকেই প্রোটন বলা হয়।
-
প্রোটনের ভর প্রায় হাইড্রোজেন পরমাণুর সমান।
-
এটি একটি ধনাত্মক চার্জ যুক্ত কণা।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক কোন মশা?
Created: 4 weeks ago
A
কিউলেক্স
B
এডিস
C
অ্যানোফিলিস
D
সব ধরনের মশা
ডেঙ্গু জ্বর
-
ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।
-
মূলত দুই ধরনের এডিস মশা ডেঙ্গু ছড়ায়:
-
Aedes aegypti (এডিস এজিপটাই)
-
Aedes albopictus (এডিস এলবোপিকটাস)
-
-
এই মশার কামড়ের পর ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা যায়।
-
ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ হলো:
-
জ্বর
-
মাথাব্যথা
-
বমি
-
পেশি ও গাঁটে ব্যথা
-
ত্বকে ফুসকুড়ি
-
-
সাধারণত ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রোগী সেরে ওঠে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে
-
ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর:
-
এতে রক্তপাত হয়
-
রক্তের অনুচক্রিকা (platelet) কমে যায়
-
রক্ত থেকে প্লাজমা বের হতে থাকে
-
-
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম:
-
এতে রক্তচাপ অনেক কমে যায়
-
রোগী খুব বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে
-
অন্যদিকে
-
ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায় অ্যানোফিলিস (Anopheles) মশার মাধ্যমে।
-
ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ ছড়ায় কিউলেক্স (Culex) মশার মাধ্যমে।
উৎস: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) এবং WHO ওয়েবসাইট

0
Updated: 4 weeks ago
কোন ধাতু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তরল থাকে?
Created: 2 weeks ago
A
পারদ
B
লিথিয়াম
C
জার্মেনিয়াম
D
ইউরেনিয়াম
পারদ (Hg – মার্কারি) এমন একটি ধাতু, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই তরল অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮০। পারদের গলনাঙ্ক হলো –৩৮.৮৩° সেলসিয়াস। অর্থাৎ সাধারণ ঘরের তাপমাত্রায় এটি জমাট বাঁধে না, তরল আকারে থাকে।
অন্যদিকে, সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় পাওয়া আরেকটি উপাদান হলো ব্রোমিন। তবে পারদের সাথে পার্থক্য হলো— ব্রোমিন ধাতু নয়, এটি একটি অধাতু।
উৎস: রসায়ন, নবম–দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 weeks ago